নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৭ আগষ্ট) :: পেকুয়ায় একজন গুলিবিদ্ধসহ সংঘর্ষে ৪ জন জখম হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা গুরুতর। তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ফসলী জমির আধিপত্য নিতে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়েছে। ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
বর্ষিয়ান আ’লীগ নেতার দখলীয় জমি দখলে নিতে প্রতিপক্ষ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী জড়ো করে। আতংক ও ভীতি ছড়াতে তারা ১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
১৬ আগষ্ট দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সরকারীঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম ইউসুফ আকবর (২৯)। তিনি সৌদি প্রবাসী ও সদর ইউনিয়নের সরকারীঘোনা গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে।
অপর আহতরা হলেন- একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ হোসন (৪০), মৃত আবদু ছমদের ছেলে নুরুচ্ছফা (৬২), মৃত নুরুল কবিরের ছেলে মোহাম্মদ জাকের হোসেন (৩৫)।
জখমী মোহাম্মদ হোসেনের অবস্থাও গুরুতর। তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে দেয়। দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ফসলী জমি নিয়ে সরকারীঘোনা গ্রামে মৃত মোহাম্মদ আকবরের ছেলে সদর ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের প্রবীণ সংগঠক বদিউল আলম মেম্বার ও একই এলাকার জয়নাল আবদীন গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
ঘটনার দিন দুপুরে জয়নাল আবদীন গং ভাড়াটে সন্ত্রাসী জড়ো করে বদিউল আলম মেম্বারের ভোগ দখলীয় জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এর সুত্র ধরে জয়নাল আবদীন গং অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তারা ১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ওই প্রবাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। উত্তেজিত লোকজন এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে বদিউল আলম মেম্বার গংদের আরও তিনজনকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
সদর ইউপির সাবেক সদস্য ও আ’লীগ নেতা বদিউল আলম জানায়, জয়নাল আবদীন গং অস্ত্র স্বস্ত্র ও দা কিরিচ নিয়ে আমার জমি দখলের চেষ্টা চালায়। তারা বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ে। আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। চাষাসহ আরও তিনজন গুরুতর জখম হয়।
পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূইয়া জানায়, এজাহার পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Posted ৮:৩৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta