
কক্সবাংলা ডটকম :: ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর আগের মৌসুমে ঢাকায় বেশ কয়েকটি কনসার্ট হলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন; ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতির’ কথা বলে অনুমতিই দিতে চাইছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাতে একের পর এক কনসার্ট স্থগিত হচ্ছে। বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান পরিকল্পনার পর এসব আয়োজন বাতিল হওয়ায় একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আয়োজকরা, অন্যদিকে টিকেটের টাকা ফেরত না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন দর্শকরাও।
তবে এর মধ্যে সুবিধা করে নিচ্ছেন এক শ্রেণির মানুষ; তারা স্থগিত হওয়া কনসার্টের শিল্পীদের দিয়ে আয়োজন করছেন ‘প্রাইভেট কনসার্ট’।
এসব বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা অনুবিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আপাতত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কোনো কনসার্টের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
“কয়েক দিনে ৫-৬টি আবেদন এসেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় মাস হলো এই অনুমোদন দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তার আগে ১০-১২টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আগে প্রায় আবেদন আসত; তবে অনুমোদন না দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এখন আর তেমন আবেদন আসছে না।”
আবহাওয়া বিবেচনায় সাধারণত শীতের সময় কনসার্ট বেশি হয়ে থাকে। গেল মৌসুমের শেষে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ‘মব’ এর মুখে পড়েছিল দু-একটি আয়োজন। তারপর গরম শেষে কনসার্ট আয়োজন করতে গিয়ে বিপত্তির মুখে পড়ছেন আয়োজকরা।
সবশেষ গত শুক্রবার অনুষ্ঠেয় পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘কাভিশ’র ‘ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার’ শিরোনামের কনসার্ট স্থগিতের ঘটনায় আলোচনায় এসেছে কনসার্ট করতে অনুমতির জটিলতা প্রসঙ্গ।
এ আয়োজন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় ‘কাভিশ’র সদস্যরা। কিন্তু সব প্রস্তুতি থাকার পরও শুক্রবার তারা আর মঞ্চে উঠতে পারেনি। আয়োজক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ওয়েভ কমিউনিকেশনসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইনফতার দানিয়াল গ্লিটজকে জানিয়েছেন, তাদের প্রস্তুতিতে কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল না।
দানিয়াল বলেন, “‘কাভিশ’ ব্যান্ডের শিল্পীরা ঢাকায় পৌঁছেছেন, যেকোনো মূল্যে আমরা এই আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে চেয়েছিলাম। বেশ কয়েকটি ধাপ পার করে অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল, ভেন্যু, শিল্পীদের পারিশ্রমিক–সব দেওয়া হয়েছে।
“কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুমতি না মেলার কারণ আমাদের আসলে জানা নেই।”
বিদেশি শিল্পী আনতে গিয়ে ‘প্রশাসনিক জটিল প্রক্রিয়ার’ মধ্য দিয়ে যাওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “দেশের বাইরে কোনো শিল্পী আনতে গেলে নিয়ম হলো শিল্পীর পারিশ্রমিক পরিশোধ করা, ফ্লাইট বুকিং, হোটেল বুকিং, সাউন্ড, লাইট, ভেন্যুতে টাকা দিয়ে সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স সব দেওয়ার পর যেতে হয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে অনুমতি নিতে।
“সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সেটা আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তর ও সরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কাছে রিপোর্ট যায়। সেই রিপোর্টে আমাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে কনসার্টের দুই-একদিন আগে অনুমতি দেয়।”
ক্ষোভ প্রকাশ করে দানিয়াল বলেন, “একটা শিল্পীর পেছনে দেড় কোটি টাকা খরচ করার পর আমাদের অনুমতি নিতে আসতে হয়। যখন অনুমতি না মেলে, তখন আর কিছু করার থাকে না। এই সিস্টেমেই আসলে ঝামেলা। প্রশাসনের ইচ্ছের উপরেই অনুমতিটা মেলে।
“অনুমতিটাও আসে শেষ মুহূর্তে, যার কারণে আমাদের আগেই টিকেট বিক্রি করে ফেলতে হয়। কারণ অনুমতি পাওয়ার পর অনলাইনে দু-একদিনের মধ্যে পুরো কনসার্টের সব টিকেট কেউ বিক্রি করতে পারবে না।
“দেশে ক্রিকেট হচ্ছে, ফুটবল হচ্ছে, জনসমাবেশ হচ্ছে, ওয়াজ-মাহফিল হচ্ছে, সব ধরনের জনসমাগম হচ্ছে; তাহলে কনসার্টেই শুধু সমস্যা কেন? সরকার থেকে কেন সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না? কনসার্টেই শুধু দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও অস্থিরতা প্রসঙ্গ আসে।”
কনসার্ট স্থগিতের ঘটনায় শিল্পীদের সম্মানহানি ও দর্শকের আস্থা হারানোর কথাও তুলে ধরেন দানিয়াল।
তিনি বলেন, “এতদিন সব ঠিক ছিল, কনসার্ট হবে। বৃহস্পতিবার আমাদের কাগজপত্রই দেওয়া হলো না। অথচ আমাদের শিল্পী কনসার্টের প্রস্তুতি নিয়ে চলে এসেছে। তাদেরও একটা প্রস্তুতি থাকে, প্র্যাকটিস সেশন থাকে।
“যখন তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তখন শিল্পীরাও কিন্তু অসম্মানিত হয়। তাছাড়াও এত এত টিকিট বিক্রি হলো, দর্শকদের কাছে আমাদেরও বিশ্বাসের জায়গাটা হারিয়ে যায়।”
‘কাভিশ’ ব্যান্ডের কনসার্ট স্থগিত হওয়ার পর বিরক্তি প্রকাশ করে শ্রোতা গোলাম মোর্শেদ বলেন, “কাভিশের কনসার্টের টিকেট কেটেছিলাম, আগের দিন জানতে পারি কনসার্ট হবে না। কেন বাতিল হচ্ছে, তাও জানি না। টিকেটের টাকা রিফান্ড করা হবে কি না, তার জন্য কোনো মেইল বা কিছুই করা হয়নি। আমি মেইল করেছি এবং ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছি; কিন্তু সাড়া মেলেনি।“
২০২৪ সালের তুলনায় এবার কনসার্টের অভিজ্ঞতা খারাপ জানিয়ে তিনি বলেন, “গতবছর আমি বেশ কিছু কনসার্ট উপভোগ করেছি। এইবার বেশ খারাপ অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আগের দিন জানতে পারছি কনসার্ট হবে না।“
স্থগিতের হিড়িক, রিফান্ডের ‘খবর নাই’
এর আগে গত ১৪ নভেম্বরের কনসার্টও স্থগিত হয়; সেদিন ঢাকায় গান শোনানোর কথা ছিল পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আলী আজমতের।
‘লেজেন্ডস লাইভ ইন ঢাকা’ শিরোনামের ওই কনসার্ট করতে তিন দিন আগে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। তবে কনসার্টের দিন সকালে আয়োজন বন্ধের ঘোষণা দেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠান অ্যাসেন কমিউনিকেশন।
নিজেদের ফেইসবুক পোস্টে তারা বলেছিল, “দেশের চলমান অস্থিরতা ও অস্থায়িত্বপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে দর্শক, স্পন্সর, অংশীদার এবং টিকেটধারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও দায়িত্বশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
“এই কারণে সৃষ্ট হতাশা ও অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে আমরা অবশ্যই এই আয়োজনটি পুনরায় করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

সেই পোস্টে এও বলা হয়েছিল, “টিকেট রিফান্ড সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও ভবিষ্যৎ আপডেট খুব শিগগিরই অফিসিয়ালভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
তবে কনসার্ট স্থগিতের তিন সপ্তাহ পেরোলেও এখনও রিফান্ডের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে নভেম্বরে আরও দুটি কনসার্ট স্থগিত হয়। ২৮ নভেম্বর রাজধানীর ৩০০ ফুটের স্বদেশ অ্যারেনায় ‘সাউন্ড অব সোল’ শীর্ষক কনসার্ট করার কথা ছিল পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘জাল’র। সঙ্গে পারফর্ম করার কথা ছিল দেশের ব্যান্ড ওয়ারফেজ ও লেভেল ফাইভের।
অনুষ্ঠানের পাঁচ দিন আগে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘স্টেইজ কো’ জানায়, সরকার কনসার্টের অনুমতি দিচ্ছে না; টিকেটের টাকা রিফান্ড করা হবে।

ওই পোস্টে ৩০ নভেম্বর অনামিকা রহমান নামের এক দর্শক মন্তব্য করেছেন, তিনি এখনও রিফান্ডের কোনো বার্তা পাননি।
সোহেল আরমান নামের আরেক দর্শকও বলেছেন, আলী আজমতের কনসার্টের টিকেটের টাকা তিনি এখনও ফেরত পাননি।
এ বিষয়ে সোহেল আরমান গ্লিটজকে বলেন, “আলী আজমতের কনসার্টের টিকেট কিনেছিলাম টিকেট প্লাটফর্ম ‘গেট সেট রক’ ওয়েবসাইট থেকে। কনসার্ট স্থগিতের পর প্লাটফর্মটি একটি মেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, খুব শিগগিরই তিন ধাপে রিফান্ড প্রক্রিয়া শুরু হবে।
“প্রথমে তাদের অফিসিয়াল টিকেটিং প্ল্যাটফর্ম ও অনুমোদিত বুথ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, এরপর প্রতিটি টিকেট যাচাই শেষে বিকাশ বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।”
তবে কোনো টাকা ফেরত পাননি জানিয়ে সোহেল বলছেন, “এরপর আমি টিকেটের টাকা ফেরত পেতে প্ল্যাটফর্মটির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।”

কনসার্ট স্থগিত নিয়ে শোরগোলের মধ্যে ভারতের সংগীতশিল্পী অনুভ জৈনের সঙ্গীত অনুষ্ঠানও স্থগিত হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর মাদানি অ্যাভিনিউয়ের (১০০ ফুট) কোর্টসাইডে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে আয়োজক কোম্পানি হাইপনেশন ২৫ নভেম্বর এটি স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
‘চলছে প্রাইভেট কনসার্ট’
এর মধ্যেই আগামী ১৩ ডিসেম্বর মেইন স্টেজ আয়োজিত এক কনসার্টে গান শোনাতে আসার কথা রয়েছে পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলামের।
কনসার্ট হবে কি? প্রশ্ন শুনে মেইন স্টেজের সত্বাধিকারী নিশা সালাম গ্লিটজকে বললেন, “আমাদের এই কনসার্টের একটা অংশ যাবে গণআন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে সহায়তায়। এটা যেহেতু চ্যারিটি কনসার্ট, অনুমতি না দেওয়ার কোনো কারণ নেই।
“আমরা অনুমতি নেওয়ার সব প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করেছি, এখনো আশাবাদী, সুন্দর করে কনসার্টটি আমরা করতে পারব।”
আলাপচারিতায় এ আয়োজক জানালেন, সম্প্রতি যেসব কনসার্ট স্থগিত হয়েছে, সেই সব আয়োজনের শিল্পীদের দিয়ে নির্দিষ্ট দিনের আগে বা পরে ‘প্রাইভেট কনসার্ট’ করা হয়েছে।

নিশা সালামের ভাষ্যে, “সাধারণ মানুষের জন্য যেদিন আলী আজমতের কনসার্ট বাতিল করা হল, তার ঠিক আগের দিনই ঢাকার বসুন্ধরা আইসিসিবিতে আলী আজমতের একটি প্রাইভেট কনসার্ট হয়েছে।
“জালের কনসার্ট যেদিন স্থগিত হলো, তারাও কিন্তু দেশে এসে গুলশান ক্লাবে একটি প্রাইভেট কনসার্ট করেছে। এমনকি পাকিস্তানি গায়ক ফারহান সাঈদ চট্টগ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানেও গান গেয়ে গেছেন।”
প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন রেখে এই আয়োজক বলেন, “তাহলে কি সরকার শুধু প্রভাবশালী ও ধনীদের জন্যই বিনোদনের ব্যবস্থা রাখছে, আর সাধারণ মানুষের কনসার্টগুলোকে নিরাপত্তার অজুহাতে একের পর এক বাতিল করে দিচ্ছে?
“অথচ আমরা কিন্তু নিয়ম মেনে ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে শিল্পীদের আনছি, তবু এই বৈষম্যের কারণ কি আমরা বুঝতে পাচ্ছি না?”
কনসার্ট স্থগিত হলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি আয়োজকের সুনামও নষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেন মেইন স্টেজের সত্বাধিকারী নিশা সালাম।
তিনি গ্লিটজকে বলেন, “শেষ মুহূর্তে কনসার্ট বাতিল হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন আয়োজকরাই। কারণ তখন সব ধরনের পেমেন্ট আগেই পরিশোধ করা থাকে।
“এতে একদিকে যেমন আর্থিক ক্ষতি হয়, অন্যদিকে বিদেশি শিল্পীরা এভাবে ফিরে গেলে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি দেশের বিনোদন অঙ্গন ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।”

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর যমুনা ফিউচার পার্কে ‘জাল’র কনসার্ট ছিল দর্শকঠাসা।
যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা
স্থগিত হওয়া কনসার্টে বিদেশি শিল্পীর পাশাপাশি দেশের শিল্পীদেরও পারফর্ম করার কথা ছিল। একের পর এক কনসার্ট স্থগিত ও ভেন্যু পরিবর্তনের ঘটনায় প্রশ্ন তুলছেন তারাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্পী বলেন, “নিরাপত্তা ইস্যুতে যদি কনসার্ট স্থগিত বা স্থানান্তর করা হয়, তাহলে জনসমাগম হয়–এমন অন্যান্য আয়োজন ও প্রচারণা কেন একইভাবে নিয়ন্ত্রণে আসছে না?
“এই কনসার্ট ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতার কারণ কী, আমরা জানতে চাই। প্রশাসন কেন শুধু কনসার্টকেই জনসমাগমের স্থান হিসেবে দেখছে?”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা অনুবিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ভোটকে সামনে রেখে সরকার যেকোনোভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে চায়। সেই বার্তা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিভিন্নভাবে দেওয়া হয়েছে।
“কনসার্টে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, যার ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার।”
বেশি টাকা দিয়ে ‘প্রাইভেট কনসার্ট’ এর অনুমতি মিলছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা কোনো অনুমতিই দিচ্ছি না। ওরা কীভাবে করছে, বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের কাছে কেউ অবহিত করেননি।”
কনসার্ট স্থগিত হলেও টিকেটের টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তাদের কাছে নেই।
আগামী ১৩ ডিসেম্বরের মেইন স্টেইজের কনসার্টটিও মৌখিকভাবে ‘না’ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Posted ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta