কক্সবাংলা ডটকম(১১ অক্টোবর) :: রাশিয়ার সেনাবাহিনী ২০১৯ সালের শুরু থেকেই পঞ্চম প্রজন্মের এয়ার সুপেরিওরিটি ফাইটার সু-৫৭ সংগ্রহের জন্য অর্ডার সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এ ধরনের ৭০টি জঙ্গি বিমান মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের জুলাইয়ে নতুন মাস প্রডাকশন লাইনও চালু করা হয়।
পাশাপাশি বিমানের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে এটি রফতানির চেষ্টা করে যাচ্ছেমস্কো। জঙ্গিবিমানটির অনন্য ক্ষমতার জন্য চীন, আলজেরিয়া, ভিয়েতনাম ও ভারত এর প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানা গেছে। পুরোপুরি সজ্জিত অবস্থায় স্থল ও জলভাগে হামলা চালানোর উপযুক্ত হবে এই জঙ্গিবিমান।
জানা গেছে, এই বিমান রফতানি নিয়ে ভারত ও ভিয়েতনামের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এক নতুন ক্রেতা হাজি হয়েছে – মিয়ানমার বিমান বাহিনী। রাশিয়ার সঙ্গে মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্কের জের ধরে সু-৫৭-এর প্রথম ক্রেতা হতে পারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেশটি। রাশিয়ায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কো কো শেইনের এ ব্যাপারে আগ্রহ থেকে বিষয়টি আঁচ করা যাচ্ছে।
মিয়ানমার বিমানবাহিনীর বহরে এখন রয়েছে রাশিয়ার মিগ-২৯ জঙ্গিবিমানের পুরনো সংস্করণ।
তাছাড়া আছে চীনের তৃতীয় প্রজন্মের জে-৭ জেট। ক্ষুদ্র আকারে হলেও সেখানে পাকিস্তান ও চীনের যৌথভাবে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের লাইটওয়েট জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমানও যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু এখন মিয়ানমার সেনাবাহিনী নজিরবিহীনভাবে হাই ইন্ড হেভিওয়েট ফাইটারের দিকে মনযোগ দিয়েছে। দেশটি ২০১৮ সালে ৬টি সু-৩০এসএম ফ্লানকার জঙ্গিবিমানের অর্ডার দেয়।
সু-৫৭ জঙ্গিবিমানকে এয়ার-টু-এয়ার কমব্যাটের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম জঙ্গিবিমান বলে মনে করা হয়।
তবে মিয়ানমার আগে রাশিয়ার কোন হাই ইন্ড বিমান অপারেট না করায় এখন সু-৫৭ কিনতে চাইলে তাকে এর রক্ষণাবেক্ষণ, ক্রুদের প্রশিক্ষণের পেছনে বিপুল বিনিয়োগ করতে হবে।
Posted ১২:০০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta