আবদুল হামিদ,বাইশারী(২৪ জুন) :: নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দুর্গম জনপদ বাইশারী চাক হেডম্যান পাড়া হইতে পিএইচ পি রাবার বাগান হয়ে লংগদুর মুখ পর্যন্ত ব্রীক সলিন দ্বারা উন্নয়ন মুলক সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবী জানিয়েছে এলাকার শত শত মানুষ।
সড়কটি নির্মাণ হলে পাল্টে যাবে পাহাড়ের চিত্র। ভাগ্যে চাকার আমুল পরিবর্তন আসবে হাজারো পাহাড়ী বাংগালী মানুষের।
পার্বত্যচট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত ১০ কিলোমিটার রাস্তাটি ব্রীক সলিন দ্বারা উন্নয়ন মুলক কাজটি পেয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মনি কনাস্ট্রাকশন । ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৬কিঃমিঃ এর মতন কাজ সম্পন্ন হলে ও আরো ৪ কিঃ মিঃ কাজ অসম্পন্ন রয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য থোয়াই চালা চাক।
স্থানীয় বাসিন্দা খিজারী চাক জানান রাস্তাটি নির্মান হলে বাদুড় ঝিড়ি চাক পাড়ায় সন্ত্রাসীদের হুমকি ও অত্যাচারে উচ্চেদ হওয়া পরিবার গুলু সহজে আবারো ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসবাস শুরু করতে পারবে । পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদসরা টহল দিতে পরবে অনেক সহজে। তাই পাড়াবাসী ও দ্রুত কাজটি সম্পন্নের দাবী জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান কিছু কু চক্রী মহল রাস্তাটির উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান করছে। এনিয়ে আমরা কতৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। যাহাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখে এবং ঐ দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় বাইশারী চাকপাড়া হইতে পিএইচপি রাবার বাগান হয়ে হয়ে লংগদুর মুখ পর্যন্ত সড়কটি নির্মান হলে পাল্টে যাবে পাহাড়ের চিত্র। ভাগ্যের পরিবর্তন হবে হাজারো খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের। পাহাড়ে বসবাস রত ৫ টি গ্রামের লোকজন ও একই ভাবে সুযোগ সুবিধার আওতায় আসবে।
পাহাড়ে উৎপাদিত পন্য সহজে বাজার জাত করে ন্যায্য মুল্য পাবে চাষীরা। গাড়ী যোগে যাতায়ত সহ দ্রুত মালামাল নিয়ে এসে বাজারে বিক্র করতে পারবে এবং উৎপাদিত পন্য আর পচন ধরবেনা।
সরেজমিনে আরো দেখা যায় রাস্তাটি নির্মান হলে রাবার বাগানের কয়েকশ শ্রমিক সহজে যাতায়ত ও কাধে বহন করে রাবার আনা নেওয়া বন্দ্ব হবে। সরকার পাবে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দোছড়ি ইউনিয়ন ও উপজেলার সাথে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হবে এবং আলী কদম উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হবে বলে আওয়ামীলীগ সভাপতি জাহাংগীর আলম বাহাদুর জানান।তিনি আরো জানান পার্বত্য মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিকতায় শুধু বাইশারী লংগদুর মুখ সড়ক নয় পুরু উপজেলার চিত্র ও পাল্টে গেছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক লিটন জানান একদিকে করোনাভাইরাস ও অন্যদিকে আগাম বর্ষা হওয়ার কারনে কাজ একটু ধীর গতিতে চলছে। অবশ্যই শিডিউল মোতাবেক কাজ গুনগত মানেই সম্পন্ন করবে। এবিষয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতা চান তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন জনগনের আস্থা ও ভালবাসা এবং পার্বত্যমন্ত্রী মহোদয়ের সু নজরে পাল্টে যাচ্ছে বাইশারী ইউনিয়নের চিত্র। তিনি আরো বলেন
বাইশারীতে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে এবং বর্তমানে কয়েকশ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এসব পার্বত্য বীরের অবদান। তিনি পার্বত্য বীরের সুস্থতা কামনায় দোয়া চান সকলের নিকট।
এবিষয়ে পার্বত্যচট্টগ্রাম উন্নয়নবোর্ড (বান্দরবন) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইয়াছিন আরাফাত মুঠোফোনে জানান, কাজের গুনগতমান ঠিক রেখে সড়কের উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে।
নো কম্প্রোমাইজ নীতিতে কোন ধরনের অনিয়ম হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে ছাড় দেওয়া হবেনা। শতভাগ কাজ বুঝে নেওয়া হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাব আমরা।এলাকাবাসী পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য দ্রুত রাস্তার কাজ সম্পন্নের দাবী জানান কতৃপক্ষের নিকট।
Posted ৮:৩২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta