কক্সবাংলা ডটকম(১ জুন) :: করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজ দেশে পৌঁছেছে।
সোমবার রাত সোয়া ১১ টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে এই টিকা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোভ্যাক্সের পক্ষ থেকে পাঠানো ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা রাত সোয়া ১১টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশে এসেছে।
টিকা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর, ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক ও ইপিআই-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার গোলাম মাওলা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
শামসুল হক বলেন, এই টিকা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে করে নিয়ে রাখা হয়েছে তেজগাঁওয়ের ইপিআই স্টোরেজে। এই নিয়ে তিন দেশের উৎপাদিত টিকা দেশে এলো। এর আগে সিরামের ও চীনের টিকা দেশে এসেছে।
ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জন্য যে মাত্রার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের দরকার হয়, তা দেশে কমই আছে। ফলে অন্যান্য জেলায় এই টিকা প্রয়োগ অনেকটাই অসম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, আপাতত এই টিকা রাজধানীতে প্রয়োগ করা হবে। তাপমাত্রা জটিলতায় রাজধানীর সব কেন্দ্রে এই টিকা দেয়া যাবে না। তবে কোন কোন সেন্টারে এই টিকা দেয়া হবে এবং কারা টিকা পাবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ঢাকার মধ্যে এই টিকা প্রয়োগ এখনও প্ল্যানিং পর্যায়ে আছে।
ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্বের সব দেশে করোনার টিকা নিশ্চিতের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এ টিকা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশকে।
কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মটি গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের (সিইপিআই) উদ্যোগে।
এই জোটের মাধ্যমে প্রতিটি দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য বিনা মূল্যে টিকার ব্যবস্থা করার কথা। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি ২৭ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট দেখা দেয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ফাইজার সংরক্ষণ করতে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেফ্রিজারেটর দরকার। ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে পাঁচ দিন। আর রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে দুই ঘণ্টা।
উৎপাদক প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, কার্যকারিতার দিক থেকে ফাইজারের টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, সিনোফার্মের বিবিআইবিপি-করভি, রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি টিকার মতোই ফাইজারের টিকাও নিতে হয় দুই ডোজ করে।
প্রথম ডোজ দেয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। ১২ বছরের বেশি যেকোনো ব্যক্তি এ টিকা নিতে পারবে।
Posted ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta