কক্সবাংলা ডটকম :: করোনাকালীন লকডাউনে অধিকাংশ মানুষের মোবাইল,ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট স্ক্রিনের উপর নির্ভরশীল হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে কয়েকগুণ। আশঙ্কাজনক হারে কমে গিয়েছে পরিবার ও প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানোর প্রবণতা। ফলে সুদূরে দৃষ্টিপাতের অভ্যাস নেই বললেই চলে!
এতে করে চোখের দৃষ্টির কার্যক্রমতার উপর প্রভাব ফেলছে বিশেষ করে দূরে তাকানোর দৃষ্টিশক্তি কমছে।
এ সমস্যার প্রবণতা বড়দের থেকে ছোটদের বেলায় ক্ষতির মাত্রা মারাত্মক রূপ নিচ্ছে। গবেষণায় এমনই দিকটি উঠে এসেছে। চিকিত্সকরা চোখের এ সমস্যার নাম দিয়েছে ‘কোয়ারান্টিন মায়োপিয়া।’
পড়ালেখার সাথে এই মায়োপিয়ার সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। বিশেষ করে যারা বেশি পড়ালেখা করতে অভ্যস্ত তাদের ক্ষেত্রে এই মায়োপিয়ার প্রবণতাও বেশি।
চীনে এক লাখ ২০ হাজার স্কুল পড়ুয়া শিশুদের উপর পরীক্ষা করে দেখা যায়, ৬ থেকে ৮ বছরের শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ার প্রবণতা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর এর অন্যতম কারণ করোনাকালীন লকডাউনের কারনে শিশুদের বাড়িতে বসে থেকে মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের উপর নির্ভরশীলতা। যার ফলে শিশুদের দূরের দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে!
গবেষকরা বলছেন, ছয় থেকে আট বছরের শিশুদের চোখের গঠনগত পরিবর্তন হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যে জন্য এই বয়সে শিশুরা যদি দূরের না দেখার অভ্যাস গড়ে তোলার কারনে দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে ফলে একটা সময় দেখা যাবে বড় হওয়ার পরও ওই সমস্যাটা আর কাটবে না। তাছাড়া এ বয়সী শিশুদের মধ্যে আইবল যদি বড়ে হয়ে যায় তাহলে দূরে তাকানোর দৃষ্টিশক্তি একেবারেই কমে যাবে!
আর এর থেকে রেটিনার সমস্যা হতে পারে এবং একটা সময় বড় হওয়ার সময়টাতে চোখের দৃষ্টি পুরোপুরি হারিয়ে অন্ধত্ব হতে পারে।
Posted ৮:২৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ জুন ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta