মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

দৃশ্যমান হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট

রবিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২২
405 ভিউ
দৃশ্যমান হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট

কক্সবাংলা ডটকম(৩ এপ্রিল) :: জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিশ্বসভা চিন্তিত। পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতিসংঘ দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে ১৯৯৫ সাল থেকে প্রায় প্রতিবছরই সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের নাম ‘কপ’ (কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ)। সর্বশেষ এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ‘কপ-২৬’ নামে। করোনার কারণে ২০২০ সালে কোনো সম্মেলন হয়নি। ২৬তম সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত।

যুক্তরাজ্য ও ইতালির আয়োজনে সম্মেলনটি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ১৯৭টি দেশের ২৫ হাজারেও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এই প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, রাজনীতিক, পেশাজীবী, পরিবেশবাদী, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ নানা স্তরের মানুষ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এতে অংশ নিয়েছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বা পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার বিভিন্ন কারণের মধ্যে রয়েছে-প্রকৃতির প্রতি অবিচার, বন উজাড়, শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য, কালো ধোঁয়া, যানবাহনের কারণে পরিবেশ দূষণ। কিন্তু এর সমন্বিত কারণ হলো কার্বন নিঃসরণ। এই কার্বন নিঃসরণের অন্যতম কারণ হলো বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার। আয়োজকরা ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধে কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি; কয়লার ব্যবহার নিষিদ্ধও করতে পারেননি।

জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট এখন দৃশ্যমান। কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। গেল বছরের শেষদিকে কানাডায় ঘটে গেছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপদাহ। প্রচণ্ড তাপদাহে সেদেশে প্রায় ১০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের বন্যাও নজিরবিহীন। জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ অতিবৃষ্টি হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে বন্যার। সেই বন্যার প্রকোপে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড ও বেলজিয়াম।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, উত্তর আমেরিকার কিছু অঞ্চল, সাইবেরিয়া, ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চল দাবানলে পুড়ে ভস্মে পরিণত হয়েছে। গ্রিস ও আলজেরিয়ায় দাবানলে পুড়েছে শত শত মানুষ। আলজেরিয়ার ১৮টি প্রদেশের ৭০টিরও বেশি জায়গায় এ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের ১৩৪টি দেশ এখন দাবানলের হুমকির মুখে, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ২০২০ সালে পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা খরার সম্মুখীন হয়েছে। এর সবই হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে।

বিশ্বের তাপমাত্রা দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল-এই এক দশকে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১৮৫০-১৯০০ সালের তুলনায় বেড়েছে ১.০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত পাঁচ বছর ছিল বিগত দেড়শ বছরের তুলনায় সবচেয়ে উষ্ণতম সময়। ১৯০১ সালের তুলনায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার তিনগুণ বেড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় দুই মিটার বৃদ্ধি পাবে। ফলে ব্যাপক প্লাবনের মুখে পড়তে হবে সমুদ্র অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের। মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। সবকিছু হারিয়ে আশ্রয় নেবে শহরে। বিশেষজ্ঞরা এ মানুষদের বলে থাকেন জলবায়ু শরণার্থী। এমন জলবায়ু শরণার্থীর সংখ্যা পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য।

জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ যেহেতু কার্বন নিঃসরণ, তাই বলাই যায় যে এ সংকটের শুরু শিল্পযুগের সূচনা থেকে। যেসব দেশ যত বেশি শিল্পোন্নয়ন ঘটিয়েছে, সেসব দেশ তত বেশি পরিবেশকে দূষিত করেছে। কিন্তু এর কুফলটা ভোগ করছে শিল্পে পিছিয়ে থাকা দেশগুলো। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবিলার আর্থিক দায়ভার ধনী দেশগুলোর ওপরই বেশি পড়ে। কিন্তু জাতিসংঘের দুঃখজনক তথ্য হলো, প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার আদায় করা যায়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি পৃথিবীকে ভারসাম্য কিংবা সহনীয় মাত্রায় রাখতে হয়, তাহলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিল্পযুগের আগের তাপমাত্রার তুলনায় যেন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়। এ কারণে ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে সদস্যভুক্ত সব রাষ্ট্রই পৃথিবীর তাপমাত্রা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই প্যারিস সম্মেলন থেকেই ঘোষিত হয়েছিল এবং দেশগুলো চুক্তিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিল-২০৫০ সাল নাগাদ ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে।

কার্বন নিঃসরণ কোনো দেশ কম করলেও এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। পৃথিবীতে প্রতিবছর যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরিত হয়, তার জন্য আমাদের দায়ভার মাত্র শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর বিপরীতে আমরা পরিবেশ বিপর্যয় ঝুঁকির ৭ম স্থানে অবস্থান করছি। শিল্পোন্নত দেশগুলো অনেক বেশি কার্বন নিঃসরণ করলেও আর্থিক সংহতির কারণে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং ঝুঁকির মাত্রা কমাতে পেরেছে। আমরা আর্থিকভাবে ততটা শক্তিশালী নই, তাই ভোগান্তিরও শেষ নেই।

জলবায়ুর ভয়াবহ প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করার চেষ্টা আমরাও কম-বেশি করছি। বাংলাদেশের সরকারগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে আছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০০৯, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১০ (অ্যাক্ট নাম্বার ৫৭ অব ২০১০), জলবায়ু পরিবর্তন ও লিঙ্গ কর্মসূচি পরিকল্পনা ২০১৩, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জাতীয় পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫, সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ২০১৫-২০৩০, সাইক্লোন প্রস্তুতি কর্মসূচি, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা দশক ২০৩০, বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০, সাইক্লোন শেল্টার হিসাবে মুজিব কেল্লা স্থাপন ইত্যাদি। উদ্যোগের পরিমাণ যাই হোক, সমস্যাটা অন্য জায়গায়। যে কোনো উদ্যোগে আমরা যতখানি আড়ম্বরতা ও উৎসাহ দেখাই, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ততটাই বিড়ম্বনায় পড়ি। এর কারণ হলো আন্তরিকতা, পারদর্শিতা কিংবা সক্ষমতার অভাব।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের কারণে গত চার দশকে বাংলাদেশের ক্ষতির আর্থিক মূল্য ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি। দেশের অর্থনীতি ও বিভিন্ন খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের কী কী প্রভাব আছে, তা নিরূপণের জন্যে একটি গবেষণা করেছে সেন্টর ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস)। এর ভিত্তিতে সংস্থাটি একটি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) প্রকাশ করেছে। এতে প্রকাশ পেয়েছে যে, বাংলাদেশে প্রতিবছর কেবল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির পরিমাণ মোট জিডিপির দশমিক ৫ থেকে ১ শতাংশ।

২০৫০ সালে এই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ বছরে দেশে সুপার সাইক্লোন বেড়েছে ৬ শতাংশেরও বেশি। প্রতিবছর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে দশমিক শূন্য ১৫ সেন্টিগ্রেড হারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতও বেড়েছে। দেশের বার্ষিক বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির গড় হার ৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার। গত কয়েক দশকে ভয়াবহ ও মারাত্মক বন্যা হয়েছে পাঁচটি। দেশের পাহাড়ি এলাকা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে ঢল ও বজ্রপাতের প্রকোপ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতিবছর ৩০৬ মিলিমিটার করে বাড়ছে।

সিইজিআইএস প্রণীত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামী ২৭ বছরে কমপক্ষে ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হবে বলে অনুমান করা হয়। তবে চূড়ান্তভাবে এই অর্থের পরিমাণ বাড়তে পারে। সংস্থাটি জানায়, অভিযোজন পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে ১১টি জোনে ভাগ করে ১৩টি জলবায়ু ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে-বন্য, খরা, লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও নদীভাঙনসহ বিভিন্ন দুর্যোগ।

গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে সামনের দিনগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির পরিমাণ বিগত দিনের তুলনায় অনেক বেশি হবে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা ৫০ সেন্টিমিটার বাড়লেই সমুদ্র উপকূলের ১০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যাবে। লবণাক্ততা ছড়াতে পারে ৭ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত। আর যদি সমুদ্রের পানি ৯৫ সেন্টিমিটার বেড়ে যায়, তাহলে তলিয়ে যাবে উপকূলের ১৭ শতাংশ এলাকা। সেক্ষেত্রে লবণাক্ততা ছড়াতে পারে ১৬ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রির মধ্যে রাখার কথা বলা হলেও ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ (আইপিসিসি) মনে করে, উষ্ণায়ন ৩ থেকে সাড়ে ৩ ডিগ্রিতে চলে যাবে। এর ফলে বাংলাদেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর যে পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে উপকূলের প্রায় ৩ কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির কারণে দেশের কৃষিকাজও নানাভাবে ব্যহত হবে।

এখনই বৃষ্টির অভাবে শ্রীমঙ্গলে চায়ের উৎপাদন কমে গেছে, লালমনিরহাটে চা গাছের চারা লাগানো যায়নি। বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০৭ মিলিমিটার। সেখানে গত বছর রংপুরে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৪৫০ মিলিমিটার। এ পরিমাণ বৃষ্টি ঢাকা শহরে হলে পুরো শহর তলিয়ে যাবে। তাছাড়া লোনা পানির অনুপ্রবেশ বাংলাদেশের আরেকটি বড় সমস্যা। ১৯৭৩ সালে মৃদু লবণাক্ততায় আক্রান্ত জমির পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ হেক্টর। ১৯৯৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লাখ হেক্টরে। আর বর্তমান সময়ে এর পরিমাণ ৩০ লাখ হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় অঞ্চল তথা বাংলাদেশ প্রতিবছর বঞ্চিত হচ্ছে ৩৫ লাখ টন শস্য উৎপাদন থেকে।

আমরা রাজনৈতিক বৈরিতার তোড়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হারিয়ে ফেলছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবকেও আমরা আমলে নিচ্ছি না। আগামী দিনগুলোতে এর ভয়াবহতা মোকাবিলা করতে হলে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে হবে। আমরা সেদিকে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করছি।

মুঈদ রহমান : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

405 ভিউ

Posted ১১:৪২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২২

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com