নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১১ মে) :: পেকুয়ায় একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে দু’স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারন করেছে। পুকুর দখল ও বেদখলকে কেন্দ্র করে মৃত ব্যক্তির সৎ ভাইদের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
এর সুত্র ধরে ইতিমধ্যে এক দফা মারপিট ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও হয়েছে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি রমিজপাড়া গ্রামে এ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই এলাকার মৃত হাজী এজাহারুল হকের স্ত্রী ছফুরা বেগমের নামে ১ একর ২০ শতক আয়তন বসতভিটা দানপত্র করেন। এজাহারুল হকের ২ স্ত্রী। ছফুরা বেগম ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী হন। এ সংসারে ৫ মেয়ে ও ২ ছেলে আছে।
অপরদিকে এজাহারুল হকের ১ম স্ত্রীর সংসারে ৬ ছেলে ২ মেয়েসহ মোট সন্তান সন্ততি ১৫ জন। এজাহারুল হক মৃত্যুবরণ করার পর তার রেখে যাওয়া স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ভাই বোনদের মধ্যে আপোষমূলে বন্টন হয়েছে। হলফনামামূলে ওয়ারিশগন সম্পত্তির বন্টন চুড়ান্ত করে। যার যার ভোগ দখল নিজেরাই করছে।
এ দিকে সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রী ছফুরা খাতুনের নামে দানপত্রকৃত ১ একর ২০ শতক বসতভিটা নিয়ে ১ম স্ত্রীর ২ সন্তান এহেছানুল হক মানিক, এনামুল হক, ১ মেয়ে কামরুন্নাহার গং ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান আনোয়ারুল হক, আতিকুর রহমান গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
সুত্র জানায়, বসতভিটা এ জায়গাটি টইটংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন আহমদ গ্রহীতার অনুকুলে ছফুরা বেগমকে দাতা হিসেবে রেজিষ্ট্রি দেন।
সে সময় থেকে ছফুরা বেগম ওই জায়গা ভোগ করছিলেন। ছফুরা খাতুনের ছেলে ৪০ শতক আয়তনের বসতভিটার পুকুরটি মৎস্য চাষের জন্য এদের নিকটাত্মীয় শাকেরকে বন্ধক দেন। গত তিন দিন আগে শাকের ওই পুকুর থেকে মৎস্য আহরণ করছিলেন। এ সময় এনামুল হক ও মানিকসহ ভাড়াটে লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় এসে বাধা দেয়।
শাকের জানায়, তারা হিংস্র হয়েছে। পুকুরটি আমি বন্ধক নিয়েছি। কয়েক বছর ভোগ করেছি। মাছ আহরণের সময় অহেতুক বাধা দিচ্ছে।
এজাহারুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে আনোয়ারুল হক ও আতিকুর রহমান জানান, এনাম ১৬ শতক জায়গা ক্রয় করার শর্ত সাপক্ষে আমার মায়ের বসতভিটায় আপতত অস্থায়ী ভাবে বসবাস করছি। দু’পাশে আমরা ভোগ করছি। তারা এখন আমাদেরকে হয়রানি করছে। ৪ দিন আগে এনাম গং ভাইয়ে ভাইয়ে মারপিট দিয়ে হতাহত হয়েছে।
আজিজ নামক ভাইকে কুপিয়ে তারা নিষ্টুরভাবে জখম করে। এখন ছেলে সন্তান নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করার হাকবকা করছে। নিজেরা জায়গা বিক্রি করে দিয়েছে। এখন আমাদের দখলীয় জায়গার উপর কুদৃষ্টি দিয়েছে।
নুরুন্নবী, মনু, হাজী এজাহারুল হকের ছেলে আজিজ, এম,কম কামাল হোসেনসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রমিজপাড়া এখন অশান্ত গ্রাম। এনাম ও আতিকের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত ঘটেছে। কিছু দিন আগে থেকে এখানে একাধিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
নিজের ভাই ও ভাতিজিকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ওই চক্র এখন মুর্তিমান আতংক। আমরা খুবই শংকিত। কখন কার উপর আক্রমন হয় এর নিশ্চয়তা নেই। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি কয়েকটি সমাজকে একত্রিকরণ করে আমরা বৈঠক ডাকব। এ অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জানিয়ে রাখব।
Posted ১০:৫৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta