নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৪ অক্টোবর) :: পেকুয়ায় বাঁশের সাকো কেটে ফেলানোর ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হয়েছে। জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের দুর্গম ছনখোলার জুম এলাকায় মাহামুদুল্লাহ মেস্ত্রীর ৯ ছেলেদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারন করেছে। এর জের ধরে সোনাইছড়ি ছড়ার উপর নির্মিত দীর্ঘ ২৫ বছরের পারাপার সাঁকো রাতের আধারে কেটে ফেলানো হয়েছে।
ভাইদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরী হয়েছে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে ভাড়াটে লোকজন জড়ো করা হচ্ছে।
অভিযোগ হয়েছে পাল্টাপাল্টি। ভাইদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বৈঠক চলছিল। বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েছে। এতে করে ছনখোলারজুম এলাকায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
উত্তেজনা প্রশমিত করতে স্থানীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গ দুপক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠক করেছেন। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মৃত মাহামুদুল্লাহ মেস্ত্রীর ৫ কানিরও অধিক রিজার্ভ সম্পত্তি নিয়ে সহোদরদের মধ্যে বিরোধের সুত্রপাত হয়েছে।
মাহামুদুল্লাহ মেস্ত্রীর ছেলেদের মধ্যে ৭ জন এক পক্ষে। অপরদিকে তার দ্বিতীয় ছেলে জয়নাল আবেদীন পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে ওই ৭ ভাইকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। জানা গেছে, জয়নালের স্ত্রীর ভাই আবুল কাছিম পৃথক ভাবে মাহামুদুল্লাহ মেস্ত্রীর কাছ থেকে ৪০ শতক জায়গা ক্রয় করেন। জায়গাগুলি সব ছেলেদের অনুকুলে।
সম্প্রতি এ জায়গা নিয়ে জয়নালের সাথে অপর ভাইদের বিরোধ দেখা দেয়। জয়নাল এর জের ধরে ফাঁসিয়াখালী এলাকা থেকে তার শাশুর বাড়ীর লোকজনসহ ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এলাকায় আধিপত্য তৈরীর চেষ্টা চালায়। বনকানন বাজারে মাহামুদুল্লাহ মেস্ত্রীর ছেলে হেলাল মেস্ত্রী, আবু জাফর, আবু ছালেককে মারধরের চেষ্টা চালানো হয়।
এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরদিন গভীর রাতে জয়নাল, আবুল কাছিম, তিন মেয়ের জামাতাসহ উত্তেজিত লোকজন ছড়ার পারাপার সাকো কেটে দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা আরো ঘনীভূত হয়।
জানা গেছে, এ নিয়ে জয়নাল তার অপর ভাইদের আসামী করে পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে প্রবাসী আবু জাফর,হেলাল মেস্ত্রী গং বাদী হয়ে টইটং ইউনিয়ন পরিষদে জয়নালকে বিবাদী করে অপর একটি অভিযোগ দায়ের করে। পারাপার সাঁকো কেটে দেয়ায় ছনখোলারজুম এলাকায় পারাপার থেমে গেছে। ছড়াটি খরস্রোতা হওয়ায় সেটি পারাপার দুস্কর হয়েছে।
মোহাম্মদ ছাহেদ, মোহাম্মদ রাকিব ও সুমি আক্তারসহ শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। সাঁকো বিচ্ছিন্ন থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়েছে।
টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, তারা একজন অপরজনের সাথে লেগে গেছে। সাঁকোটি অন্যায়ভাবে কেটে ফেলানো হয়েছে। নিস্পত্তির চেষ্টা করছি।
Posted ১০:২৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta