কক্সবাংলা ডটকম(৭ মে) :: অক্ষয় তৃতীয়া, সবকিছু অক্ষয় থাকার কামনায় পালিত হয় এই দিন। অক্ষয় তৃতীয়ার পাশাপাশি ইংরেজির তারিখ অনুযায়ী ৭মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। সেদিক থেকে কবির জন্ম তারিখ আজও মানুষের মনে অক্ষয়৷ কিন্তু কবির বিয়েটা ঠিক করে হয়নি। সেই আক্ষেপের কথা তিনি নিজেও কখনও কখনও ব্যক্ত করেছেন।
চিঠির মূল অংশেই ছিল আসল চমক। তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন।
মংপুতে মৈত্রেয়ী দেবীকে বিয়ের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘আমার বিয়ের কোনো গল্প নেই। নিজের বিয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই, সে কথা উত্থাপণ মাত্র হেসে উড়িয়ে দেবে ,অথচ পরের বিয়ের পদ্য লেখ।’ কবির মনের এই গোপন আকাঙ্খা তাঁর আকাশ প্রদীপ কাব্যের ‘বধূ’ কবিতায় সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।তবে কবির ইচ্ছামতো পাত্রী ভবতারিণীকে যিনি মৃণালিনী নামেই জনসমক্ষে পরিচিত তাঁকে জোড়াসাঁকোতে সাজিয়ে গুছিয়ে আনা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত বিশ্বকবির বিবাহ পরবর্তী জীবন খুব একটা সুখের ছিল না। পাঁচ সন্তানের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই মেয়ে রেণুকা ও ছেলে শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু ঘটে। এর মাঝেই মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রী’রও। ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর (২৪ অগ্রহায়ণ, ১২৯০ বঙ্গাব্দ) ঠাকুরবাড়ির অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ হয়। বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী (১৮৭৩–১৯০২ )। রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনীর সন্তান ছিলেন পাঁচ সন্তান মাধুরীলতা (১৮৮৬–১৯১৮), রথীন্দ্রনাথ (১৮৮৮–১৯৬১), রেণুকা (১৮৯১–১৯০৩), মীরা (১৮৯৪–১৯৬৯) এবং শমীন্দ্রনাথ (১৮৯৬–১৯০৭)।
Posted ৭:২৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta