মাঈনুদ্দিন খালেদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(২৮ এপ্রিল) :: অতিরিক্ত লোডশেডিং ও নানা হয়রানীতে নাইক্ষ্যংছড়ি ও কচ্ছপিয়ার কয়েক হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। প্রধানমন্ত্রীর ১০ বিশেষ উদ্যোগ প্রকল্পে অবহেলা আর হয়রানী বাড়ছে দিনের পর দিন এখানে। বিদ্যুৎ আসে আর যায় এখানে । জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ বছরে সরকারের অগ্রাধিকার এ প্রকল্পের এহেন দূরাবস্থায় এ কারণেই প্রশ্ন তুলেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ককসবাজারের রামুর বিদ্যুৎ সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলীর নিয়ন্ত্রনাধিন এলাকায় বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১৩২০ জন । ভেীগলিকভাবে বিছিন্ন হলেও পাহাড়ি জনপদ নাইক্ষ্যংছড়ি ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন এলাকাটি এ অফিসের অধীন এবং এখানে গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৪ হাজারের অধিক।
এ সব ফিডার পরিচালনায় বিদ্যুৎ অফিসের কর্তাদের সুবিধার জন্যে এ ৪ এলাকাকে ৪ ভাগে ভাগ করে বিদ্যুৎ বিতরণ করে আসছে তারা। এ ভাগ গুলো হলো ছিকলঘাট ফিডার,রামু সদর ফিডার,আর্মি ক্যাম্প ফিডার ও নাইক্ষ্যংছড়ি-কচ্ছপিয়া ফিডার। এই ৪ ফিডারের মধ্যে সেবার মান বলতে কিছুই নেই নাইক্ষ্যংছড়ি ফিডারে বা এলাকায়।
গ্রাহকরা আরো জানান, এখানে যখন-তখন লোডশেডিং হয়,যথা সময়ে বিদ্যুৎ বিল প্রাহকদের কাছে পৌছে না, আর পৌছলেও গড়মিল থাকে, অবৈধদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে শতশত সাইট কানেকশন করে বিশেষ সুবিধা আদায়, অফিসে বসে মিটারের হিসেব দিয়ে বিদ্যুৎ বিল তৈরী, বিদ্যুৎ এর মিটার বসাতে বা পরিবর্তন করতে অবৈধ লেন-দেন,অফিসে কাজ বন্ঠন করে না দিয়ে অধিকাংশ কাজ নিজের হাতে কূক্ষিগত করে রেখে গ্রাকদের হয়রানী।
এছাড়া প্রাথমিক স্থরের স্কুল শিক্ষার্থীদের যাবতীয় পরীক্ষা সহ জেএসসি-এসএসসি-এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা ছাড়াও প্রতিটি পরীক্ষার মনগড়া লোডশডিং দেয়া হয় আবাসিক প্রকৌশলীর কথা মতো। তিনি ককবাজার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে বিনা কারণে নাইক্ষ্যংছড়ি লাইনটি অপ করে রাখেন নিয়মিত। যাতে করে গ্রাহক হযরানী বাড়ছে দিনের পর দিন।
তারা আরো জানান, প্রচন্ড গরমে একদিকে বাতাস বিহীন পাহাড়ী এলাকার গরম পরিবেশ অন্যদিকে লোডশেডিং এর হয়রানী। সব মিলে অসম্ভব গরমে মানুষ সরকারের বিরোদ্ধে ফুঁেস উঠছে। তারা অভিযোগ করছেন, সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০ প্রকল্পের মধ্যে এ বিদ্যুৎ প্রকল্পে এ সেবার বদলে চলছে এখন চলছে অসেবা আর হয়রাণী। এভাবেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পাহাড়িজনপদের এসব মানুষ নিরীহ বাঙ্গালী আর শতশত উপজাতি।
জনপ্রতিনিধিরা জানান,বিচ্ছিন্ন এ এলাকার মানুষ গুলোর উপর এ ধরনের বিমাতা সূলভ আচরণে বিদ্যুৎ কর্মিরা নিরব থাকলেও দূর্নাম ঠিকই সরকারের ঝুঁড়িতেই জমা পড়ছে। তারা সন্দেহ করছেন[ বিদ্যুৎ অফিসে সরকারের দূর্নামর্সষ্টিকারী কোন দূষ্ট চক্র উৎপেতে আছে কি না।
এবিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান,কোন বা কাল বৈশাখী ছাড়া এতো ঘনঘন লোডশেডিং কেন হয় বোধে আসে না। রামু বিদ্যুৎ অফিসের এক অংশে বিদ্যুৎ থাকে আর নাইক্ষ্যংছড়ি অংশে বিদ্যু থাকে না। গ্রামের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে দূর্নাম রটানোর সুযোগ পাচ্ছে। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছাতে এবং পূর্বের গ্রাহকদের নিবিড় বিদ্যুৎ সরবরাহে বারবার বলে আসছেন। অথচ রামুতে তার বিপরীত।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছসেবক লীগ সভাপতি ও ফাক্রিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুল আলমমনির অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষার সময় বিনা কারণে বারবার লোডশেডিং। কেন ! বৃষ্টি=বাদল নেই তেমন,অথচ ঘন্টার ঘন্টা বিদ্যুৎ কোথায় চলে যায়। একরে শিক্ষার্থী,শিক্ষক অভিভাবক অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
রামু বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী নুরুল আলম ভূইয়া লোডশেডিং বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তেমন কোন ভাল উত্তর দিতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত তিনি এ প্রতিবেদকে জানান,কই লোডশেডিং তো তেমন হচ্ছে না ! তবে যা হচ্ছে তাও ককসবাজার (বিদ্যুৎ ) অফিসের মাধ্যমেই হচ্ছে ! এখানে তার কোন করনীয় নেই। আর অন্যান্য বিষয়ের ব্যাপারেও তিনি অনরূপ বক্তব্য দিয়ে নিজের দায়িত্ব এড়াতে চেষ্ঠা করেছেন এ প্রতিবেকের প্রশ্নের জবাবে।
Posted ৬:০৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta