কক্সবাংলা ডটকম(৩০ ডিসেম্বর) :: ভারতীয় বিমান বাহিনী বুধবার সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস ইআর (এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।
যুদ্ধবিমান সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই থেকে সফল ক্ষেপনাস্ত্র চালিয়েছে ভারত। ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি জাহাজে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিমান বাহিনী এই সফল পরীক্ষা চালায়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ধিত আওতা যুদ্ধবিমান থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুপারসনিক ক্রুজ এই ক্ষেপণাস্ত্র বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য সফলভাবে অর্জন করেছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর দূরপাল্লার স্থল অথবা সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে নিখুঁত নিশানায় হামলা চালানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এই পরীক্ষা। এক বিবৃতিতে জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এসইউ-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের উচ্চ-সক্ষমতা ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ধিত পরিসরের শক্তি হিসেবে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে একটি কৌশলগত নাগালে পৌঁছে দিয়েছে,যা ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারে সহায়ক হবে।
বৃহস্পতিবারের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ভারতের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও, স্থানীয় যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা হ্যাল এবং বিএপিএল।
ব্রাহ্মসকে মনে করা হয় বিশ্বের অন্যতম একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর নামকরণ করা হয়েছে ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোভা নদীর নামে।
শব্দের তুলনায় প্রায় তিন গুণ দ্রুতগতিতে ছুটে যায় এই ক্ষেপণাস্ত্র। এতোটাই উচ্চগতির যে রাডারও শনাক্ত করতে পারে না।
ভারতের অন্যতম শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র এ ব্রাহ্মস। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে প্রথমবার ২০০৫ সালে তৈরি হয় ব্রহ্মাস ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার কাছ থেকেই কেনা যুদ্ধবিমান সুখোই এসইউ-৩০ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়।
Posted ১:০৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta