রামু প্রতিনিধি :: রামুতে মোটর সাইকেল বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ইশান মোটরস শো-রুমে এ সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদুল হক জনি অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন।
মোহাম্মদুল হক জনি রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজারীকুল গ্রামের আবদুল হকের ছেলে।
রবিবার (৩ অক্টোবর) সকালে সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এছাড়া এ মামলায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর আরো দুই আসামীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলে প্রেরণ করা হয়েছিলো। এরা হলেন- আবদুল হকের ছেলে শেফাদুল হক তুষা ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের টিলাপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদিন জনুর ছেলে ফয়জুল্লাহ।
আটক এসব আসামীরা গত ১৯ মে রামুর বাইপাস এলাকায় মোটর সাইকেল বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ইশান মোটরস শো-রুমে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা সংগঠিত করে। ওই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার, সহকারি ম্যানেজার সহ ৩ জন গুরতর আহত হন। এসময় হামলাকারীরা ক্যাশ থেকে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে।
এ ঘটনায় জড়িত ৫ জন এবং অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামী করে ২০ মে রামু থানায় মামলা (নং ৪৪) দায়ের করেন ইশান মোটরস এর স্বত্ত¡াধিকারি মোঃ শাহজাহান।
মামলার এজাহার ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে- একটি সংঘবদ্ধ দল ওই দোকানে গিয়ে দোকান মালিক মোঃ শাহজাহানকে মারধরের চেষ্টা চালায়। এসময় বাধা দিলে হামলাকারিরা প্রতিষ্ঠানটির সহকারি ম্যানেজার আবদুল আজিজের মাথা, ডান ও বাম উরুতে একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করে। এসময় এলোপাতাড়ি হামলায় গুরতর আহত হন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম ও কর্মচারি বাপ্পী।
ওইদিনের হামলায় নেতৃত্ব দেন- রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মৃত বজল আহমদের ছেলে আবদুল হক, আবদুল হকের ছেলে মোহাম্মদুল হক জনি ও তুষার, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের টিলাপাড়া এলাকার জনুর ছেলে ফয়জুল্লাহ, হাবিব উল্লাহর ছেলে শুভ।
হামলাকারিরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার প্রতিষ্ঠানে ক্যাশ ব্যাক্সে ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য রক্ষিত ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এছাড়া হামলাকারিরা দীর্ঘক্ষণ তান্ডব চালিয়ে শো-রুমের কাঁচ, দরজা, বিক্রয়ের জন্য মজুদকৃত গাড়ি, অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
Posted ১১:৫৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta