শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

দেশে অর্থনীতির মুনাফা জালিয়াতি ও প্রতারণা

বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০
204 ভিউ
দেশে অর্থনীতির মুনাফা জালিয়াতি ও প্রতারণা

কক্সবাংলা ডটকম(১৪ জুলাই) :: সমসাময়িক বিশ্বের সবখানেই জালিয়াতি এখন বড় একটি ইস্যু। আর্থিক প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি নিয়ে পণ্ডিত মহলে গবেষণার মাত্রা খুব একটা প্রবল হয়ে ওঠেনি এখনো। তবে সাম্প্রতিক কালে উন্নয়ন গবেষকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ জাগিয়েছে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের বিষয়টি।

গত তিন দশকে কৃষিবীজ ও পণ্য, জমি বেচাকেনা থেকে শুরু করে জ্বালানি ব্যবসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক বেশকিছু খাতে মারাত্মক ধরনের জালিয়াতি প্রত্যক্ষ করেছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। দেশটির অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সব খাতই কোনো না কোনোভাবে জালিয়াতি দিয়ে প্রভাবিত। একই পরিস্থিতি কেনিয়ায়ও। সেখানকার গণমাধ্যমেও জালিয়াতি তথা কপট উপায়ে মুনাফা আদায়ের বিষয়টির আধিপত্য দেখা যায়। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানির মতো অগ্রসর দেশের গণমাধ্যমেও প্রতিনিয়তই প্রকাশ হচ্ছে জালিয়াতি তথা প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের একের পর এক ঘটনা।

ইউনিভার্সিটি অব লিডসের পলিটিক্যাল ইকোনমি অব গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ের গবেষক জর্গ ওয়েইগ্রাত্জ বেশ কিছুদিন আগে প্রকাশিত ‘দি এজ অব ফ্রড: দ্য লিংক বিটুইন ক্যাপিটালিজম অ্যান্ড প্রফিটিয়ারিং বাই ডিসেপশন’ শীর্ষক এক নিবন্ধে উগান্ডা ও কেনিয়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে মুনাফার প্রবণতাকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, জালিয়াতি তথা প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের প্রবণতা এখন গোটা বিশ্বেই সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে উঠেছে। ফলে এখন বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলোর প্রধানতম বিষয়বস্তুগুলোর অন্যতম হয়ে উঠেছে বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন মাত্রায় সংঘটিত জালিয়াতি ও প্রতারণার খবর।

কথাটি এখন বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সত্যি। দেশের গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়েই উঠে এসেছে নানা খাতে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির তথ্য। সাম্প্রতিক কালে মহামারীর মধ্যেও স্বাস্থ্য খাতের নানা জালিয়াতি-দুর্নীতি এখন গোটা দেশেই আলোড়ন তুলে দিয়েছে। শুধু করোনাকাল নয়, দেশী সংবাদমাধ্যমগুলোর গত কয়েক বছরের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নানা ধরনের অভিনব জালিয়াতি ও প্রতারণার তথ্য। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতারণা-লুটপাট থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত নামি ওষুধবিক্রেতা চেইন শপের লেবেল জালিয়াতি পর্যন্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য সংবাদের শিরোনাম হয়ে চলেছে অহরহ। উঠে আসছে নির্মাণকাজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের মতো অবিশ্বাস্য ও স্থূল ধরনের জালিয়াতির তথ্যও।

নভেল করোনাভাইরাসের চলমান সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এসব জালিয়াতি ও প্রতারণার তথ্য যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে বাংলাদেশে। সারা দেশেই তোলপাড় তুলে দিয়েছে জেকেজি হেলথকেয়ার ও রিজেন্ট হাসপাতাল নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা জালিয়াতির অভিযোগ। করোনা পরীক্ষার নামে নমুনা সংগ্রহের পর তা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগ রয়েছে হাসপাতাল দুটির বিরুদ্ধে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকাশিত এসব খবর নানা অনিয়মে জর্জরিত দেশের স্বাস্থ্য খাতের অন্ধকার চিত্রের ভগ্নাংশ মাত্র। বিভিন্ন সময়ে খাতটিতে আরো অনেক অনিয়ম-জালিয়াতি-দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে। খতিয়ে দেখার পর আরো অনেক তথ্য বেরিয়ে এলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

শুধু বাংলাদেশ বা পূর্ব আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশ নয়, বিশ্বের সবখানেই জালিয়াতি-প্রতারণা-দুর্নীতি মহামারীর আকার নিয়েছে অনেক আগেই। উন্নয়ন গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের বর্তমান যুগটি হলো জালিয়াতির যুগ। রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুপ্রবেশ, প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং সমসাময়িক সমাজ ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের ধনী-দরিদ্র সব দেশেই মূলধারার বিষয় হয়ে পড়েছে জালিয়াতি তথা প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন। উচ্চপর্যায়ে অনুপ্রবেশ ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে গোটা বিশ্বেই সমাজ ব্যবস্থার একেবারে মূল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের প্রবণতা। সমসাময়িক সমাজের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এটি। শুধু বহুল আলোচিত দারিদ্র্যপীড়িত গ্লোবাল সাউথ নয়, উন্নত-অগ্রসর গ্লোবাল নর্থের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফার প্রবণতাকে শুধু দারিদ্র্য বা মারাত্মক আর্থসামাজিক চাপ (উন্নয়নের অভাব বা উগান্ডার মতো দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং ব্যাপক ও মারাত্মক দারিদ্র্য) দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না বলে মনে করছেন উন্নয়ন গবেষকরা। কারণ বিশ্বের অগ্রসর ধনী হিসেবে পরিচিত দেশগুলোর সবচেয়ে সমৃদ্ধ খাত, অঞ্চল ও শহরেও এখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে প্রতারণার বিষয়টি। এতে জড়িয়ে পড়ছে উচ্চবেতনে কর্মরত ব্যবস্থাপকদের হাতে পরিচালিত সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী কোম্পানিগুলো। সুশাসন ও ভালো রাষ্ট্রনায়কোচিত কার্যক্রমের উদাহরণ দিতে গেলে এখন প্রায়ই বলা হয় জার্মানির কথা। অথচ গাড়ি নির্মাণ ও ব্যাংকিংসহ দেশটির সার্বিক শিল্প খাতেই বছরের পর বছর ধরে গড়ে তোলা হয়েছে একধরনের জালিয়াত সংস্কৃতি। শিল্প খাতে জালিয়াতিকে উসকে দেয়া হয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে, অথচ সমাজে এসব জালিয়াতির ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টিও সবার সামনে ব্যাপকভাবেই স্পষ্ট (উদাহরণ ফক্সওয়াগন কেলেঙ্কারি)।

ফক্সওয়াগন কেলেঙ্কারিতে জার্মান রাষ্ট্রযন্ত্রের ভূমিকা নিয়ে মূল্যায়ন রয়েছে ওয়েইগ্রােজরও। তার ভাষায়, দীর্ঘদিন ধরেই দেশটির এ বিষয়ে অবস্থানে তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি, বরং এটি এখনো জালিয়াত গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় মাত্রায় সুরক্ষা দিয়েই যাচ্ছে। এখানে সাধারণ এবং বিশেষ কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থনীতিকে জালিয়াতি সহায়ক করে তুলছে, যা নব্য উদারতাবাদের একটি বড় বৈশিষ্ট্য।

সমসাময়িক বৈশ্বিক অর্থনীতিতে জালিয়াতির প্রধান বৈশিষ্ট্য সাতটি বলে মনে করছেন ওয়েইগ্রাত্জ। প্রথমত, এটি হচ্ছে ব্যাপক মাত্রায়, রীতিমতো নতুন একটি শিল্প খাতের পর্যায়ে উঠে দাঁড়িয়েছে জালিয়াতি বা প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের প্রবণতা। দ্বিতীয়ত, এটি হয়ে উঠেছে নিত্যনৈমিত্তিক। জালিয়াতির ঘটনাগুলো এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি স্থূল হয়ে ওঠার বিষয়টিকে তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখছেন ওয়েইগ্রাত্জ। চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হলো সমাজ ও অর্থনীতির বিভিন্ন স্তরে ছড়াতে ছড়াতে এটি শিক্ষার মতো নতুন নতুন খাতেও সংক্রমিত হয়েছে। পঞ্চম বৈশিষ্ট্য বলছে, জালিয়াতির কারণে সামাজিক ক্ষতির মাত্রাও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি।

ষষ্ঠ বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা করতে গিয়ে সমাজে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফার প্রবণতা সৃষ্টির জন্য দায়ী করা হয়েছে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িত। সর্বশেষ বৈশিষ্ট্যে বলা হয়েছে, জালিয়াতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সাধারণত সমাজের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী (শাসক শ্রেণী, বহুজাতিক ও বড় কোম্পানি, শীর্ষ ব্যবস্থাপক, শীর্ষ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা, ধনী ও বিখ্যাত ব্যক্তি, সেলেব্রিটি) হিসেবে বিবেচিত।

উন্নয়ন গবেষকদের ভাষায়, জালিয়াতি শুধু অর্থনৈতিক নয়, একই সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যবস্থা, রাজনৈতিক অর্থনীতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত। এটি যতটা অর্থনৈতিক বিষয়, ততটাই সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিষয়। উদাহরণ হিসেবে উগান্ডাকেই বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নব্য উদারনৈতিক পুঁজিবাদী উগান্ডার বর্তমান নৈতিক পরিবেশ তৈরিতে স্থানীয় ও বিদেশী অন্যান্য গোষ্ঠীর মতো দাতারাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের আয়োজনে, অর্থায়নে, দেখানো পথে, সুপারিশে এবং চাপে নতুন কিছু নিয়ম, মূল্যবোধ, প্রবণতা ও চর্চা তৈরি হয়েছে।

এ নব্য উদারনীতির পথে পরিবর্তনের কারণে নতুন একটি নৈতিক ব্যবস্থা এবং আরো বৃহৎ পরিসরে নতুন একটি সামাজিক কাঠামো তৈরি হয়েছে, যা জালিয়াতি-প্রতারণাকে দমনের বদলে আরো সচল করে তুলেছে। ঘটনাটি শুধু উগান্ডার ক্ষেত্রে ঘটেনি। ঘটেছে অন্যসব দেশের ক্ষেত্রেও। ঔপনিবেশিক আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিশ্বে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার বিকাশের ইতিহাস ঘাঁটলে অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে, যাতে প্রমাণ হয় পুঁজিবাদ ও জালিয়াতির মহামারী আসলে যমজের মতো একসঙ্গেই বিকশিত হয়েছে। এসব জালিয়াতির ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যক্তির লোভকেই দায়ী করা হয়ে থাকে, যদিও সমাজে জালিয়াতি-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর মধ্যে এটি অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি ভগ্নাংশ মাত্র।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাদের ধর্মই হচ্ছে মুনাফার সর্বোচ্চকরণ। এজন্য আমাদের মতো দেশে পুঁজিবাদ সহজেই দুর্বৃত্তায়িত হয়ে যায়। এবং এ ক্রিমিনালাইজেশন অব ইকোনমি একটা সময় আস্তে আস্তে ক্রিমিনালাইজেশন অব পলিটিকসের দিকে চলে যায়। আমরা যদি দেখি আমাদের দেশে অতি দ্রুত যারা ধনী হয়েছে, তাদের অধিকাংশেরই এই ধনার্জনে দুর্বৃত্তায়নের একটা সংযোগ আছে। অর্থাৎ এখানে খুব বেশি মানুষ ধনী হতে পারে না। গুটিকয়েক মানুষের হাতেই সম্পদ কুক্ষিগত হয়। এরা ব্যাংকের টাকা মেরে দিয়ে বা দেশের টাকা পাচার করে এসব কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা প্রভাবশালীদের সহায়তাও পেয়ে থাকে।

জালিয়াতির প্রবণতাকে শুধু স্থানীয়ভাবে বর্ণনা করা যায় না বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। বাইরের অনেক প্রভাবক, উপাদান, প্রবণতা, চাপ ও সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি বিষয় সমাজের জালিয়াতি-সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনৈতিক অর্থনীতির গঠনে ভূমিকা রাখে বলে মনে করছেন তারা। এক্ষেত্রে তাদের অভিমত, জালিয়াতি বা প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফার প্রবণতা নিয়ে বিশ্লেষণ ও বিতর্ক চালাতে গেলে অবশ্যই পুঁজিবাদের বিশেষ করে নব্য উদারীকৃত বাজার অর্থনীতি যেভাবে জালিয়াত সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ও প্রোথিতকরণের কাজ করছে, তার ওপরই আরো বিশ্লেষণাত্নক মনোযোগ দেয়া জরুরি। মনোযোগ দেয়া জরুরি এ নব্য উদারীকৃত বাজার অর্থনীতি যেভাবে সৃষ্ট রাজনৈতিক-আর্থিক এবং সাংস্কৃতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকে, তার ওপরও।

বাংলাদেশে প্রতারণার মাধ্যমে মুনাফার প্রবণতার পেছনে সিস্টেমকেই দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও কারসাজির মাধ্যমে দুর্নীতি করা হয়ে থাকে। অনেক সময় চটকদারিতায় বিভ্রান্ত করা হয় সাধারণ ভোক্তাদের। অধিকাংশ সময় অর্থগৃধ্নুতায় বিকৃত হয়ে আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এমন কাজে উৎসাহ দিয়ে থাকে। এ ধরনের লুটপাট চলে রীতিমতো আদিম ক্ষমতার ব্যবহার ও আদিম পন্থায় সম্পদ আহরণের মাধ্যমে।

মহামারী শুরুর আগে দেশের গণমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি চর্চিত বিষয়গুলোর অন্যতম ছিল আর্থিক খাতের নানা জালিয়াতি-দুর্নীতি। বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক খাতকে মারাত্মক হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে একের পর এক আর্থিক জালিয়াতি ও কেলেঙ্কারির ঘটনা। ব্যবসায়িক ব্যর্থতা নয়, আত্মসাতের উদ্দেশ্য থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমেই ঘটানো হয়েছে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের এসব বড় বড় কেলেঙ্কারি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শীর্ষ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট গ্রুপের কথা। ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ খেলাপের পরিমাণ সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। গ্রুপটির বিরুদ্ধে চামড়ার ভুয়া রফতানি বিল তৈরি করে সরকারের কাছ থেকে নগদ সহায়তা নেয়ার পাশাপাশি রফতানির অর্থ ফেরত না আনার অভিযোগও রয়েছে। এমনই আরেক প্রতিষ্ঠান হলমার্ক  গ্রুপের আলোচিত সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার ধাক্কা এখনো সামলাতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক।

সার্বিক বিষয় নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় বড় বড় শিল্পপতি অগাধ ধনসম্পদের মালিক হয়েও আরো মুনাফা অর্জনের নেশায় সর্বক্ষণ তাড়িত হন। অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতির আর্থিক খাত এবং শেয়ারবাজারের বড় বড় ধসের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে অতিরিক্ত আর্থিক লোভ অযৌক্তিক ঝুঁকি নিতে মানুষকে প্রলোভিত করছে।

204 ভিউ

Posted ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com