বিশেষ প্রতিবেদক :: কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে জেলে আবুল কালাম নিহতের ৩৫ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও মামলা হয়নি।
মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত থানায় পরিবারের কেউ মামলা করতে আসেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে নিহত আবুল কালামের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মাঠে জানাজা শেষে লাশটি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার সকালে কুতুবজোম ইউপি নির্বাচনের ভোট চলাকালে জামেউস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ কামালের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মোশারফ হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় গোলাগুলিতে মারা যান ওই ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন আরও চারজন। আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত আবুল কালাম আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সমর্থক ছিলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আবুল কালামের লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়। আজ সকালে তাঁর জানাজা শেষে লাশটি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নিহত আবুল কালামের স্ত্রী নুর আয়েশা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, লাশ দাফন করতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় মামলা করতে দেরি হচ্ছে। তাই মঙ্গলবার রাতে বা বুধবার থানায় গিয়ে স্বামী হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবার থেকে মামলা করবেন।
জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই বলেন, মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত নিহত জেলে আবুল কালামের পরিবারের কেউ থানায় কোনো মামলা দেননি। এরপরও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার জন্য পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Posted ৩:১১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta