কক্সবাংলা ডটকম(৩ আগস্ট ) :: চিন ও পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে এবার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘হারপুন’ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এজন্য দেশটির সঙ্গে ৮ কোটি ২০ লক্ষ (৮২ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে ভারতের।
মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেস এই ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পোরেশন এজেন্সির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন এই চুক্তি দু’দেশের মধ্যে নিরাপত্তাবিষয়ক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সহযোগী ভারতের নিরাপত্তাকেও আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
আমেরিকার অস্ত্রভাণ্ডারের অন্যতম সেরা শক্তি এই হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র। সর রকম পরিবেশে সমান দক্ষতায় কাজ করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। বিশ্বের সফলতম জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বলা হয় হারপুন-কে।
১৯৭৭ সালে প্রথম এই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। ৩০টিরও বেশি দেশের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। রাডারের কড়া নজর এড়িয়ে লক্ষ্যবস্তুকে নিমেষে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে এই ক্ষেপণাস্ত্র। আমেরিকার অন্যতম সেরা সেই ক্ষেপণাস্ত্র এ বার পেতে চলেছে ভারত।
এর আগে গত জুলাইয়ে ভারতকে অত্যাধুনিক এমএইচ-৬০ আর মাল্টি রোল হেলিকপ্টার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের উত্থান ও আগ্রাসনের মুখে ভারতের হাতে এমন একটি হাতিয়ার এলে তা যুদ্ধে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরে দুই দেশের মধ্যে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। সেবার ভারতকে ‘ডিফেন্স পার্টনার’ তথা প্রতিরক্ষা সহযোগীর মর্যাদা দেয় ওয়াশিংটন। ফলে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়। জানা গিয়েছে, হারপুন মিসাইল তৈরি করবে বোয়িং। এবং তা পি-৮১ যুদ্ধবিমানে যুক্ত করা হবে। এই বিমানের নকশা তৈরি করা হয়েছে দূরপাল্লার সাবমেরিন যুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ ছাড়াও নজরদারি, গোয়েন্দা ও প্রত্যাঘাতজনিত অভিযানের কথা মাথায় রেখে। ৩.৮৪ মিটার দীর্ঘ ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ৫০০ পাউন্ড। এতে রয়েছে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম ওয়ারহেড, যা উপকূল যুদ্ধ এবং আকাশে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে খুবই কার্যকরী।
Posted ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৪ আগস্ট ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta