মো: ফারুক,পেকুয়া(১ জানুয়ারী) :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় মোহাম্মদ আসলাম নামে এক সেনা সদস্যকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে স্ত্রী ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে।
স্বামী আসলাম বরিশালের মুলাদী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার মৃত মোহাম্মদ ডা. মোহাম্মদ ইয়াসিন মিয়ার ছেলে আর স্ত্রী ফাতেমা বেগম পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সরকারী ঘোনা এলাকার মৃত আবুল হাশেম আবুর মেয়ে।
গত ২৭ নভেম্বর আসলাম চকরিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পেকুয়া থানার এসআই ইয়াকুবুল ইসলাম ভূইয়া নির্যাতনের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালতে দায়ের করা মামলার অভিযোগে সাবেক সেনা সদস্য উল্লেখ করেন, তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেট। চাকরী জীবন শেষে তিনি পেকুয়ায় চলে আসেন।
একপর্যায়ে বিগত ১০মাস আগে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ফাতেমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে চৌমহুনীতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। সুঃখের সংসারের মাঝে গত ৪মাস আগে তার জমাকৃত ৩৩হাজার টাকা ও ৪ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়।
গত ২৩ নভেম্বর স্ত্রীকে আনতে শ^শুর বাড়িতে গেলে স্ত্রী ফাতেমা বেগম,শ্বাশুড়ী নুরুনাহার, চাচাত ভাই হানিফ বাদশা, সঞ্চয়, নাজু, জাহিদসহ আরো কয়েকজন তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় তার কাছে রক্ষিত ২০হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাবেক সার্জেন্ট আসলাম বলেন, ফাতেমা বেগমকে বিয়ে করার পর কিছুদিন সুঃখের সংসার করি। আমার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার পর আরিফ, ট্রাক দালাল বেলাল, বাদশা ও সাগর নামের বেশ কয়েকজনের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনের সাথে হোটেলেও রাত কাটান তিনি।
আমি এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারধর ও হামলার শিকার হয়েছি। মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর এখন প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে ও হামলার বিচার পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
পেকুয়া থানা মামলার প্রতিবেদনে আমাকে নির্যাতনের বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে বললেও টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার কথা উল্লেখ করেনি। যাতে আমাকে ন্যায় বিচার পেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করি। এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমি আদালতে নারাজি দাখিল করবো।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে স্ত্রী কর্তৃক নির্যাতনের কথা বিভিন্নজনকে বলার পরও কোন বিচার পায়নি। এখন স্ত্রীর পরকিয়া বন্ধ করতে উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার এসআই মামলার তদন্তকারী ইয়াকুবুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আদালত কর্তৃক দেওয়া মামলাটি আমি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করেছি। স্ত্রী ও শ্বাশুড়ী কর্তৃক আসলামকে মারধরের অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া গেছে।
তবে মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ প্রতিবেদনটি বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Posted ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta