কক্সবাংলা ডটকম :: কঠিন ম্যাচে জয় পেল ব্রাজিল। বিশ্ব ফুটবলে যে কটা দল ব্রাজিলকে ভোগায়, তাদের মধ্যে অন্যতম মেক্সিকো। আজও হলুদ জার্সিধারীদের কাজটা কঠিন করে তুলেছিল তাঁরা। কিন্তু শেষ হাসি হাসল সেই সাম্বা ব্রিগেড। অলিম্পিক ফুটবলে সোনা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে ব্রাজিলের সামনে এখন ধাপ বাকি একটি। কাশিমায় আজ অলিম্পিক ফুটবলের সেমিফাইনালে মেক্সিকোকে টাইব্রেকারে ৪–১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল।
আগামী শনিবার সোনার পদকের জন্য লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও স্পেন। মঙ্গলবার স্পেন ১-০ গোলে জাপানকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়ে অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠেছে।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জয় তুলে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। ৮২ মিনিটে রিচার্লিসনের হেড মেক্সিকোর গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। গোলের সুযোগ পেয়েছিল মেক্সিকোও। দ্বিতীয়ার্ধে তারা অন্তত দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে। টাইব্রেকারে নিজেদের গোলকিপার সান্তোসকে ধন্যবাদ দিতেই পারে ব্রাজিল। মেক্সিকোর এদুয়ার্দো আগুইয়োর স্পটকিক রুখে দেন আতলেতিকো পারানায়েনেসের এই গোলকিপার।
টাইব্রেকারে এমনিতেই ভাল করতে পারেনি মেক্সিকো। তাদের ডিফেন্ডার হোয়ান ভাসকেজও টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। গোলপোস্টে মারেন তিনি। মেক্সিকোর হয়ে শুধু কার্লোস রদ্রিগেজ লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছেন। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন দানি আলভেজ, মার্তিনেল্লি, গুইমারায়েজ ও রেইনার। রেইনারের ডান পায়ের শট মেক্সিকোর জালে জড়ালে ফাইনাল নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের।
তবে টাইব্রেকারে হেরে মেক্সিকোর বিদায় নেওয়াটা হতাশার। ২০১২ অলিম্পিকে সোনাজয়ী মেক্সিকো ৪ ম্যাচে ১৪ গোল করে উঠে এসেছিল সেমিফাইনালে। কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে ৬ গোল করে তারা। ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রথমার্ধের শেষদিকেও গোলের সুযোগ পেয়েছিল মেক্সিকো। লুইস রোমোর সে প্রচেষ্টা রুখে দেন সান্তোস।
ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের কোচ আন্দ্রে জর্ডিন জানিয়েছেন মেক্সিকো অত্যন্ত কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীতা প্রমাণিত হবে জানা ছিল। এরকম দলের বিপক্ষে খেলা সব সময় কঠিন। কিন্তু তার মধ্যেও ব্রাজিল তুলনায় বেশি সুযোগ তৈরি করেছিল। সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে খেলা টাইব্রেকার যাওয়ার দরকার পড়ত না।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনালে উঠতে পারা বড় ব্যাপার। শেষবার নিজেদের ঘরের মাঠে ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিল নেইমারের ব্রাজিল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ট্রফি ধরে রাখতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার। তবে এই নিয়ে পরপর তিনবার অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনাল খেলবে ব্রাজিল।
সেমিফাইনালে আরেক ম্যাচে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলা গোল শূন্য থাকায় স্পেন-জাপান ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ১১৫ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার মার্কো আসেনসিও কাঙ্খিত গোলটি করে ফেলেন। তাঁর গোলেই ‘লা রোজা’ পৌঁছে যায় ফাইনালে।
আগামী শুক্রবার ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে জাপান খেলবে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে।
Posted ৭:০১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta