নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :: পেকুয়ায় ৯ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী কক্সবাজার পৌরসভার লাবণী পয়েন্ট থেকে নিখোঁজ হয়েছে। গত ৪ দিন আগে থেকে নিখোঁজ হওয়া মেয়েটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে মেয়ের পিতা পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন। নিখোঁজ হওয়া স্কুল ছাত্রীর নাম ওমামা জন্নাত মুনমুন (১৫)। তার বাড়ি পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া সেগুনবাগিচায়।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর পিতা আমির হোসেন প্রকাশ কালু বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় গত ২ দিন আগে লিখিত অভিযোগ পৌছান।
অভিযোগ সুত্র জানায়, ২৫ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) আমির হোসেন প্রকাশ কালুর মেয়ে জারুলবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী ওমামা জন্নাত মুনমুন সকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলে বিশেষ ক্লাস চলমান রয়েছে। শ্রেনীকার্যক্রমে যোগদানের জন্য যাওয়ার পথে মেয়েটি জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাত সিএনজিযোগে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
একই এলাকার সোলতান আহমদের ছেলে ফরিদুল আলম (২২) ওই ছাত্রীকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে একটি মুঠোফোন থেকে মেয়েকে কক্সবাজার শহরে নিয়ে আসার কথা জানানো হয়েছে। এরপর থেকে আমার মেয়ে মুনমুন নিখোঁজ রয়েছে। আমার ধারণা ফরিদুল আলম নামক বখাটে মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে অপহরণপূর্বক গুম করা হয়েছে। এ দিকে স্কুল ছাত্রী মুনমুন নিখোঁজ নিয়ে এলাকায় পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
সেগুনবাগিচার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকে জানান, সোলতান আহমদের ছেলে ফরিদুল আলম ও প্রতিবেশী আমির হোসেন প্রকাশ কালুর মেয়ে ওমামা জন্নাত মুনমুনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমিক জুটি বিবাহের জন্য ওই দিন এলাকা থেকে কক্সবাজার শহরে পাড়ি দেন।
স্থানীয়রা সন্দেহভাজন অবস্থায় লাবণী পয়েন্টে প্রেমিক জুটিকে আটক করে। এ সময় কয়েকজন স্থানীয় ছেলে প্রেমিক ফরিদুল আলমকে মারধর করে। লাবণী পয়েন্টের সাংষ্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিকা মুনমুন রিক্সায় ছিল। মারধরের অবস্থায় মেয়েটি সেখান থেকে সটকে পড়ে। এরপর কক্সবাজার সদর থানায় ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকরা গিয়ে আইনী সহায়তা চান।
পরে পেকুয়া থানায় এসে বিষয়টি অবহিত করা হয়। ২ দিন পর পেকুয়া থানায় মেয়ের বাবা প্রেমিক ফরিদুল আলমকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সেগুনবাগিচার মিজানের স্ত্রী শাহীন, আবুল হাসেমের স্ত্রী তাহেরা বেগম জানান, অপহরণ করা হয়নি। ফরিদ ও মুনমুনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা বিয়ে করতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মেয়েকে অভিভাবকরা আত্মগোপন করে রেখেছে। আমরা বলেছি ছেলে যেহেতু বিয়ের জন্য নিয়েছে বিয়ে ছাড়া আর কোন সমাধান নেই।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী কুলসুমা বেগম, সেকান্দরের স্ত্রী হুমায়রা জানান, তারা প্রেমিক জুটি। মামলা মোকদ্দমায় না গিয়ে বিয়ের মাধ্যমে ওই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
ফরিদের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পাওয় মাত্র আমিও কক্সবাজার গিয়েছিলাম। মেয়ের বাবা ও আমরা সমঝোতায় পৌছি। কিন্তু পরবর্তীতে তারা অন্যদৃষ্টিভঙ্গির দিকে ধাবিত হয়। পুলিশ এসেছিল স্থানীয়রা এ ২ জনের পালানোর বিষয়টি সুষ্পষ্টভাবে ধারণা দিয়েছি।
Posted ৮:৫৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০১ মার্চ ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta