কক্সবাংলা ডটকম(৩ ফেব্রুয়ারী) :: চারদিনের সরকারি সফরে আগামীকাল ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটিই তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে দুই দেশের মধ্যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের আমন্ত্রণে ৪ ফেব্রুয়ারি রোমের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে ইতালির হাতে সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাজনৈতিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত তিনটি খসড়া চুক্তি রয়েছে। তারা যদি এগুলো চূড়ান্ত করতে পারে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকালে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হবে।
শেখ হাসিনা ৫ ফেব্রুয়ারি ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন জানিয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিভিন্ন খাতে আরো বেশি ইতালিয়ান বিনিয়োগের আহ্বান জানবেন।
এছাড়াও দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় ইস্যু এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর একটি যৌথ ইশতেহার জারি করা হবে। যদি সফরের সময় প্রস্তাবিত চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করা সম্ভব না হয়, তবে সেগুলো যৌথ বিবৃতিতে প্রতিফলিত হবে এবং পরে চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করা হবে।
একই দিন কয়েকটি ইতালীয় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসস্থানের সভাকক্ষে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালি দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করছে। তবে উভয় দেশের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি হচ্ছে ইতালিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছে। কারণ এ সফরে বাংলাদেশে ইতালীয় উদ্যোক্তাদের নতুন বিনিয়োগের সন্ধান, ইতালিতে আরো বিভিন্ন পণ্য রফতানি এবং দক্ষ জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্র অনুসন্ধান করার প্রয়াস চালানো হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতালি এ-যাবৎ আমাদের অনেক নাগরিককে সেখানে বসবাসের সুযোগ দিয়েছে এবং আরো অনেকে সেখানে বসবাসের সুযোগ লাভের জন্য অপেক্ষা করছে। তাই এ সফরকালে জনশক্তি রফতানির বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইতালি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার এবং সেখানে ১ লাখ ৪০ হাজারের ওপর বাংলাদেশী বসবাস করেন।
Posted ১:১৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta