মোঃ ফারুক,পেকুয়া(৩০ জুন) :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রির প্রতিযোগিতায় নেমেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। পলিথিন, কারেন্ট জাল, নিষিদ্ধ বিড়ি সিগারেট বিক্রি করলেও প্রশাসন কার্যত কোন ধরণের অভিযান পরিচালনা না করায় তারা অারো বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেছেন।
বিশেষ করে পেকুয়ার বৃহত্তর বাজার কবির অাহমদ চৌধুরী বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে এসমস্ত নিষিদ্ধ পণ্য। একদিকে সরকারকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি অন্যদিকে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মোখিন হচ্ছে। সুশীল সমাজের অাক্ষেপ অসাধু ব্যবসায়ীদের খুটির জোর কোথায়।
রবিবার সরেজমিনে পেকুয়া বাজারে দেখা যায় অাশেক মাশেক ষ্টোরে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। তা পুরো উপজেলায় পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। কবির ষ্টোরে মাছ ধরার অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে। আর সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে নিষিদ্ধ বিড়ি ও সিগারেটের এজেন্ট আহমদ কবির উপজেলার সব এলাকায় সরবরাহ করছে।
এছাড়াও বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, বিভিন্ন তৈলসহ কয়েক ধরণের অবৈধ এবং নিষিদ্ধ পণ্য ব্যবসায়ীরা বিক্রি রাতারাতি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অার সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত এই অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এসব পণ্য যারা বিক্রি করে তাদের নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। তাদের কারণে অন্য ব্যবসায়ীরাও অাতংকের মধ্যে অাছে।
তারা আরো বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অাশেক মাশেক স্টোরর থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন ক্রয় করা পাইকারী ক্রেতা রফিক অালম বলেন, তাদের স্টোর থেকে অামি প্রতিনিয়ত পলিথিন ক্রয় করি। নিষিদ্ধ কিনা অামি জানিনা।
কবির স্টোর থেকে কারেন্ট জাল ক্রয় করা মগনামার এক মৎস্য চাষী বলেন, অামরা গরীব মানুষ। কারেন্ট বসিয়ে মাছ ধরে সংসার চালায়। তারা যা দাম চাই তা অামরা দিতে বাধ্য।
রাজাখালীর কবির অাহমদ বিভিন্ন রকমের নকল বিড়ি ও সিগারেট উপজেলার প্রতিটি পয়েন্টে পৌছে দেন। পেকুয়া বাজারের মুড়ি গলধির একটি ছোট দোকান থেকে এ সমস্ত বিড়ি সিগারেট সরবারহ করে থাকে।
তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অামি বিড়ি সিগারেট বিক্রি করি।
পলিথিন বিক্রির অাশেক বলেন, অামরা পলিথিন বিক্রি করি তা সবাই জানে। অাপনারা নিউজ করিয়েন না। অামরা অাপনাদের সাথে অালাপ করবো।
জানতে চাইলে এবিষয়ে পেকুয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহাবুব উল করিম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পণ্য বাজারজাত করার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।