নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২ মে) :: পেকুয়ায় এরশাদ আলী ওয়াকফ ষ্টেটের জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ১ মে (শুক্রবার) গভীর রাতে স্থাপনা নির্মাণকে কেন্দ্র করে চাচা ও ভাতিজার মধ্যে এ ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ওই স্থানে জড়ো হন। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রামবাসীরা দু’পক্ষের উত্তেজনা প্রশমিত করেন। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বদু মিয়া হাজীর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বদুমিয়া হাজিরপাড়ায় মৃত মোজাহের মিয়ার পুত্র আলী আহমদ ও মৃত ফয়েজ আহমদের নুরুল আমিন গংদের মধ্যে ৭৬ শতক জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
সুত্র জানায়, ওই জায়গা এরশাদ আলী ওয়াকফের জমি। রায়তী স্বত্তের ভোগ দখলদার হিসেবে আলী আহমদ ও ফয়েজ আহমদের পিতা মোজাহের মিয়া পরিবার পরিজন নিয়ে বসতবাড়ি করেন। সেই সময় থেকে ওই জায়গা মোজাহের মিয়ার দুই পুত্র ও ১ মেয়ের সম্পত্তি হিসেবে স্বীকৃত। তবে দুই ভাই ও ১ বোনের সম্পত্তি আলী আহমদ একক ভোগ দখলে রাখে। এ নিয়ে ভাই বোনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। টইটং ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে মামলা ছিল। জায়গার পরিমাপ ও স্থিতিবস্থা নির্ণয় করে রায় প্রচার করে। প্রতি ভাই ২৯ শতক প্রাপ্ত অংশ প্রাপ্ত হন। ১ মেয়ে ছৈয়দা খাতুন সাড়ে ১৪ শতক অংশের প্রাপ্ত হন।
এ দিকে ওই জমিতে মোজাহের মিয়ার ছেলে আলী আহমদ একাই ভোগ করার কুমানসে রাতে স্থাপনা নির্মাণ কাজের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফয়েজ আহমদের ছেলে নুরুল আমিন ও নুরুল ইসলাম গং এসে বাধা দেয়। এ সময় হট্টগোল অবস্থা দেখা দেয়।
আলী আহমদ সম্পত্তির জন্য কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা রুজু করে। যার নং ২৮৬/২০। ১৪৪ ধারার জন্য বাদীপক্ষ আর্জি পেশ করেন। এসিল্যান্ড পেকুয়াকে এর দায়িত্বভার ন্যাস্ত করেন। ওসি পেকুয়াকে জায়গার অনুপ্রবেশ রুদ্ধ করা ও শান্তি শৃংখলা রক্ষার জন্য তাগিদ দেন আদালত। জমি ওয়াকফ মালিকানাধীন। খতিয়ান ও রেকর্ডও ওয়াকফের নামে প্রচার আছে। কিন্তু আলী আহমদ গং তথ্য গোপন করে এমআর মামলা রুজু করেছে।
ফয়েজ আহমদের ছেলে নুরুল আমিন জানান, তারা ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে রাতে জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টা চালায়। বাদী মামলা করেছে এখন স্থিতিবস্থা ভঙ্গ করছে বাদী নিজেই।
নুরুল আমিনের স্ত্রী মিনু আরা বেগম জানান, আমার দাদা শাশুড়ের অংশ চাচা শাশুড় আলী আহমদ আগে বিক্রি দিয়েছেন। ওয়াকফের এ জায়গাটিও দাদা শাশুড়ের। আমরাও সেখানে হকদার।
ছৈয়দা খাতুনের ওয়ারিশগন জানান, মামা আলী আহমদ এককভাবে জায়গাটি কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র করছে। বিচার ও সালিশি বৈঠকে জায়গার বন্টন নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এ সব না মেনে আলী আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোছন গং জায়গাটি জবর দখলের কুমানসে লিপ্ত হয়েছে।
Posted ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta