কক্সবাংলা ডটকম(১ আগস্ট ) :: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় রোগীদের জন্য তরল অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ঈদের দিন জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেনের অভাব মেটাতে ১৮০ মেট্রিক টন মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ করে বন্ধু দেশ ভারত। তবে সহযোগিতার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল ২৪, ২৮ ও ৩০ জুলাই ৬০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করে নিয়ে এসেছিল তিনটি ট্রেন।
আজ রবিবার (১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে চতুর্থ দিনের মতো বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসেছে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন। ভারত সরকারের বিশেষ সহায়তার অংশ হিসেবে এ নিয়ে চার কিস্তিতে ভারত থেকে ৮০০ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন বাংলাদেশে এসেছে।
আর কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিপদে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ নিয়ে ভারত সরকার এগিয়ে আসায় আবারও সর্বমহলে প্রশংসিত হলো এ উদ্যোগ ।
এর আগে ভারতীয় সময় রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ১০টি কন্টেইনারে (প্রতিটিতে ২০ মেট্রিক টন) ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনবাহী চতুর্থ ট্রেনটি টাটানগর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। দুপুরে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়।
কাস্টমের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিকাল সাড়ে ৩টায়। সেখানে অক্সিজেন নামিয়ে খালি ট্রেনটি আবার একই পথ দিয়ে ভারতে ফিরবে।
জানা গেছে, অক্সিজেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লিন্ডে বাংলাদেশ এবং রফতানিকারক লিন্ডে ইন্ডিয়া। অক্সিজেনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সারথী এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, চতুর্থ চালানে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন নিয়ে ভারতীয় রেলওয়ের ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ দুপুরে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। কাস্টমের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, অক্সিজেনবাহী ভারতীয় ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারপর গন্তব্যে রওনা দেয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ভারতের। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে- এমন ঝুঁকি থাকার পরও ভারত সেসময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতায় স্বাধীন দেশ হিসেবে জন্ম হয় বাংলাদেশের। সেই ঋণ কোনোদিনও ভুলবার নয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত। অকৃত্রিম বন্ধুতত্বের সেই সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আজ ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও এভাবেই পাশে থাকবে। এই বন্ধুত্ব হোক জীবন রক্ষার, বন্ধুত্ব হোক উন্নয়নের।
Posted ৫:২১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ আগস্ট ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta