কক্সবাংলা ডটকম(২৪ অক্টোবর) :: ভারত-রাশিয়ার যৌথ ব্রাহ্মস ক্রুজ মিসাইল কর্মসূচি একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকে গিয়ে পৌঁছেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রথম ব্রাহ্মস ক্রুজ মিসাইলটি তাদের অস্ত্র সম্ভারে যুক্ত করেছে। নৌ ও ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্রাহ্মস মিসাইলগুলো আগেই মোতায়েন করা হয়েছিল।
এরপর ভারতীয় বিমান বাহিনীর সবচেয়ে ভারি জঙ্গি বিমান – সু-৩০এমকেআই বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রাহ্মসের নতুন ভার্সান তৈরি করা হয়। ৪০টিরও বেশি সু-৩০এমকেআই জঙ্গি বিমানে এই ব্রাহ্মস ক্রুজ মিসাইল সংযুক্ত করা হবে।
এ কারণে এই বহরকে আরও বড় করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে আরও বেশি জঙ্গি বিমান অন্যান্য কাজের জন্য বরাদ্দ রাখা যায়। ব্রাহ্মসকে সংযুক্ত করার আগে গত মে মাসে এই মিসাইলের ব্যাপক পরীক্ষা চালানো হয়। কাশ্মীর নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে ইসলামাবাদের সাথে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এবং ফেব্রুয়ারির দিকে পাকিস্তানের সাথে সাময়িক সঙ্ঘাতের তিন মাস পর ওই পরীক্ষা চালানো হয়।
ব্রাহ্মস মিসাইলগুলোর গতি মাচ-৩ এর পর্যায়ে যেতে পারে এবং এতে অ্যাডভান্সড প্রিসিশান গাইডেন্স সিস্টেম যুক্ত আছে, যেটা চলমান টার্গেটকে আঘাত হানতে পারে। এই মিসাইলগুলো শুধুমাত্র গতির জোরেই যুদ্ধজাহাজকে দ্বিখণ্ডিত করেছে বলে বলা হয়েছে। সেই সাথে এটার পাল্লা দীর্ঘ হওয়ায় এবং এটা অধিক ওজন বহনে সক্ষম হওয়ায় শত্রু জাহাজের জন্য এটা মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দেবে।
এই মিসাইলের গতি এবং বিচরণের সক্ষমতার কারণে এমনকি এইজিআইএস এবং এইচএইচকিউ-১৬ এর মতো অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পক্ষেও এটাকে বাধা দেয়া অত্যন্ত কঠিন। পাকিস্তানের পরবর্তী টাইম ০৫৪এপি শ্রেণীর ফ্রিগেটে এই এইচএইচকিউ-১৬ ডিফেন্স সিস্টেম সংযুক্ত থাকবে।
একই সাথে সু-৩০এমকেআইয়ের মতো দীর্ঘ প্রাণশক্তির জঙ্গি বিমানে এই ব্রাহ্মস যুক্ত হওয়ায় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর এখন সীমান্ত থেকেও বহু দূরে আঘাত করার সক্ষমতা অর্জন করবে, সেটা জলে হোক বা স্থলে। ব্রাহ্মসের মাধ্যমে ভারত এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান হামলার সক্ষমতা অর্জন করবে।
ভারতের রাফাল জঙ্গি বিমানে যে পুরনো ডিজাইনের ফরাসী স্কাল্প মিসাইল মোতায়েন করা আছে, সেগুলোর চেয়ে ব্রাহ্মসের গতি তিনগুণ বেশি এবং এর পাল্লাও অনেক বেশি।
Posted ৪:২০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta