শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বিতর্কিত ও সমালোচিত ৫৭ ধারা বহাল থাকছে ?

বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
501 ভিউ
বিতর্কিত ও সমালোচিত ৫৭ ধারা বহাল থাকছে ?

কক্সবাংলা ডটকম(২২ জুন) :: বিতর্কিত ও ব্যাপক সমালোচিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) ৫৭ ধারা কৌশলে বহাল রাখা হচ্ছে প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর ১৯ ধারায়।

পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি, মালামাল জব্দ ও গ্রেফতার সংক্রান্ত ৫৭ ধারার বিধান রেখে নতুন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে অ-জামিনযোগ্যের পরিবর্তে জামিনযোগ্য ও সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের স্থলে দু’বছর রাখা হয়েছে খসড়ায়। এতে ৫৭ ধারা প্রয়োগ করে যে হয়রানি করা হচ্ছে, নতুন আইন করা হলেও তা বন্ধ হবে না বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

তথ্যপ্রযুক্তি আইন থেকে ৫৭ ধারা বাদ দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এ বিষয়ে ‘বিভ্রান্তি’ দূর করা হবে বলে ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সম্প্রতি তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে। ৫৭ ধারার যে কনফিউশন ছিল, সেগুলো ভেটিংয়ে দূর করা হবে এবং ৫৭ ধারা সম্বন্ধে যে বক্তব্য ছিল- যেটা মুক্ত বক্তব্য রাখার যে স্বাধীনতা, সেটা ব্যাহত করছে ৫৭ ধারা, সেটা দূরীকরণ হবে। সরকার কোনোভাবেই ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন বন্ধ করবে না এবং করার কোনো ইচ্ছা, অভিপ্রায় নাই।’

৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রুনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।’

এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা। ২০০৬ সালে হওয়া এ আইনটি ২০০৯ ও ২০১৩ সালে দুই দফা সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ সংশোধনে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর থেকে ১৪ বছর কারাদণ্ড করা হয়। আর ৫৭ ধারার অপরাধকে করা হয় অ-জামিনযাগ্য।

‘মূলত ইলেকট্রুনিক সিগনেচার লিগ্যালাইজ’ করতে আইসিটি অ্যাক্ট করা হয়েছিল জানিয়ে আইনমন্ত্রী ওই সময় বলেছেন, ২০০৬ সালে আইসিটি অ্যাক্টের সঙ্গে ৫৭ ধারা যুক্ত করা হয়। তখন যে কনসার্ন আপনারা দেখিয়েছিলেন, তখন আমি বলেছিলাম, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে নতুন আইন হচ্ছে, সেখানে এসব কনসার্ন যেগুলো আছে সেগুলো অ্যাড্রেস হবে।’

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী দাবি করে সেটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন সম্পাদক পরিষদসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর খসড়া পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা ‘রহিত’ করে ১৯ ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ধারাটি হবে জামিনযোগ্য। আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারার সঙ্গে ৫৪, ৫৫ ও ৫৬ ধারাও সংশোধন করা হচ্ছে। এগুলো নতুন আইনের ৪৪ ধারা অন্তর্ভুক্ত করে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘আইসিটি অ্যাক্টের এসব ধারায় গৃহীত পদক্ষেপ এই আইনের অধীন গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।’

‘মানহানি, মিথ্যা ও অশ্লীল, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’- শিরোনামে প্রস্তাবিত আইনে ১৯ ধারা সংযোজন করা হয়। আইসিটি অ্যাক্টে যা ৫৭ ধারায় অন্তর্ভুক্ত করে আইনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। ৫৭ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও নতুন আইনের খসড়ার ১৯ ধারায় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ২ বছর। ৫৭ ধারার মতো ১৯ ধারায়ও পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি, মালামাল জব্দ ও গ্রেফতারের বিধান বহাল রাখা হয়েছে।

২০০৬ সালে আইসিটি অ্যাক্ট হলেও গত ২-৩ বছর ধরে এ আইনের ৫৭ ধারায় ব্যাপক প্রয়োগ করা হচ্ছে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। ৫৭ ধারায় ২০১৫ সালে সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করে। তখন ধারাটি বাতিলের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে জোর দাবি ওঠে। আইনমন্ত্রী তখন ধারাটি বাতিলের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

এরপর গত ২ বছরে হয়েছে আরও বেশকিছু মামলা। সর্বশেষ মামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা, খুলনা ও হবিগঞ্জের ৪ সাংবাদিক। চার দিনের ব্যবধানে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা হয়। খুলনার সিএমএমের বিষয়ে রিপোর্ট করায় সিএমএমের পক্ষে ওই আদালতের নাজির তপন কুমার বাদী হয়ে ১৪ জুন খুলনা মেট্রোপলিটন সদর থানায় আলোকিত বাংলাদেশের খুলনা প্রতিনিধি মোতাহার রহমান বাবু ও স্থানীয় সময়ের খবরের স্টাফ রিপোর্টার সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেন।

এর তিন দিন আগে ১১ জুন বিডি নিউজের স্টাফ করসপন্ডেন্ট গোলাম মুজতবার বিরুদ্ধে এবং দুই দিন আগে ১২ জুন হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ছাড়া ওয়ালটনের পণ্য নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জের ধরে ৫৭ ধারায় দায়ের হওয়া এক মামলায় সম্প্রতি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নতুন সময় ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক আহমেদ রাজুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কয়েক দিন কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন।

ভুক্তভোগীরা বলেছেন, মতপ্রকাশের দায়ে ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করা হচ্ছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার সফিক আহমেদ বলেন, আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন হওয়া দরকার। তদন্ত ছাড়া ৫৭ ধারায় কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কোনোভাবেই উচিত নয়। তিনি বলেন, আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় হয়রানির আশঙ্কা তো বাস্তবেই আমরা দেখছি। ফেসবুকে কেউ একটা স্ট্যাটাস দিল, তাতে কি বলা হল, কেউ কারও অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কিছু লিখে দিল কিনা বা গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টটি সত্য ছিল কিনা- এসব তদন্ত না করে তো মামলা নেয়া মোটেই উচিত নয়।

সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের খবরে কারও মানহানি হয়েছে মনে করা হলে, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ওই পত্রিকা বা টিভি অফিসে প্রথমে প্রতিবাদ পাঠাবেন। প্রতিবাদ প্রকাশ করা হলে মামলা করার প্রয়োজন হয় না। প্রস্তাবিত নতুন আইনের ১৯ ধারায়ও মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে হয়রানির আশঙ্কা করেন তিনি। বলেন, নতুন যে আইনটি হচ্ছে, তাতে অপরাধের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।

৫৭ ধারা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়েরকারী আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নতুন করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার ক্ষেত্রে ৫৭ ধারার প্রতিবিম্ব মনে হচ্ছে ১৯ ধারা। এতে হয়রানির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, ৫৭ ধারার কারণে সাংবাদিকরা টার্গেট হচ্ছেন। সাংবাদিকরা যদি সমাজের অসংগতি নিয়ে কাজ না করেন, তাহলে আমরা তো অন্ধকারে যাব। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এভাবে আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে বলে আমি মনে করি।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়নের লক্ষ্যে খসড়া চূড়ান্তকরণ কমিটির ২১ সদস্যের একজন হলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। আইনের ১৯ ধারা সংযোজন প্রসঙ্গে তিনি যুগান্তরকে বলেন, প্রথম ড্রাফটে ৫৭ ধারা বাতিল করে ১৯ ধারা যুক্ত হবে এমন কিছু ছিল না। তবে এ নিয়ে আলোচনা ছিল। আমাদের বাকস্বাধীনতা রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রস্তাব ছিল। তবে দ্বিতীয় ড্রাফট করার আগে কমিটির যে সভা হয়েছে আমি ব্যক্তিগত কারণে তাতে উপস্থিত হতে পারিনি। ফলে এরপরই হয়তো ১৯ ধারার বিষয়টি সংযুক্ত করা হয়েছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ৫৭ ধারা হচ্ছে জামিন অযোগ্য। আদালত মামলা আমলে নেয়ার আগেই গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। এটা সংশোধন করেই ১৯ ধারা আনা হচ্ছে। আমার ধারণা, ৫৭ ধারার মতো এই ধারায় হয়রানির আশঙ্কা নেই। কারণ ধারাটি জামিনযোগ্য।

আইনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার ওপর আইনের খসড়ায় গুরুত্ব দিয়েছি। আইনটি নিয়ে আর বিলম্ব না করে তা চূড়ান্ত করে ফেলা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৬’ খসড়ার ১৯ ধারায় ‘মানহানি, মিথ্যা ও অশ্লীল, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ শিরোনামে তিনটি উপধারা সংযোজন করা হয়েছে। ১৯(১) ধারায় বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইট অন্য কোনো ইলেকট্রুনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সালের ৪৫ নম্বর আইন)-এর ৪৯৯ ধারামতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মানহানি ঘটাইলে তাহা হইবে একটি অপরাধ।’ ১৯(২) ধারায় বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রুনিক বিন্যাসে এমন কোনো কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা বা অশ্লীল এবং যা মানুষের মনকে বিকৃত ও দূষিত করে, মর্যাদাহানি ঘটায় বা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে তা হইলে ইহা হইবে একটি অপরাধ।’

এ ছাড়া ১৯(৩) ধারায় স্বেচ্ছায় কোনো ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোনো ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানিবার অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রুনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন যাহা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পাঠ করিলে বা দেখিলে বা শুনিলে তাহার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে তাহা হইলে ইহা হইবে একটি অপরাধ।’

তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম উল্লেখ করে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়, ‘ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রুনিক মাধ্যমে প্রকৃত ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত বা ব্যবহৃত কোনো পুস্তক, লেখা, অঙ্কন বা চিত্র অথবা যে কোনো উপাসনালয়ের ওপর বা অভ্যন্তরে বা প্রতিমা পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত যে কোনো ধরনের খোদাই, চিত্র বা প্রকারান্তরে প্রতিচিত্র অথবা কোনো ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত কল্পমূর্তির ক্ষেত্রে উপধারা ৩ প্রযোজ্য হবে না।’

এতে বলা হয়, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ১৯-এর উপ-ধারা (১), (২) অথবা (৩)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ বছর কারাদণ্ডে এবং অন্যূন ২ মাস কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’ খসড়া আইনে ৩৬ ধারায় বলা হয়েছে ১৯ ধারার অপরাধ আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য হবে।

এদিকে প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ১৭ ধারায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য ৫ বছরের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। ১৭(১) ধারায় বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে অন্য কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ছবি তোলে এবং প্রকাশ করে বা প্রেরণ করে বা বিকৃত করে তা হলে এমন কার্য ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অপরাধ।’

আর এ ধরনের অপরাধ করলে তিনি (অভিযুক্ত) অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন বা অনধিক দশ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে ধারাটি জামিনযোগ্য ও আমলযোগ্য। ১৮ ধারায় পর্নোগ্রাফি অপরাধের জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ধারাটি জামিন অযোগ্য। ডিজিটাল বা ইলেকট্রুনিক জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং সর্বনিন্ম ১ বছর বা সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে।

501 ভিউ

Posted ৪:০৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com