কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৫ মে) :: ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি পাকাচ্ছে। বর্তমানে কক্সবাজার উপকূল থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দুরে রয়েছে এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ইতিমধ্যে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে। যদিও প্রতি মুহূর্তে স্যাটেলাইটের উপর নজর রেখে চলেছেন আবহাওয়াবিদরা। প্রতি মুহূর্তের আপডেট দিচ্ছেন। সাইক্লোনের অভিমুখ কোনদিকে সেদিকেই এখন কড়া নজর সবার।
যদি নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে সাইক্লোনে রূপ নেয়, তবে এটির নাম হবে আমফান (amphan)। থাইল্যান্ড নামটি দিয়েছে। নিম্নচাপটি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে শক্তি সঞ্চয় করলে। তারপরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আপাতত শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। আরও ঘণীভূত হতে পারে। মনে করা হচ্ছে শনিবারের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ সাইক্লোনের আকার নেবে। শুরুতে ওই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তর–পশ্চিম দিকে থাকলেও, পরে তা বাঁক নিয়ে উত্তর–পূর্ব দিকে ক্রমশ এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাতে কক্সবাংলাকে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজার উপকূল থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দুরে রয়েছে এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের কেন্দ্রে ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে বলেও জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী ১৯ ও ২০ মে জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবাহাওয়া অফিস। ১৮মে থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্য রেড ওয়ার্নিং জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,করোনার কারণে এমনিতেই দুশ্চিন্তার শেষ নেই কক্সবাজারে। তার মধ্য়ে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। ঠিক কোন পথে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
Posted ১:০৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৬ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta