নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৮ মে) :: পেকুয়ায় উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে দু’পক্ষের উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে। ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর ও ২ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজুর মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ওই ইউনিয়নে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছিল।
এর সুত্র ধরে সম্প্রতি রাজাখালীতে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ প্রকট হয়েছিল। দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়াও হয়েছে। পেকুয়া থানার পুলিশ কয়েক দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উত্তেজনা প্রশমিত করতে পুলিশ রাজাখালী ইউনিয়নে বামলারপাড়া, সবুজ বাজারে টহল জোরদার করে। শান্তিশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ সবুজ বাজারে অবস্থান সুসংহত করে। এ দিকে সৃষ্ট ঘটনার দু’দিন পরে উদ্ভট পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলছেন রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর।
চলমান পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা ছৈয়দ নুর জানান, রাজাখালীকে নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বক্তব্য, সংবাদ প্রচার, লেখালেখি হচ্ছে। বিশেষ করে আমাকে জড়িয়ে এ সব লেখা।
ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজুকে অপহরণ ও মারধর করা হয়েছে ওই সবে আমাকে জড়িয়েছে একটি চক্র। সে দিন নেজু মেম্বারকে অপহরণ ও মারধরের কথাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও অবান্তর। বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। নেজু মেম্বার, আজু মেম্বারসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য পরিষদে গিয়েছিলেন বকেয়া বেতনের জন্য।
বেসরকারী অংশ পরিষদ তহবিল থেকে নিতে তারা পরিষদে হাজির হন। বেতন নিয়ে পরিষদ সচিব সালাহ উদ্দিন ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। সচিব সম্মত হন ১ বছরের বকেয়া বেতন পরিষদ থেকে ছাড় দিবেন। তারা বকেয়া সব বেতন এক সাথে ছাড় চেয়েছিলেন। কিন্তু নীতিমালায় অসমর্থিত থাকায় পরিষদ সচিব রাজি হননি। এর সুত্র ধরে নেজু মেম্বার, আজু মেম্বার সচিবকে গালি গালাজসহ প্রহৃত করার চেষ্টা করে।
এ পরিস্থিতিতে সচিব আমাকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করে। আমি সচিবকে লাঞ্চিত থেকে রক্ষা ও দু’পক্ষের উত্তেজনা থামাতে দ্রুত বাড়ি থেকে পরিষদে আসি। নেজু মেম্বারসহ উত্তেজিত মেম্বারদের পরিষদ কার্যালয় থেকে সরিয়ে দিয়েছি। সচিবকে নিরাপত্তা দিয়েছি। সেখানে উপস্থিত কিছু মানুষ নেজু মেম্বারের আচরনে ক্ষুদ্ধ হন। তাকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে অল্প দুরে দিয়ে আমি বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে দেখেছি এ ঘটনাকে রং ছিটিয়ে কল্পকাহিনী রটিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করছে।
আসলে রাজাখালীতে সব অপশক্তি এক হয়েছে। তারা রাজাখালীর উন্নয়ন ও আর্থসামাজিক মর্যাদাকে ম্লান করতে চান। আমি ছৈয়দ নুর চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সব অপতৎপরতা রাজাখালীতে নিরুৎসাহিত হয়েছে। অবসান হয়েছে জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়ন। চোর, ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা এক জায়গায় তারা এক। শুধু আমাকে ঘায়েল করতে এরা এক হয়েছে। অস্ত্র কারবারী, ইয়াবা কারবারী, মানবপাচারকারীরা এক সিন্ডিকেটে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
এরা চাই ছৈয়দ নুরের প্রতিবাদ থেমে যাক। রাজাখালীতে লবণ মাঠের পলিথিন কেটে ফেলেছে। অস্ত্র দিয়ে নিরীহ মানুষকে জেলে দিচ্ছে। এরা কারা। একটু নজর ও তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। আমাকে এ সব ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমি কোন অপশক্তির ভয় ও হুমকিতে ভীত নই। মোটেও দুর্বল নই আমি।
Posted ৩:৫৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta