কক্সবাংলা ডটকম :: দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। একদিকে মুদ্রাস্ফীতি। অন্যদিকে চিনের (China) কাছে বিপুল ঋণের বোঝা। সেই জালে জড়িয়ে পড়ে আরও গভীর সমস্যায় ভারতের প্রতিবেশী দেশ।
এই পরিস্থিতিতে চিনের কাছে ওই বিশাল ঋণ পরিশোধের বিষয়টি পুনঃনির্ধারণ করার আরজিও পেশ করেছে তারা।
এদিকে রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি। গত বছর শ্রীলঙ্কার মুদ্রার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুত পড়ে যেতে থাকে। এর প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়েছে দৈনন্দিন রুটিরুজির হিসেবেও। ৩০ আগস্ট আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয় শ্রীলঙ্কায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। ফলে সাধারণ মানুষের কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়।
রবিবার শ্রীলঙ্কা সফরে এসেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বৈঠকে এই আরজি জানান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। চিনই শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় দ্বিপাক্ষিক অংশীদার। তাদের কাছে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ রয়েছে শ্রীলঙ্কার।
এখানেই শেষ নয়, দেশের আর্থিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে আরও ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধার করতে হয়েছে পরে। এই বিপুল অঙ্কের ঋণ এখন রাজাপক্ষে সরকারের অন্যতম মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে। কেবল চিনই নয়, সেদেশের বিদেশি ঋণের মোট পরিমাণ ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৪ সাল থেকেই ঋণের বোঝা বাড়তে শুরু করে কলম্বোর। সেই সঙ্গে ক্রমেই মুখ থুবড়ে পড়ে জিডিপি। ২০১৯ সালে তা পৌঁছে যায় ৪২.৮ শতাংশে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে এবছর সব মিলিয়ে অন্তত ৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শোধ করতেই হবে রাজাপক্ষে প্রশাসনকে। যা ক্রমেই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।
‘কলম্বো গেজেট’-এ সুহেল গুপ্টিল লিখেছেন, শ্রীলঙ্কাকে জোড়া বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। একদিকে বাণিজ্যিক ঘাটতি। অন্যদিকে আর্থিক ঘাটতি। এর মধ্যে গত ২ বছর ধরে চলতে থাকা করোনা পরিস্থিতি বিষয়টিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
শেষ পর্যন্ত কী ভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পায় শ্রীলঙ্কা, সেদিকেই নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক ওয়াকিবহাল মহলের।
Posted ১:১২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta