শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

যেভাবে ‘বিশিষ্ট নাগরিক’ বনে গিয়েছিল প্রতারক সাহেদ

বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
252 ভিউ
যেভাবে ‘বিশিষ্ট নাগরিক’ বনে গিয়েছিল প্রতারক সাহেদ

কক্সবাংলা ডটকম(২১ জুলাই) :: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে র‌্যাবের হটলাইনে ১৫১টি অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্য নথিভুক্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। র‌্যাবের হাতে সাহেদের ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য-প্রমাণও এসেছে বলে জানা গেছে। পুরনো মামলাগুলোর নথিপত্র থেকে সর্বশেষ অবস্থা জানার চেষ্টা করছেন র‌্যাবের তদন্ত উইংয়ের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি আইনের আশ্রয় না নেওয়া ভুক্তভোগীদের মামলা করার ক্ষেত্রে সহায়তাও করছেন তাঁরা।

গত সোমবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ৭৬ শ্রমিক-কর্মচারীর করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করে মেট্রো রেলের নির্মাণকাজে জড়িত একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাহেদের বিরুদ্ধে ৬৬টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের ঘটনায় দায়ের করা মামলার (যে মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন সাহেদ) তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছ থেকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দেড় শ ভুক্তভোগী আমাদের হটলাইনে অভিযোগ করেছেন। আমরা ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পেয়েছি। অভিযোগ যাচাই করে ভুক্তভোগীদের আইনগত সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হটলাইন আরো দুই দিন, অর্থাৎ মোট পাঁচ দিন চালু থাকবে।’

ডিবি ও র‌্যাবের সূত্র জানায়, সাহেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যসূত্রে অভিযান চালিয়ে জাল টাকা, মাদক, চেক, গাড়িসহ আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিবি অভিযানে গিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদের ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে কিভাবে তিনি একের পর এক অপকর্ম করেছেন এবং নিজের চরিত্র আড়াল করে ‘বিশিষ্ট নাগরিক’ বনে গেছেন সেসব তথ্য খতিয়ে দেখছে ডিবি। সাহেদের সঙ্গে মিডিয়ার অনেকের সম্পর্কের তথ্য মিলেছে। এর মধ্যে দুই নারীকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের কারণে তাঁদের দাম্পত্য কলহ তৈরি হয় বলেও তথ্য মিলেছে।

সাহেদের তিন স্ত্রী এবং আরো কয়েকজন বান্ধবীসহ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হচ্ছেন নতুন নতুন ভুক্তভোগী। তাঁরা জানাচ্ছেন হয়রানি ও প্রতারণার দুঃসহ অভিজ্ঞতা। সূত্র জানায়, গত ১৭ জুলাই চালুর পর গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত র‌্যাবের হটলাইনে ১৫১টি অভিযোগ এসেছে। এই হটলাইনের নম্বর ০১৭৭৭৭২০২১১, ই-মেইল  rabhq.invest@gmail.com|

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন কুমার সাহা বলেন, মেট্রো রেল নির্মাণের কাজ করছে এমন একটি সাবকন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সোমবার রাতে রেজাউল করীম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলা করেন। বাদী রেজাউল বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে ৭৬ জন শ্রমিকের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে তাদের দেওয়া রিপোর্টগুলো ভুয়া ছিল।

গত ৬ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালটির আট কর্মীকে আটক করেন। ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করে র‌্যাব। ১৬ জুলাই আদালত সাহেদ ও এমডি মাসুদ পারভেজের ১০ দিন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম শিবলীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল পর্যন্ত ডিবির হেফাজতে থাকা এই তিন আসামিকেই র‌্যাব হেফাজতে নেবে বলে জানা গেছে।

সাহেদের ছিল পেশাদার ‘তদবির পার্টি’

গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের প্রতারণার কথা লিখিতভাবে জানাতে সোমবার বিকেলে র‌্যাব সদর দপ্তরে যান হাবিবুর রহমান নামের একজন ভুক্তভোগী। রিজেন্টে মালপত্র সাপ্লাই দেওয়া বাবদ তিনি সাড়ে ১৯ লাখ টাকা পাবেন। তার বক্তব্য শোনার পর র‌্যাবের এক কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, ‘সাহেদ প্রতারণা ও জালিয়াতিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। এত ধরনের প্রতারণার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেটা কল্পনাতীত। কীভাবে এত এত কৌশল বের করতেন, সেটাও ভাবনার বিষয়।’
সাহেদের প্রতিষ্ঠানের সাবেক একাধিক কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কোন ব্যক্তির কোন কাজের ফাইল দপ্তরে আটকে আছে, কোথায় ভালো পোস্টিং পেতে চান, কোথায় ব্যবসায় জড়াতে চান- এসব খুঁজে বের করতে সাহেদের একটি সিন্ডিকেট ছিল। এরপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বড় ধরনের ফাঁদ পাততো সাহেদ সিন্ডিকেট। সামনে পেছনে রেখে তদবিরের নামে কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। সাহেদের অবৈধ আয়ের একটি বড় উৎস ছিল তদবির বাণিজ্য। অনেক সময় সাহেদ তদবিরে সফল হয়েছেন, আবার অনেক কাজ করতে ব্যর্থ হন। তবে তদবিরে ব্যর্থ হওয়ার পর টাকা ফেরত দেওয়ার নজির তার খুব কম।
সাহেদের অপকর্মের তথ্য জানতে র‌্যাব যে হটলাইন চালু করেছে সেখানে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ১৩০টি অভিযোগ এসেছে টেলিফোনে। আর বাকি ২০টি ই-মেইলে। এদিকে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর ১৭ জনকে আসামি করে দায়ের করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে র‌্যাব।
সাহেদের একজন সাবেক দেহরক্ষী জানান, ২০১১ সালে সাহেদের বাবা ছেলের একান্ত সহকারীকে (পিএস) বিয়ে করেন। সাহেদের মা সাফিয়া করিম আগেই মারা যান। বৃদ্ধ বয়সে সাহেদের বাবা আশ্রয় খুঁজছিলেন। কারণ তাকে দেখভালের তেমন কেউ ছিল না। তবে পিএসকে বিয়ে করায় নিজের বাবাকে উত্তরার অফিসে প্রকাশ্যে বেল্ট দিয়ে বেদম মারধর করেন সাহেদ। এটা দেখে রিজেন্টের অনেক কর্মী বিস্মিত হয়ে যান। পরে সাহেদের বাবা তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বাসায় থাকতেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তার একটি সন্তান রয়েছে।
দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, প্রতারক সাহেদের অনেক অপকর্মের হোতা নাজিম উদ্দিন। তিনি রিজেন্ট গ্রুপের ট্রান্সপোর্ট শাখার জিএম ছিলেন। মূলত রিজেন্ট গ্রুপের জন্য প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহন সরবরাহ করতেন তিনি। অনেকের কাছ থেকে ভাড়ায় গাড়ি এনে তা তার ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে নাজিমের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সাহেদের প্রভাবে অন্যান্য অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিলেন নাজিম। উত্তরায় রেইনবো নামে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে।
মাদকসেবী হিসেবে সেখানে চিকিৎসা নিতেন নাজিম। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাহেদকে সেখানে নিয়ে যান তিনি। পরে যৌথ মালিকানাধীন রেইনবো থেকে একজন মালিককে কৌশলে সরিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম মালিক বনে যান নাজিম। এ ছাড়া একজন ব্যাংক কর্মকর্তার মামলায় নাজিম একবার ডিবি পুলিশের হাতেও গ্রেপ্তার হন। ওই সময় তাকে সহায়তা করেন সাহেদ। তবে সাহেদ এবার ধরা পড়ায় নিজেকে বাঁচানোর জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন নাজিম। সাহেদের মাধ্যমে তিনিও ভুক্তভোগী বলে দাবি করেন।
সাহেদের একাধিক সাবেক কর্মী জানান, কয়েক বছর আগে সাহেদ উত্তরা এলাকায় একটি স্লোগান নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। তার স্লোগান ‘প্যাডেল যার, রিকশা তার।’ বিনামূল্যে রিকশা সরবরাহের নাম করে একটি বিদেশি এনজিও থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি। আসলে কোনো মানুষকে তিনি বিনামূল্যে রিকশা দেননি। যাদের রিকশা দেওয়া হয়েছিল তাদের বলা হয়- রিকশা কেনার টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত দিনে ২০০ টাকা জমা দিতে হবে। এভাবে রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন আবার এনজিওর কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন।
সাহেদ বিদেশে টাকা পাচার করেছেন কিনা তার তদন্তও শুরু হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হবে।
অন্য একটি সূত্র জানায়, সাহেদ সব সময় অপরাধপ্রবণ মানসিকতার লোকজনকে তার প্রতিষ্ঠানে বেশি চাকরি দিতেন। তাদের ব্যবহার করে নানা ধরনের অনিয়ম ও অন্যায় কিছু করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল। মশিউর ও মিজান নামে দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন সাহেদের রিজেন্ট গ্রুপে কাজ করতেন। মশিউর ছিলেন সাহেদের এপিএস। আর মিজান রিজেন্টের পরিচালক। কয়েক বছর আগে বনানীতে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় মশিউর ও মিজানের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মিজান ওই মামলায় গ্রেপ্তারও হন।
সাহেদের একজন সাবেক সহকর্মী জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তাকে ভালো একটি জায়গায় পোস্টিং করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন সাহেদ। তবে শেষ পর্যন্ত ওই পোস্টিং করাতে ব্যর্থ হন। পরে আর টাকাও ফেরত দেননি। আরেকজনকে একটি দপ্তরের প্রধান বানানোর কথা বলে পাঁচ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। পরে তিনি ওই দপ্তরের প্রধানও হন। সাহেদের জন্য যে সিন্ডিকেট এসব বড় পার্টি ধরে আনত তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পারভেজ। পারভেজের বাড়ি ধামরাই। তিনি রিজেন্টের পরিচালক ছিলেন।

সাহেদের প্রতারণার শিকার শোভন এন্টারপ্রাইজের হুমায়ুন কবির বলেন, রিজেন্টের কেসিএল লিমিটেডে মোটা বালু সরবরাহ করা বাবদ ৩১ লাখ টাকা পাবেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে বালু সরবরাহ করে আসছিলেন তিনি। তাকে দুটি চেক দেওয়া হলেও তা ডিজঅনার হয়েছে। সাহেদ গ্রেপ্তারের পর এখন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

সাহেদের প্রতারণার শিকার হাবিবুর রহমান জানান, ২০১৬ সালে সাহেদের প্রতারণার তথ্য জানিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় গেলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। থানা থেকে বের হওয়ার পরপরই সাহেদ ফোন করে বলে, ‘তুই আমার নামে অভিযোগ জানাতে থানায় গেছিস। এত বড় সাহস।’ হাবিবুর রহমান আরও জানান, থানায় সাহেদের লোক থাকত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলেই তারা সাহেদকে খবর দিয়ে দিত।
সাহেদের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজে সংশ্নিষ্ট একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠান। রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের ৭৬ জন শ্রমিক ও কর্মচারীর করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল।
ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে ৭৬ জন শ্রমিকের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে, যা সঠিক ছিল না। পরীক্ষার কথা বলে রিজেন্ট হাসপাতাল টাকা আত্মসাৎ করেছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর ভুক্তভোগীদের আইনি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা বলেন, রিজেন্টে অভিযানের পর থেকে এখন পর্যন্ত সাহেদের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা হয়েছে। আগেও এ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল। আরও অনেক ভুক্তভোগী আসছেন। তারাও মামলা করবেন।
252 ভিউ

Posted ২:১৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com