
কক্সবাংলা ডটকম :: অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ফর্মুলা ওয়ানে এক নতুন তারকার উদয় হলো।
শ্বাসরুদ্ধকর মৌসুমের শেষ রেসে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করেই ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতলেন ব্রিটিশ ড্রাইভার ল্যান্ডো নরিস।
২৬ বছর বয়সী এই তারকা আবুধাবি গ্রাঁ প্রিঁ’তে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রেড বুলের ম্যাক্স ভার্স্টাপেনকে মাত্র দুই পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপাটি নিজের করে নিলেন। খবর বিবিসি স্পোর্টস।
শেষ রেসটি জিতেছেন ভার্স্টাপেন। এটি ছিল চলতি মৌসুমে তার অষ্টম জয়। দ্বিতীয় স্থানে থেকে রেস শেষ করেন নরিসের ম্যাকলারেন সতীর্থ অস্কার পিয়াস্ট্রি।
ম্যাকলারেনকে ড্রাইভার এবং কনস্ট্রাক্টর— দুই শিরোপাই এনে দিল এ ফলাফল। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম ম্যাকলারেন ডাবল শিরোপা জিতল।
এফ১ বা ফর্মুলা ওয়ানে এটি নরিসের সপ্তম মৌসুম। প্রথমার্ধে খানিকটা ধীরগতিতে শুরু করলেও দ্বিতীয়ার্ধে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি।
এ জয়ের মাধ্যমে নরিস ১১তম ব্রিটিশ এফ১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন।
অনুভূতি প্রকাশ করেছেন নরিস। তার ভাষায়, ‘আমি বেশ কিছুদিন কাঁদিনি, ভাবিনি যে কাঁদব, কিন্তু কেঁদেছি। এটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি।
আমি এখন বুঝতে পারছি ম্যাক্স কেমন অনুভব করে। আমি ম্যাক্স এবং অস্কার, আমার এই মৌসুমের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকেই অভিনন্দন জানাতে চাই।
তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই রেস করা আনন্দের এবং সম্মানের, আমি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।‘

স্বপ্ন পূরণের পর স্লোয়িং-ডাউন ল্যাপে তিনি গাড়ির ভেতরেই কেঁদে ফেলেন। দল এবং পরিবারকে তার আজীবনের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
ম্যাকলারেনের জন্য এই সপ্তাহ ছিল চরম উত্তেজনার।
এর আগের দুটি গ্রাঁ প্রিঁ’তে কঠিন অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের— লাস ভেগাসে ডাবল ডিসকোয়ালিফিকেশন এবং কাতারে ভুল কৌশলের কারণে ভার্স্টাপেনকে জয় তুলে দেয়া।
তাই আবুধাবিতে চাপ ছিল আকাশছোঁয়া।
ভার্স্টাপেন পোল পজিশন থেকে আগ্রাসীভাবে শুরু করলেও নরিস ছিলেন সাবধানী।
প্রথম ল্যাপের মাঝামাঝি, দলগত কৌশলের অংশ হিসেবে নরিস তার সতীর্থ পিয়াস্ট্রিকে এগিয়ে যেতে দেন, যাতে ভার্স্টাপেনের ওপর চাপ তৈরি করা যায়।
নরিস এরপর তৃতীয় স্থানের জন্য ফেরারি ড্রাইভার চার্লস লেক্লার্কের সঙ্গে লড়াইয়ে নামেন। কিন্তু শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত ড্রাইভ করেছেন নরিস।
প্রথম পিট স্টপের পর তৃতীয় স্থানের জন্য রেড বুলের ইউকি সুনোদার পেছনে পড়েন নরিস আর সেটাই ছিল এই রেসে নরিসের সবচেয়ে কঠিন সময়।
ভার্স্টাপেনকে সাহায্য করার জন্য সুনোদা নরিসকে আটকে দেয়ার চেষ্টা করেন এবং উইভিং করার জন্য শাস্তিও পান।
তবে নরিস শান্ত থেকে অফট্র্যাক ওভারটেকের জন্য তদন্তের মুখে পড়লেও কোনো শাস্তি ছাড়াই শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছান।
এই জয় ম্যাকলারেনের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছে। ২০০৮ সালে লুইস হ্যামিল্টনের প্রথম শিরোপা জয়ের পর এটাই ম্যাকলারেনের প্রথম ড্রাইভার্স চ্যাম্পিয়নশিপ।
নরিসও তার ১৭ বছরের স্বপ্নের দৌড়কে সার্থক করে তুললেন।

Posted ১১:০১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta