কক্সবাংলা ডটকম(১৭ আগস্ট) :: বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যে ঋণ চেয়েছে সে বিষয়ে অক্টোবরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ বলেছেন, বাংলাদেশে এখন কোনো ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে নেই।
বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশটির চিত্র ভিন্ন, বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে কয়েকটি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেন আনন্দ।
আইএমএফের নীতি ও পর্যালোচনা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর উমা রামকৃষ্ণান এ সময় যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আইএমএফ ঋণের শর্তের কোনো যোগসূত্র নেই বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। সেটা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১৪%।
যে কারণে দেশটির ঋণ খেলাপিতে যাওয়ার আশঙ্কা কম। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশকে কোনোভাবেই মেলানো যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “তহবিল সংক্রান্ত নিয়ম ও পদ্ধতি অনুযায়ী আইএমএফ বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
আইএমএফ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কর্মসূচির নকশা নিয়ে আলোচনা করছেন।”
রাহুল আনন্দ বলেন, “অক্টোবরের মাঝামাঝি আইএমএফের বার্ষিক সভা হবে। সেখানে বাংলাদেশের ঋণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এরআগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ সংকটে নেই।১৬ আগস্ট এক অনলাইন সভায় বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এ মন্তব্য করেন আইএমএফ এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টের ডিভিশন চিফ রাহুল আনন্দ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে নেই। বরং বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেশ ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে।
আইএমএফ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ তুলনামূলক অল্প, যা জিডিপির ১৪%-এর মতো।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কা থেকে ভিন্ন। দেশটির ঋণখেলাপির পথে যাওয়ার ঝুঁকিও কম।
বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আইএমএফ প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, নীতিমালা ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী আইএমএফ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
Posted ৮:১৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta