নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৮ এপ্রিল) :: পেকুয়ায় জায়গার বিরোধ নিয়ে এক বিধবার সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় ওই দুবৃর্ত্তরা বসতবাড়িতে হানা দেয়। তারা ভিতরে প্রবেশ করে স্বর্নালংকার, নগদটাকা ও জায়গা জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। পেকুয়া থানা পুলিশ ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন।
৮ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাহাড়িয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, বসতভিটার আনুমানিক ৭ শতক জায়গা নিয়ে পাহাড়িয়াখালীর মৃত আহমদ হোছনের স্ত্রী হুরি জন্নাত ও একই এলাকার মানিকের সাথে বিরোধ চলছিল। ওই দিন সকালে বিধবা হুরি জন্নাত ও মেয়ে মরিয়ম জোবাইরা সকালে চকরিয়ায় যায়।
এ সুবাধে ওই দিন সকাল ১০ টার দিকে মানিকসহ প্রায় ১০/১৫ জনের দুবৃর্ত্তরা বিধবার বসতবাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা বসতবাড়ির প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য সীমান প্রাচীর গুড়িয়ে দেয়। এ সময় মানিকের বসতভিটার সীমানা বিস্তৃত করতে হুরি জন্নাতের সীমা রেখায় তারা ঢুকে পড়ে।
তাদের অনুপস্থিতিতে সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দিয়ে মানিকের বসতভিটার সাথে এ বিধবার বসতভিটা একাকার করে। এক পর্যায়ে সেটি জবর দখলে নিয়ে ওই স্থানে কাটাতার দিয়ে ঘেরা দেয়। এ ছাড়া বসতবাড়ির তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা নগদ টাকা, স্বর্নালংকার ও জায়গা জমির দলিলপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
দুপুরের দিকে হুরি জন্নাত ও তার মেয়ে মরিয়ম জুবাইরা বাড়িতে এসে এ দৃশ্য দেখতে পান। পেকুয়া থানা পুলিশ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর সেখানে পরিদর্শনে যান।
সুত্র জানায়, বসতভিটার জায়গার বিষয়ে পেকুয়া থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ আছে। বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে থাকার পরও ওই দিন এ কান্ড সংঘটিত করে।
বিধবা হুরি জন্নাত জানায়, অত্যাচার বরদাশত করা যাচ্ছে না। আমার ৪০ বছরের সীমানা প্রাচীর তারা মিশিয়ে দিয়েছে। একটি রান্না ঘর মিশিয়ে দেয়। আমার উঠান দখলে নিতে ঘিরা বেড়া দেয়। তারা বেআইনী জনতা গঠন করে দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে জায়গা দখলে নিতে চেষ্টা করে।
প্রাচীর নির্মাণ করতে আমার বসতভিটা গর্ত করা হয়েছে। আমি একজন বিধবা। আমার কোন ছেলে সন্তান নেই। ৩ মেয়ে এ সম্পত্তির মালিক। এদের হুমকি মারধর ও নিপীড়নের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Posted ৮:৪০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta