সোয়েব সাঈদ,রামু :: কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের ফলে রামুতে সৃষ্ট বন্যার আরো অবনতি হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পানি কমলেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মানুষের আতংক আর দূর্ভোগ এখনো কমেনি। গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক পানিতে তছনছ হওয়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
দূর্গত এলাকাগুলোতে রান্না করা খাদ্য সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। বুধবার রাতে রান্না করা খাবার এলাকাগুলোতে সরবরাহ করতে দেখা গেছে। এছাড়া রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকাসমূহে সার্বিক পরিস্থিতি তদারক করার পাশাপাশি শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
এদিকে রামু-মরিচ্যা সড়কের অফিসেরচর এলাকায় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ঠিকাদারের অবহেলার কারণে ওই এলাকার কেটে রাখা বেড়িবাধ দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। একারণে রামু-মরিচ্যা সড়ক সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত পরিবার দুদিন ধরে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানির তোড়ে তছনছ হয়ে গেছে সড়কের বিপুল অংশ। এ কারণে দুদিন ধরে রামু-মরিচ্যা সড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা দুদিন ধরে সড়কের ওই অংশটি পরিদর্শনে যান। তিনি জানিয়েছেন-ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে এখানে ভাঙ্গা বেড়িবাধ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। ঠিকাদারকে তাৎক্ষণিকভাবে বেড়িবাধ সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল থেকে বেড়িবাধের ওই অংশটি বালির বস্তা দিয়ে সংস্কারের কাজ চলতে দেখা গেছে।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন-বুধবার দুপুর থেকে পানি কিছুটা কমলেও মানুষের দূর্ভোগ বেড়ে গেছে। মাঝিরকাটা ও পূর্ব বোমাংখিল এলাকায় বাঁকখালী নদীর বেড়িবাধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
ইউনিয়নের কৈয়াজরবিল, ডেইঙ্গারচর, ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বোমাংখিল, পশ্চিম জুমছড়ি, অনেক গ্রামে প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বড় বিল, গর্জনিয়া, বাইশারী সড়ক সহ আরো একাধিক সড়ক ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গেছে। একারনে চলাচলে মানুষের ভোগান্তিও বেড়ে গেছে। বন্যা কবলিত লোকজনকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নোমান জানিয়েছেন-ইউনিয়নের ফরেষ্ট অফিস এলাকা পানিতে এখনো প্লাবিত হওয়ায় রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফরেষ্ট অফিস, গাছুয়াপাড়া, বৈলতলী, চরপাড়া সহ কয়েকটি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়ায় এসব এলাকার লোকজন দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাইল নোমান জানিয়েছেন-ইউনিয়নে এখনো হাজারো পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঝূঁকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বুধবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় লোকজন আরো বেশী দূর্ভোগের আশংকা রয়েছে।
দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ভূট্টো জানান-ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ১ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উমখালী এলাকায় বাঁকখালী নদীর বেড়িবাধ ভেঙ্গে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
Posted ৫:১৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta