কক্সবাংলা ডটকম(৬ এপ্রিল) :: চেইন ইমিগ্রেশন’ (পারিবারিক অভিবাসন) বন্ধ করা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাবের খবরের প্রভাব পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও। খামখেয়ালীপনাসহ নানা কারণে এতদিন যারা স্বজনদের জন্য আবেদন না করে বসেছিলেন তারা এখন দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
একই সঙ্গে বছরের পর পর গ্রীণ কার্ড স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি) নিয়ে যারা বসে ছিলেন তারাও নড়েচড়ে বসেছেন। তারা এখন এসব বিষয় নিয়ে এটর্নীদের অফিসে অফিসে দৌঁড়াচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, ‘চেইন ইমিগ্রেশন’ নিয়ে এখনো কোন কিছু হয়নি। তবে স্বজনদের জন্য এখনও যারা আবেদন করেননি তাদের আবেদনের জন্য উৎসাহ দিচ্ছি।
জ্যামাইকার ১৬৮ স্টিটের বাংলাদেশি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছি প্রায় ২০ বছর। বন্ধুরা সবাই তাদের স্বজনদের জন্য অনেক আগেই আবেদন করেছিলেন। তারা প্রায় সময় আমাকে আবেদন করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করতেন। আমার ভাই বোনেরা বাংলাদেশে ভালো অবস্থানে থাকার কারণে তাদের জন্য আবেদন করিনি এতোদিন। ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিদিনই নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার আবেদনগুলো করার। এ লক্ষে আমি আমেরিকান এক এটর্নী দিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
উডসাইডের বাসিন্দা বাংলাদেশি কফিল উদ্দিন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা বক্তব্যে পর শংকিত হওয়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আমি পরিবারের সদস্যদের জন্য আবেদন করে রেখেছি। অবশ্যই দেরিতে আবেদন করার কারণে আমার খরচ একটু বেশি পড়েছে।
ফ্লাশিংয়ের বাংলাদেশি জমির উদ্দিন বলেন, আমি অন্তত ৯ বছর ধরে গ্রীণ কার্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আছি। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে যাই। মনের মধ্যে এখন অজানা আশংকা কাজ করছে। এ কারণে গত সপ্তাহ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছি। ভাবছি যে কোন সময় পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। আমি কোন ধরনের দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে চাচ্ছি না।
জ্যাকসন হাইটসের ৭৮ স্টিটের বাসিন্দা লামিয়া আক্তার বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে আসি ১০ বছর আগে। আমি নাগরিকত্বের আবেদন করেছি যথা নিয়মে। কিছুদিন আগে নানা কথা শুনেছি। তবে এর মধ্যে আমার নাগরিকত্বের পরীক্ষার দিনক্ষণ ঠিক হয়ে আছে। এখন মনে হচ্ছে নাগরিকত্বের পরীক্ষাটা হয়ে গেলেই বেছে যাই।
Posted ১:৫২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta