মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ১২ কোটি ডলার

শুক্রবার, ০৩ জুন ২০২২
141 ভিউ
রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ১২ কোটি  ডলার

কক্সবাংলা ডটকম :: দেশে ডলারের উচ্চমূল্য ও সংকটের মধ্যেই কমেছে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ। আগের মাসের তুলনায় গত মে মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ৯০ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় ১২ কোটি ৪১ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, গত মে মাসে প্রবাসীরা মোট ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ২০২১ সালের একই সময়ে যা ছিল ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। মাসের ব্যবধানে কমেছে ১২ কোটি ডলারের বেশি।

অন্যদিকে গতকাল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত মে মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা শেষ ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত এপ্রিলে রপ্তানি হয় ৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৯০ কোটি ডলার।

আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া ও বাণিজ্য ঘাটতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। ডলারের সঞ্চয় নিয়ে উদ্বেগের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নীতিমালাতেও কিছু ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো উৎসাহিত করতে নগদ প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে আগের মতো প্রবাসীদের আয়ের উৎস জানতে চাওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবুও চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ঋণাত্মক ধারা বজায় রয়েছে। মাঝে রোজা ও ঈদ উপলক্ষে এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও মে মাসে ফের কমে গেছে। সেই সঙ্গে কমেছে রপ্তানি আয়।

সূত্র মতে, করোনার প্রভাব কমে যাওয়ায় আগের বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে গার্মেন্টসহ বিভিন্ন পণ্যের অর্ডার বেড়েছিল। চলতি অর্থবছরের জুন-জুলাই মেয়াদে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয় ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। রপ্তানি হয় ৪৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির কারণে হঠাৎ করেই চাহিদা কমে গেছে। গত এপ্রিলে দেশের রপ্তানি আয় হয় প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। মে মাসে এসেই তা নেমে গেছে ৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির কারণে বৈদেশিক লেনদেন হিসাবে টালমাটাল অবস্থা। একদিকে রপ্তানি কমছে, অন্যদিকে আমদানি বাড়ছে। আবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে।চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার,যা আগের অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।

গত ২৫ মে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে বর্তমান আমদানির ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব। বিশ্বে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়লে ও বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে না পারলে সেটিও সম্ভব হবে না। এদিকে দেশে ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থের বিপরীতে বেশি টাকা পাচ্ছিলেন প্রবাসীদের স্বজনরা।

এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে প্রায় ৮ লাখ কর্মী বিদেশ গেছে, যা আগের বছরের চেয়ে বেশি। বিপুল সংখ্যক কর্মী বিদেশ যাওয়া ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বহুলাংশে বাড়বে বলে আশা করা হলে উল্টো কমেছে। চলতি অর্থবছরে সরকারের রেমিট্যান্স অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ বিলিয়ন ডলার। প্রথম ১১ মাসে অর্জিত হয়েছে মাত্র ১৯ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৭৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

ডলারের একক রেট প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ ব্যাংক

ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকাতে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের একক রেট বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার থেকে যেকোনো রেটে ডলার বিক্রি করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

গত রোববার সব ব্যাংকে ডলারের এক রেট ৮৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশে ব্যাংক। তবে প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ও রফতানিকারকরা বিল নবায়ন না করায় আজ বৃহস্পতিবার আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, উন্মুক্ত বাজার অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গতি সঙ্গতি রেখে ও চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকগুলো ডলারের দাম ঠিক করবে। আজ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহে ধস নামার আশঙ্কা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, তবে এই সুযোগে কেউ যেন খারাপ কিছু না করে, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যাতে দাম বেশি বাড়াতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের রেট ছিল ৮৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর জন্য আমদানি পর্যায়ে ডলারের দাম ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা এবং প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ৮৯ টাকা ২০ পয়সা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তের পর প্রবাসী আয় কমে যায়। এছাড়া রফতানিকারকরাও নির্ধারিত রেটে রফতানি বিল নগদায়ন না করায় আমদানি বিল মেটাতে গিয়ে ব্যাংকগুলো সংকটে পড়ে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন। আলোচনা সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি। তখনই ডলারের দামের সীমা তুলে দেয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

141 ভিউ

Posted ৩:১৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ জুন ২০২২

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com