এস এম জুবাইদ,পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় শালিসি বৈঠকে থানার কম্পাউন্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আবদুল মান্নান (৩৯) কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
আহতকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জখম গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পেকুয়া থানা কম্পাউন্ডে এ ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি কইড়ার পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল অদুদ এর ছেলে ও মোবাইল ফোন কোম্পানি ‘রবি’ এর এরিয়া ম্যানেজার বলে জানাগেছে।
এ ঘটনায় শাহাব উদ্দিন (৪৫) নামের এক জনকে আটক করছে পুলিশ। সে একই এলাকার হাজী দৌলত এর পুত্র।
জানাগেছে, টইটংয়ের পশ্চিম সোনাইছড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল অদুদ ও তার নিকট আত্মীয় শাহাব উদ্দিন গংদের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এনিয়ে পেকুয়া থানায় আবদুল অদুদ বাদী হয়ে শাহাব উদ্দিন সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
ঘটনার দিন সকালে পেকুয়া থানার এএসআই আপ্যায়ন বড়ুয়া দুপক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠক করেন। থানার নারী ও শিশু সুরক্ষা ডেস্ক কক্ষে ওই বৈঠকে দুপক্ষের সিদ্ধান্ত অমিমাংসিত থেকে যায়।
এমনকি ১১ এপ্রিল পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈঠক শেষে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা সহ উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় শাহাব উদ্দিন গং চড়াও হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল অদুদ এর ছেলে আবদুল মান্নান ওরফে মিশুকে মারধর করে।
এক পর্যায়ে নাকে ঘুষি মেয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল অদুদ বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে থানায় দুপক্ষের বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষ করে বের হওয়ার সময় আমার ছেলেকে অতর্কিতভাবে হামলা করেছে। তাঁর নাকের হাড় ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে টইটং ইউপির সদস্য ইলিয়াস মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, দু’পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে আমিও বৈঠকে ছিলাম। এ পর্যন্ত তিন দফা বৈঠক হয়েছে। তবে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি।
একপক্ষ আরেক পক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করে।
পেকুয়া থানার এএসআই আপ্যায়ন বড়ুয়া জানান, একটি জিডির তদন্তের জন্য দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসছিলাম। থানার বাহিরে তাঁরা মারপিট করছে। একজনকে আটক করা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুল আলম জানান, আবদুল মান্নানকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তাঁর নাকের আঘাত গুরুতর।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, জায়গার বিরোধ ছিল দুপক্ষের। বৈঠক শেষে তারা মারপিট করেছে। পুলিশ একজনকে আটক করে। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) এম এম রকীব উর রাজা বলেন, বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়নি। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৪:২০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta