মিয়ানমার দাবি করেছে,বাংলাদেশে ছোট ছোট গ্রুপ করে শরণার্থী শিবিরে নতুন শাখা খুললে তাদের ফেরত নিতে সুবিধে হবে।
কিন্তু জাতিসংঘের মতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার দায়বদ্ধতা তাদের অবকাঠামোর জন্য সুবিধের না।
কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৫ এপ্রিল) :: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রথম পরিবার বাংলাদেশ’র কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে থেকে মিয়ানমারে ফেরত গেছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার। এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো দায়িত্বশীলের মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
বিবিসি জানিয়েছে, গত আগস্টে মিয়ানমারের সামরিক অভিযান এবং নির্যাতনের ফলে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে।
মিয়ানমার জানায়, শনিবার এক পরিবারের পাঁচ সদস্য ‘প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে’ আসেন এবং তাদের আইডি কার্ড দেখান। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রথম গ্রুপটি মায়ানমারে ফেরত এসেছে বলে তারা নিশ্চিত করেছেন।
মিয়ানমার সরকার বলেছে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যথাযথ অভিযান চালানো হয়েছে। এই মাসের শুরুতে ১০ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনায় জড়িত সাত সেনা সদস্যকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশেপাশের প্রতিবেশী দেশ থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা বলেন, মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের অনেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। তাদের অনেকের গ্রাম পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। অনেক নারী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করাও হয়েছে।
সেনাবাহিনীর হামলা ও সহিংসতার মাত্রার ভয়াবহতার কারণে জাতিসংঘ একে ‘পাঠ্যবইয়ে যোগ করার মতো জাতিগত নিধনের উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে একে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ‘জাতিগত নিধন কর্মসূচি’ বলে বর্ণনা করেছে। জাতিসংঘ একই মত প্রকাশ করেন।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশিরভাগই মুসলমান সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। তাদের রাখাইন রাষ্ট্রে নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়। এবং তাদের বাংলাদেশে অবৈধ উপায়ে প্রবেশকারীও বলা হচ্ছে।
শনিবার মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ ফেরত আসা পরিবারটিকে যে কার্ড দিয়েছে সেখানে তাদের মুসলিম পরিবার হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি একবারও ব্যবহার করা হয়নি।
তবে বাংলাদেশে ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা নেতারা বলছে, এই কার্ড দিয়ে নাগরিকত্ব অনুমোদন হচ্ছে না। তাই তারা জাতীয় যাচাইকরণ কার্ডটি প্রত্যাখ্যান করছে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা পরিবারের ফেরত যাওয়ার একদিন আগে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছিল, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বসবাসের জন্য এখনই উপযুক্ত নয়।
বাংলাদেশে শরণার্থী বলেছে যে, মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরে যাওয়ার আগে তাদেরকে তাদের আইনগত অবস্থা এবং নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা এবং রাখাইন রাজ্যে নিজেস্ব বাড়িতে মৌলিক অধিকার ভোগের ক্ষমতা সম্পর্কে আগ্রগতি থাকতে হবে।
মিয়ানমার দাবি করেছে,বাংলাদেশে ছোট ছোট গ্রুপ করে শরণার্থী শিবিরে নতুন শাখা খুললে তাদের ফেরত নিতে সুবিধে হবে।
কিন্তু জাতিসংঘের মতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার দায়বদ্ধতা তাদের অবকাঠামোর জন্য সুবিধের না।
Posted ২:৩২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta