আব্দুল হামিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি(৩১ জানুয়ারী) :: অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের ঘোষনা অনুযায়ী পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৩টি ক্যাম্প রোহিঙ্গা মুক্ত করা হয়েছে।
৩১ জানুয়ারি বুধবার সকালে দৌছড়ির বাহিরমাঠ বড়ইতলী অস্থায়ী ক্যাম্পের ৭৭ পরিবারের মোট ৩৬৫জন রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং হস্তান্তরের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শেষ হয়। তবে ঘুমধুমের কোনারপাড়া সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্যাম্প করে এখনো ৬ হাজার ২২জন রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
হস্তান্তর প্রক্রিয়ার শুরু দিন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টের সাপমারাঝিরি থেকে ৩শ জনের রোহিঙ্গার বহর নিয়ে প্রথম দফায় এবং বড়ছনখোলার অস্থায়ী ক্যাম্পের ৬ হাজার ৮শত ৮৪জন রোহিঙ্গাকে কুতুপালং ক্যাম্পে হস্তান্তরের করা হয়।
জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে এ হস্তান্তরের কাজটি সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সমন্বয়কারী নুরুল আবছার জানান, বুধবার সকালে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সব রোহিঙ্গা নাগরিককে কুতুপালং হস্তান্তরের কাজ শেষ হয়েছে। গত ২৬ দিনে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের হস্তান্তর পক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ৩টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসব রোহিঙ্গাদের কুতুপালং হস্তান্তর হলেও তাদের সাথে মিয়ানমার থেকে আসা ৫ শতাধিক পোষা কুকুর অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। যার ফলে এসব কুকুরের আর্ত-চিৎকারে রোহিঙ্গা মুক্ত ক্যাম্প গুলোর আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে।
রোহিঙ্গা স্থানান্তরের কথা স্বীকার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস.এম সরওয়ার কামাল বলেন- কক্সবাজারস্থ শরণার্থী রোহিঙ্গা প্রত্যবাসন কমিশনের তত্বাবধানে বাহিরমাঠ বড়ইতলী থেকে মঙ্গলবার ১৭৬জন ও বুধবার ১৮৮জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে স্থানান্তরের মাধ্যমে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকা রোহিঙ্গা শূণ্য হয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গা শূণ্য এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া পাহারা রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে ঘুমধুমের কোনারপাড়া সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্যাম্প করে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি তিনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল আনোয়ারুল আযীম বলেন, রোহিঙ্গা শূন্য এলাকাতে পূনরায় বসতি স্থাপন করতে দেওয়া হবে না। যদিও কোন রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে আসে, তাদেরকে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সীমান্তে বিজিবির কড়া নিরাপত্তা রয়েছে।
Posted ৬:০০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta