শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায়(ভিডিও সহ) : সফরে যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে

শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১
260 ভিউ

কক্সবাংলা ডটকম(২৬ মার্চ) ::  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, মহান স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা এসেছেন নরেন্দ্র মোদি।

সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পরে বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বক্তব্য দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিদেশি শীর্ষ নেতাদের সাধারণত ঢাকার বাইরে যাওয়ার প্রচলন না থাকলেও মোদি এই সফরে সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জ সফর করবেন। এর পাশাপাশি দুই প্রধানমন্ত্রী ২৭ মার্চ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

নরেন্দ্র মোদি ঢাকায়২৭ মার্চ সাতক্ষীরায় তিনি যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শন করবেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসমাধি পরিদর্শন করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা মোদিকে অভ্যর্থনা জানাবেন। নরেন্দ্র মোদি মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ওরাকান্দি পরিদর্শন করবেন এবং ওই সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

এই সফরে কয়েকটি সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি কয়েকটি উদ্যোগের উদ্বোধন হবে। এরমধ্যে রয়েছে মেহেরপুরে স্বাধীনতা সড়ক, স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সৈনিকদের সম্মানে আশুগঞ্জে স্মৃতিসৌধ, কুষ্টিয়ায় কুঠিবাড়ি সংস্কার, একাধিক বর্ডার হাট, বঙ্গবন্ধুর উপর স্ট্যাম্প ও নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহি ট্রেন উদ্বোধন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্টাফ কলেজ ও ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, ও দুটি প্রকল্পের বিষয়ে সমঝোতা স্মরকের সম্ভাবনা রয়েছে এই সফরে।164910824_3848509705237332_9029018330443448500_n

নরেন্দ্র মোদিকে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়

সফর উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অফিসের ওয়েবসাইটে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে নিজের আনন্দের কথা ব্যক্ত করে বলেছেন, কোভিড মহামারির পরে আমার প্রথম সফর বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী বাংলাদেশে, যার সঙ্গে ভারতে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত মিল রয়েছে এবং মানুষে-মানুষে যোগাযোগ আছে।

মোদি বলেন, আমি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু গত শতাব্দির অন্যতম বড় নেতা ছিলেন এবং তাঁর জীবন ও আদর্শ লাখো লাখো লোককে উজ্জীবিত করে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনেতিক ও অন্যান্য উন্নয়ন হয়েছে সেটির জন্য এবারের সফরে আমি শুধু প্রশংসাই করবো না, এরসঙ্গে বাংলাদেশের পাশে ভারত আছে সেই প্রতিশ্রুতিও দেবো বলে জানান মোদি।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে নরেন্দ্র মোদির শ্রদ্ধা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে নরেন্দ্র মোদির শ্রদ্ধা

এদিকে নরেন্দ্র মোদির শ্রদ্ধা নিবেদনের কেন্দ্র করে সকাল ৮টা থেকে স্মৃতিসৌধের ভেতর থেকে সর্বসাধারণকে সরিয়ে দেওয়া। পুরো প্রায় ৪ ঘণ্টা জনসাধারণ প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়।এছাড়াও শুক্রবার ভোর রাত থেকেই থেকেই স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।

মোদির সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগদানের জন্য ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এই সফরে আগামী বছরগুলোতে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বাইরে গিয়ে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কী হতে পারে সেটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, গত ৫০ বছরে কী হয়েছে সেটির খতিয়ান এবং সামনের বছরগুলোতে সম্পর্ক কী ধরনের হবে সেটির একটি রোডম্যাপ নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ মনে করে নিজের সমৃদ্ধির জন্য গোটা অঞ্চলের উন্নতি প্রয়োজন এবং এজন্য কানেক্টিভিটি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি কিভাবে করা যায় সেটির উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের মোট ৪ হাজার কোটি ডলারের রফতানির মধ্যে এই অঞ্চলের অবদান ১৫০ কোটি ডলারের মতো, যা অত্যন্ত কম। কমবেশি একই ধরনের চিত্র অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও। আমরা চাই এই অঞ্চলের দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করুক। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে গেলে কানেক্টিভিটি প্রয়োজন এবং সেজন্য উপ-আঞ্চলিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি করাটা জরুরি বলে মনে করে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে ভারতের মনোভাবেরও পরিবর্তন হয়েছে বলে তিনি জানান।

২০১০ সালে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে যৌথ বিবৃতিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর নেপাল ও ভুটান ব্যবহার করবে এই প্যারাটি অন্তর্ভুক্ত করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এখনকার যৌথ বিবৃতিগুলোতে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের তেমন আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গণ্ডির বাইরে গিয়ে দুদেশ এখন উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে, যার সুফল এই অঞ্চলের সব দেশ পেতে পারে।

প্রতিটি দেশের নিজস্ব কিছু সম্পদ বা জ্ঞান বা প্রযুক্তি আছে যা সে অন্যদেশকে শেখাতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ভুটানের পাহাড়ে চাষাবাদ সম্পর্কে ভালো ধারনা আছে এবং সেখান থেকেও আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এই অঞ্চলের দেশগুলো যদি একে অপরকে সহযোগিতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তবে এর সম্মিলিত প্রভাব অনেক বেশি হবে। কোভিডের কারণে গোটা বিশ্বে সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি হলে এখানকার সবদেশ উপকৃত হবে বলে তিনি জানান।

উপ-আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কয়েকটি উপ-আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির প্রস্তাব আছে। এছাড়া ফেনী নদীর ওপর ব্রিজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং এরফলে ত্রিপুরার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য এর আগে ত্রিপুরার পণ্য ১,২০০ কিলোমিটার রাস্তা পার হয়ে কলকাতা দিয়ে আদান-প্রদান হয় যা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করলে মাত্র ৯০ কিলোমিটারে দাঁড়াবে।

দুদেশের মধ্যে দেওয়া প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশি পণ্য পাঠানোর জন্য নতুন পাঁচটি রুট প্রস্তাব, ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় সড়কে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব, বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল মোটর ভেহিক্যাল চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন, হিলি থেকে মাহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিটসহ বিভিন্ন প্রস্তাব।

এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। কোনোটি ভারতের কাছে বিবেচনাধীন আছে, কোনোটি বাংলাদেশের কাছে। আবার ত্রিদেশীয় প্রস্তাবটি তিনদেশ মিলে বিবেচনা করবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সুষ্ঠু কানেক্টিভিটির মাধ্যমে এই অঞ্চলকে আরও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা।

রাজনৈতিক সম্পর্ক

দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশের উদ্যোগের ফলে উভয়দেশ আগের থেকে থেকে অনেক নিরাপদ।

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ভালো রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা না থাকলে দুদেশ নিজেদের অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দেবে সেটিই স্বাভাবিক।

নতুন কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিষয়ে আগ্রহ আছে। প্রথাগত ইস্যু যেমন তিস্তা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্ত হত্যা, অশুল্ক বাধা দুর করার বিষয়গুলোও এরমধ্যে থাকবে বলে তিনি জানান।

260 ভিউ

Posted ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com