নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১০ মে) :: পেকুয়ায় সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় মাদ্রাসার অধ্যয়নরত ১০ম শ্রেনীর ছাত্রসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ২ জন নারীও রয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এ ২ জনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ৭ মে বিকেলে ও পরের দিন ৮ মে রাত ৮ টার দিকে পৃথক দু’দফা সংঘর্ষ হয়েছে।
আহতরা হলেন সিরাদিয়া এলাকার মাষ্টার আবুল কাশেমের ছেলে মুহাম্মদ কাইছার উদ্দিন (৪০), মৃত এমদাদ মিয়ার ছেলে আফতাব উদ্দিন (৬০), তার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৫০), ছেলে সালাহ উদ্দিন (৩০), কাইছার উদ্দিনের ছেলে পেকুয়া হেদায়তুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেনীর ছাত্র আবুল হাসনাত বাহাদুর (১৫), আবুল কাশেম মাষ্টারের স্ত্রী লায়লা বেগম (৬০), ছেলে বাবুল হোসেন, এমরান। আফতাব উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন ও স্ত্রী পারভীন আক্তারকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পেকুয়া থানা পুলিশ দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিরাদিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সিরাদিয়ায় মৎস্য ঘেরের মালিকানা ও ওয়াসিলা নিয়ে আবুল কাশেম মাষ্টারের ছেলে কাইছার উদ্দিন, মৃত এমদাদ মিয়ার ছেলে আফতাব উদ্দিন গং ও প্রতিবেশী মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে আ’লীগ সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এম,আজম খান, তার ভাই জয়নাল গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর সুত্র ধরে ৭ মে বিকেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় উভয়পক্ষের ১০ জনের অধিক লোকজন আহত হয়েছে। পরের দিন ৮ মে ঘটনার রেশ ধরে রাতে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কাইছার উদ্দিন গংদের কয়েক জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
কাইছার উদ্দিন জানান, গরু বিক্রির টাকাসহ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আমি পেকুয়া বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম। পথিমধ্যে জয়নাল আবেদীন, তার ভাতিজা ইয়াসির আরফাত, দুলা মিয়ার ছেলে জিয়াবুল করিম, রুস্তম আলীর ছেলে মকছুদ, ফোরকান, পারভেজ, নাইবুসহ ১০/১২ জনের দুবৃর্ত্তরা আমাকে আক্রমন চালায়।
প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে তারা অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে আমাকে টানা হেচড়া করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় খালু আফতাব উদ্দিন, আমার পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে এরা আমিসহ এদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। টাকা গুলি লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ি ঘর ভাংচুর চালায়।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, ঘটনাটি শুনে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেব।
Posted ৯:২৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta