কক্সবাংলা ডটকম(৮ অক্টোবর) :: বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে সব সময় বিশেষ অংশীদার ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।পাশাপাশী সীমান্ত হত্যা বন্ধে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার পরে ইন্ডিয়া হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই কথা বলেন।
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনারা আমাদের নেতাদের কাছে শুনেছেন একজনও যদি মারা যায় সেটাও অনেক বেশি। আমরা বাংলাদেশের অনুভূতি বুঝি। হত্যাকাণ্ডের বেশিরভাগ হয় রাতের অন্ধকারে এবং তখন কাউকে চেনা যায় না। আমি হত্যাকাণ্ডের সাফাই দিচ্ছি না, কেউ হত্যাকাণ্ডের সাফাই দিতে পারে না।’
এবিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ করা। আমাদের সীমান্ত বাহিনীর মহাপরিচালক সম্প্রতি বলেছেন সীমান্তরক্ষীরা যেনও সবচেয়ে অধিক সংযতভাবে দায়িত্ব পালন করে। সবচেয়ে কম ভয়ঙ্কর অস্ত্র ব্যবহারের পথ খুঁজে বের করতে হবে।’
সীমান্ত হত্যা অপরাধমূলক সমস্যা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর কোনও সহজ সমাধান নেই এবং আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
অনেকদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রদূত কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটি পরিষ্কার উদ্দেশ্য এবং আমার রাজনৈতিক নেতৃত্বের ম্যন্ডেট নিয়ে আমি এখানে এসেছি যাতে করে প্রতিটি অমীমাংসিত বিষয়ের উভয়ের জন্য লাভজনক সমাধান বের করা নিশ্চিত করা যায়। সেই সমাধানগুলো কী সেটি জানার জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে এবং এটি স্বাভাবিক উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি যতদূর সম্ভব ন্যায্যভাবে এই বিষয়গুলো সমাধানের জন্য চেষ্টা করবো। আমি স্বীকার করি যে নিকটতম সম্পর্কেরও পরিচর্যা করা প্রয়োজন। আমার সরকার আমাকে ঠিক তাই করার নির্দেশ দিয়েছে।’
দুই দেশের সম্পর্ককে ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাদের মধ্যে সফর বিনিময় হবে এবং এর শুরু হবে এই বছরের শেষে। ভার্চুয়াল বৈঠকে দুইপক্ষ একমত হয়েছে।’
ভারত নিজস্ব উদ্যোগে কোভিড-১৯ টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে এবং এর তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শিগগিরই শুরু হবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ এ বিষয়ে ভারতের যথোপযুক্ত অংশীদার এবং এখানকার সরকার যেভাবে চাইবে সেভাবে কাজ করতে চায়। এই অঞ্চলে বাংলাদেশ ও ভারতের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। আমরা টিকা এখানে সরবরাহ করতে পারি এবং বাংলাদেশে উৎপাদন যাতে করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতে পারি।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগে এক বছর সাংবাদিকতা করেছেন ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া বিক্রম। তিনি হংকং, নিউ ইয়র্ক স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস, জোহানেসবার্গসহ অন্যান্য জায়গায় কাজ করেছেন। এছাড়া উজবেকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়াতে তিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন।
Posted ১০:২৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta