কক্সবাংলা ডটকম(৬ আগস্ট ) :: এ সময়ে দেশে সবচেয়ে বেশি আলোচিত-সমালোচিত নাম পরীমনি। তিনি একজন নায়িকা। অবৈধ মাদকদ্রব্য রাখা, পর্নোগ্রাফি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে রাজধানীর বনানীর নিজ বাসা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
কয়েক দিন আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বিতর্কিত মডেল পিয়াসার সঙ্গে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চলচ্চিত্রের বিতর্কিত প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। তারা একসঙ্গে কাজ করতেন বলে র্যাবের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবন, উঠতি মডেল ও নায়িকাদের দিয়ে ব্ল্যাকমেইল আর উচ্ছৃঙ্খল জীবন ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী। পরীমনির সঙ্গে পিয়াসার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিশুরও যোগাযোগ ছিল। তবে পরীমনির দুবাই ভ্রমণকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। পরীমনিকে চলচ্চিত্রে আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল প্রযোজক রাজের।
বনানীতে পরীমনি যে ফ্ল্যাটে বসবাস করেন সেই ফ্ল্যাটটি রাজ তাকে কিনে দেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজ জানিয়েছেন, বিখ্যাত একটি ম্যাগাজিনে পরীমনির ছবি আসার পেছনে জোর লবিং করেছিলেন তিনি। ওই ম্যাগাজিনে তার নাম আসার পর পরীমনি দেশে ও বিদেশের মিডিয়ায় নতুনভাবে আলোচনায় আসেন।
ওই ম্যাগাজিনে পরীমনি প্রায় ১০০টি ছবি পাঠিয়েছিলেন। উঠতি মডেল এবং চলচ্চিত্রে যারা নতুন অভিনয় করতে চায় তাদের সঙ্গে নানা কৌশলে সখ্য তৈরি করতেন প্রযোজক রাজ। তার মোবাইলে বিভিন্ন মডেল ও নায়িকাদের নানারকম ছবি দেখতে পেয়েছে র্যাব। র্যাবের ধারণা, ওই ছবিগুলো ব্ল্যাকমেইল এবং ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতো।
এছাড়াও রাজের উচ্চাভিলাষ ছিল যে, ভারতের চলচ্চিত্রের যে রাজকাপুর পরিবার আছে সেই রাজকাপুর পরিবারের মতো তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে। জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে খুলনার একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেছিলেন প্রযোজক রাজ। এরপর ঢাকায় এসে বিভিন্ন্ন ব্যবসা শুরু করেন। তিনি চলচ্চিত্রের রঙিন জগতে আসেন। ছবিতে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়া তার স্বপ্ন ছিল। পরে তা হতে না পেরে তিনি নিজেই তার টাকা চলচ্চিত্রে লগ্নি করেন।
র্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরীমনির বাসায় ও প্রযোজক রাজের বাসায় বসতো প্রত্যেক দিন ডিজে পার্টি। এসব পার্টিতে গুলশান, বনানী ও ধানমণ্ডির উচ্চবিত্তের যুবকরা অংশ নিতো। পরে রাজসহ তাদের লোকজন কৌশলে নানারকম ছবি তুলে তাদের ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করতেন।
সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে এক চাকরিজীবীর স্ত্রী রাজের ডিজে পার্টিতে গিয়ে এ চক্রের ফাঁদে পড়েন। পরে পর্ন্যগ্রাফির অভিযোগে ওই চাকরিজীবী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে যায় র্যাব ও পুলিশ।
সূত্র জানায়, রাজের ফাঁদে পড়েন প্রায় ৫০ জন উঠতি মডেল। তাদের নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। রাজের যে মাল্টিমিডিয়া প্রডাক্টশন হাউস আছে সেটি র্যাব সিলগালা করে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির অভিযোগ আনা হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, পরীমনির বাসায় গড়ে উঠেছিল একটি মিনি বার। সেখানে রাত-বিরাতে পার্টি বসতো। গান-বাজনা হতো। পার্টি শেষে তারা আবার রাতের ঢাকায় গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হতেন।
সূত্র জানায়, পরীমনিকে যারা মাদক সরবরাহ করতো তাদের নাম এখন র্যাবের হাতে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়াও পরীমনি র্যাবের কাছে দাবি করেছেন যে, তার কাছে মদ খাওয়ার লাইসেন্স আছে। কিন্তু সেই লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগে।
জানা গেছে, অঢেল টাকা আর অভিজাত জীবনের জন্য পরীমণি ও নজরুল রাজ সব ধরনের অপকর্মে সায় দেন। তাদের ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হন দেশের অনেক ধনী ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি-বেসরকারি দফতর ও করপোরেট অফিসের কর্মকর্তা এবং বিদেশি নাগরিক।
বিশেষ করে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির উচ্চ বেতনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রকল্পে উচ্চ বেতনে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের টার্গেট করে এ সিন্ডিকেট। অনেক বিদেশি নাগরিককে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ছবি তুলে বা ভিডিও করে শিকারে পরিণত করেন চক্রের সদস্যরা। ফলে অল্প সময়ে পরীমণি, নজরুল ও তাদের সহযোগীরা কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও মূল্যবান অলঙ্কার, নামে-বেনামে ব্যবসার মালিক হন।
আরও জানা গেছে, রাজ সিন্ডিকেটের সহায়তায় পরীমণি শুটিং বা মডেলিংয়ের আড়ালে প্রভাবশালীদের সঙ্গই বেশি ভালোবাসতেন। অভিজাত ক্লাব বা তারকা হোটেলে গিয়ে প্রভাবশালীদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতেন। কয়েকটি ব্যাংকে পরীমণির মোটা অঙ্কের অর্থ জমা রয়েছে। যার বেশির ভাগই তিনি পেয়েছেন প্রভাবশালীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গতার সুবাদে। তিনি অর্থের জন্য পর্নোগ্রাফিতেও নাম লেখান। অর্থের নেশায় পরীমণি ও নজরুল শোবিজ তারকা ও মডেলদের নিয়ে বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।
উঠতি মডেল ও চিত্রনায়িকাদের নানা ভঙ্গির ছবি তুলে পাঠিয়ে দিতেন উচ্চবিত্তের লোকজনের কাছে। এসব ছবি দেখে এবং তাদের আসরে হাজির হয়ে ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। আবার মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে শুটিংয়ের নামে পছন্দের মডেল নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ করে দিতেন নজরুল ও তার সহযোগীরা। প্রভাবশালীদের কেউ কেউ পরীমণিকে নিয়েও দেশের বাইরে যান।
জানা গেছে,পরী ব্যাপক ভ্রমণপিপাসু। উৎস অজানা থাকলেও বিপুল অর্থ ব্যয় করে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেড়াতে যেতেন। সর্বশেষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে তাকে দেখা গেছে একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী নিয়ে সাগরে ঘুরে বেড়াতে। সে সময় তিনি বুর্জ আল খলিফার প্রেসিডেন্ট স্যুটে ছিলেন। সেখানকার ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করেন এ নায়িকা। এছাড়া ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় পলাতক আসামি বিতর্কিত ব্যবসায়ী চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আজিজ তাকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া ছবিতে অভিনয় করা কালেই তার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এক সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। দীর্ঘদিন পরী তার ছত্রছায়ায় ছিলেন। বিভিন্ন কারণে সেই সংসদ সদস্যের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। তবে এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কিছু শিল্পপতির সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠে।
প্রথম ছবির পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন পরী। সর্বশেষ তার অভিনীত তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘স্ফুলিঙ্গ’ ছবিটি মুক্তি পায়। কিন্তু কোনো ছবিই ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পায়নি। সম্প্রতি তিনি কাজ করেন সঞ্জয় সমদ্দারের ‘বায়োপিক’ ও রশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’ ছবিতে। প্রতি ছবিতে তার পারিশ্রমিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে পারিশ্রমিকের গড় হিসাব এবং বিজ্ঞাপন অর্জিত অর্থের সঙ্গে তার জীবনযাপনের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। যেখানে অনেক নামকরা ও সুপারহিট সিনেমা উপহার দেওয়া চিত্রনায়িকা যুগের পর যুগ অভিনয় করেও উল্লেখ করার মতো অর্থবিত্তের মালিক হতে পারেননি; সেখানে পরীমনির মতো নায়িকা মাত্র অল্প কয়েক বছরে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর! ক্যারিয়ারে সাফল্যহীন একজন নায়িকার পক্ষে বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটে বসবাস এবং দামি গাড়ি কেনাসহ অল্প সময়ে অর্থবিত্তের মালিক হওয়া অসম্ভব বলেই মনে করেন সংশিষ্টরা।
গত বুধবার বিকালে বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসা থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ৪ গ্রাম আইস, ১ ব্লট এলএসডি, সিসা জব্দ করা হয়। এরপর প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মাদক ও সিসার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এছাড়াও তাদের আরও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বনানী থানা সূত্রে জানা গেছে, পরীমনিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মাদক মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে পরীমনি
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালতে তাকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। তখন বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরীমনি ছাড়াও ওই মামলার আরেক আসামী আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপুকেও চার দিনে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাত ৯টার দিকে বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া জানিয়েছেন, পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরীমনিকে আদালত থেকে ডিবি অফিসে নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার রাতে বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে আটকের পর র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বনানী মডেল থানায়।
বিকেলে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) এর সারণি ২৪(খ)/ ৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪২(১)/৪১ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার নম্বর ৫।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নায়িকা পরীমনি নিয়মিতই নিজের বনানীর বাসায় মদের পার্টি বসাতেন।
র্যাবের ভাষ্য, ওইসব ঘরোয়া পার্টিতে মদ ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য সরবরাহ করতেন গতকালের অভিযানে আটক রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সিন্ডিকেট।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গ্রেফতারকৃত শামসুর নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমনি ২০১৬ সাল হতে অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়েন। তার ফ্ল্যাট হতে বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নিয়মিত এ্যালকোহল সেবন করে থাকেন। মাত্রাতিরিক্ত সেবনের চাহিদা মেটানোর লক্ষে বাসায় একটি মিনি বার স্থাপন করেছেন। মিনি বার থাকায় তার ফ্ল্যাটে ঘরোয়া পার্টি অয়োজন পরিপূর্ণতা পেত বলে তিনি জানান। গ্রেফতারকৃত মোঃ নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের সরবরাহ করত এবং পার্টিতে অংশগ্রহণ করত বলে গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।”
র্যাব জানিয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে বিদেশী ৭টি ব্র্যান্ডের ১৯ বোতল মদ, ৪ গ্রাম আইস, এক ব্লট এলএসডি ও ১টি বং পাইপ উদ্ধার করেছে তারা।
উল্লেখ্য,দেশের সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালী গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। তার পুরো নাম শামসুন নাহার স্মৃতি। তার নানারা খুবই গরিব ছিলেন। সেখানে এসএসসি পাসের পর খালাত ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম বিয়ে হয় পরীমনির।
পরীমনির নানা শামসুল হক গাজী জানান, পরীমনির মায়ের মৃত্যুর পর তাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। সে আমাদের বাড়িতে থেকে স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া করে। অত্যন্ত মেধাবী ছিল সে। গরিব হওয়ায় কোনো প্রাইভেট পড়তে পারেননি পরীমনি। তারপরও তিনি ভগিরাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়।
তিনি জানান, প্রথমবার ফেল করলেও দ্বিতীয়বার এসএসসি পাশ করে। পরে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তি হলেও বরিশালে থাকা খালাতো ভাই ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। সেখানে ২ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর বিচ্ছেদ হয়।
স্থানীয়রা জানান, উচ্ছৃঙ্খল জীবনের জন্য খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ২০১৯ সালে দ্বিতীয় ও ২০২০ সালে তৃতীয় বিয়ে হয় পরীমনির।
স্থগিত হচ্ছে শিল্পী সমিতির সদস্য পদ :
এদিকে শিল্পী সমিতি থেকে পরীমনির সদস্য পদ স্থাগিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।
তিনি বলেন, পরীমনি যেহেতু অভিযুক্ত, তাই সমিতির রেজুলেশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এমনও হতে পারে, সমিতিতে তার সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত হতে পারে। সমিতির গঠনতন্ত্রের ৬-এর ‘খ’ ও ৯-এর ‘গ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনোও সদস্য যদি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে কোনো কাজে লিপ্ত হন সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত হবে।
জায়েদ খান বলেন, আদালতে যদি প্রমাণ হয় তিনি নির্দোষ, তাহলে সদস্যপদ ফিরে পাবেন। আর যদি দোষী সাব্যস্ত হন, আজীবনের জন্য সদস্যপদ হারাবেন।
Posted ২:১৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ আগস্ট ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta