শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রোহিঙ্গারাই কেন রোহিঙ্গাদেরকে হত্যা করছে?

রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
584 ভিউ
রোহিঙ্গারাই কেন রোহিঙ্গাদেরকে হত্যা করছে?

রাহমান নাসির উদ্দিন(১১ অক্টোবর) :: হঠাৎ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। শঙ্কা, আতঙ্ক এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে সর্বত্র। সংঘর্ষ ও সংঘাত যে থেমে থেমে আগে হয়নি, তা নয়, কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে আটজন রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পের মধ্যে হত্যা করা খুব একটা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে নেওয়ার আর সুযোগ নেই। ফলে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন আবারও নতুন করে সামনে এসেছে। উত্তেজনা প্রশমনে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করছে।

এখানে উল্লেখ্য, গত তিন বছরে ২০১৭ সালের আগস্টের পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুনের সংখ্যা ৬১, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩৫টি এবং অপহরণ হয়েছে ১৬টি। গত তিন বছরে প্রায় ১২ ধরনের অপরাধে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৭৩১টি মামলা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে জেলে আছে প্রায় ৫৬০ জন পুরুষ ও ৪৮ জন নারী। এসব পরিসংখ্যানই বলে দেয় রোহিঙ্গারা নানান অপরাধ ও অপকর্মে ক্রমান্বয়ে জড়িয়ে পড়ছে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদেরকে হত্যা করছে? এ প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর কাঠামো, আবাস-বিন্যাস, ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্যিক কার্যক্রমের পরিবৃদ্ধি এবং নানান জাতের অবৈধ ব্যবসার বিস্তার প্রভৃতির গভীর এবং ক্রিটিক্যাল উপলব্ধির মধ্যে।

টেকনাফ এবং উখিয়ায় স্থাপিত ৩৪টি ক্যাম্পে ১১ লাখ রোহিঙ্গা কেবলই কোনোরকমে খেয়ে পরে জীবন-যাপন করছে, আল্লাহ-আল্লাহ করে দিনাতিপাত করছে এবং কবে নিজ দেশে ফিরে যাবে, তার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে…যদি কেউ রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যাকে এবং উখিয়া-টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের জীবনকে এভাবে চিন্তা করেন, তাহলে মনে করতে হবে একটা মস্তবড় ভুলের মধ্যে আমরা বসবাস করছি। তাই, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে দৃশ্যমান ঘটনার সূত্র ধরে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর অন্দরমহলের খোঁজ-খবর নেওয়া জরুরি।

শুরুতেই বলে রাখি, আমি রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে বাংলাদেশ যে একটি শরণার্থী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তার জন্য কখনও রোহিঙ্গাদেরকে দায়ী করি না। কেননা, আজকে রোহিঙ্গারা যে সংকটের মধ্যে পড়েছে তার জন্য রোহিঙ্গারা দায়ী নয়; প্রধানত দায়ী হচ্ছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচার, নিষ্ঠুর নির্যাতন এবং অমানবিক জেনোসাইড থেকে বাঁচতে প্রাণের ভয়ে এবং জানের মায়ায় বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশও অত্যন্ত মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু আশ্রয় দিয়েই বাংলাদেশ এ শরণার্থী সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও মিয়ানমারের অসহযোগিতা, অনাগ্রহ এবং আন্তরিকতাহীনতার কারণে সেটা সফলতার মুখ দেখছে না। ফলে, এটা শুরুতেই সাফ করে নিতে চাই, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সৃষ্টির জন্য যেমন রোহিঙ্গারা দায়ী নয়, তেমনি এ সংকট নিরসনের সকল প্রকার চেষ্টা অব্যাহত রাখার পরও কোনও সুনির্দিষ্ট সমাধানে না-পৌঁছতে পারার জন্যও বাংলাদেশ দায়ী নয়।

উভয়ের জন্য প্রধানত এবং মুখ্যত দায়ী হচ্ছে মিয়ানমার। কিন্তু তাই বলে, রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড চালাবে, নিজেরা নিজেদেরকে খুন করবে, শরণার্থী শিবিরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে এবং সর্বত্র আতঙ্ক তৈরি করবে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ‘হোস্ট কান্ট্রিতে’ বাস করতে হলে ‘রিফিউজি’দেরকে কিছু রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধান মেনে চলতে হয়। বাংলাদেশ ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের অনুস্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র না-হওয়া সত্ত্বেও ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী সবধরনের মান (স্ট্যান্ডার্ড) বজায় রেখে শরণার্থী ব্যবস্থাপনা করছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা শরণার্থী হিসেবে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করছে না। ফলে, মাঝে মাঝেই শরণার্থী শিবিরগুলোতে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

গত ৬ অক্টোবর কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে দুই গ্রুপের (মুন্না বাহিনী ও এন্টি-মুন্না বাহিনী) সংঘর্ষে এবং গোলাগুলিতে ৪ জন নিহত হয়। এর আগেও অক্টোবরের ২ এবং ৩ তারিখে বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়। সংবাদপত্রের ভাষ্যমতে ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এসব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সূত্রপাত এবং এ আধিপত্য কায়েম করাকে কেন্দ্র করেই এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এছাড়া মিডিয়ার ভাষ্যমতে ইয়াবা পাচার, মাদক ব্যবসা এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গেও এসব হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততা রয়েছে। আবার মিয়ানমারের সামরিক গোয়েন্দাদের সহায়তা এবং অস্ত্রের সরবরাহের মাধ্যমে এসব বিবদমান দলের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করার অভিযোগও স্থানীয় জনগণের বরাত দিয়ে মিডিয়াগুলো ‘স্পেকুলেটিভ’ সংবাদ প্রচার করছে।

কেউ কেউ আরসার কার্যক্রম হিসেবেও এগুলোকে দেখানোর চেষ্টা করছেন, যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের আরসার কোনও অস্তিত্ব নেই। কেউ কেউ এটাকে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ফল হিসেবেও উপস্থাপনার চেষ্টা করেন। এসব উপস্থাপনার মধ্যে সত্যতা আছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু বিষয়গুলোকে আরও গভীরে গিয়ে উপলব্ধির চেষ্টা করতে হবে।

যেমন, কুতুপালং ক্যাম্প হচ্ছে প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির, যেখানে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। কুতুপালং নতুন ক্যাম্পে ঢোকার পথে কিছু স্থানীয় বাঙালির দোকাপাট আছে কিন্তু ল্যাম্বাশিয়ার মোড়ে গেলে দেখা যাবে ঢাকার প্রায় গাউছিয়া মার্কেটের মতো বা চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের মতো দুইপাশে সারি সারি দোকান তৈরি করে ‘মার্কেট’ বসে গেছে। সেখানে পাওয়া যায় না এমন কিছু নেই।

ল্যাম্বাশিয়া থেকে চাইরমোড়া পর্যন্ত যেতে থাকলে মনে হয় একটা ছোটখাটো গুলিস্তান মার্কেট বা চট্টগ্রামের হকার্স মার্কেট। আর চাইরমোড়ায় (চার রাস্তার মোড়) গিয়ে যদি কেউ দশ মিনিট দাঁড়ান, তাহলে মনে হবে একটা বিরাট পাবলিক জংশন যেন আপনি অত্যন্ত ব্যস্ত কমলাপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন। মানুষ আর মানুষ বিভিন্ন দিকে ছুটাছুটি করছে। এটা বিশ্বাস করার কোনও উপায় নেই যে, এ চাইরমোড়া গত তিন বছরে তৈরি হয়েছে; কিন্তু দেখে মনে হবে এটার বয়স প্রায় ৪০/৫০ বছর। এরকম একটি ব্যস্ত পাবলিক জংশন। এটা একটা নমুনা।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর ভেতরে এরকম শত শত দোকানপাট এবং মাকেট-প্লেস গড়ে উঠেছে। বালুখালীতে গেলেও একই অবস্থা। নয়াপাড়াতে যান একই অবস্থা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এসব দোকানের মালিকানা কার? কার অনুমতিতে এসব দোকান এখানে বসানো হয়েছে? এসব দোকানের তদারকি কারা করে? এসব প্রশ্নের অনেক উত্তর পাওয়া যায়, কিন্তু কোনও সঠিক উত্তর নেই। তবে, সঠিক তথ্য হচ্ছে, এসব দোকান থেকে একটা বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়। এ চাঁদার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়েই মূলত ক্যাম্পে অবস্থিত বিভিন্ন দল এবং উপ-দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত হয়।

এসব এলাকায় যে গ্রুপের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, সে গ্রুপ এদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। গবেষণার নৈতিকতা বজায় রাখার স্বার্থে সবকথা বলতে না-পারলেও এ কথা বলা যায়, এ চাঁদার পরিমাণ বেশ বড়। এর সঙ্গে যুক্ত আছে অতিরিক্ত ত্রাণ বাইরে পাচার করার একটা বিরাট নেটওয়ার্ক, যার সঙ্গে কিছু কিছু বাঙালি ব্যবসায়ী সম্পৃক্ত আছে। ত্রাণ পাচারেরও একটা বিরাট চক্র আছে এবং যে ক্যাম্পে যে গ্রুপের আধিপত্য সে ক্যাম্পের ত্রাণ পাচার চক্র থেকেও একটা মোটা অঙ্কের চাঁদা বা কমিশন এসব গ্রুপ পেয়ে থাকে। ফলে, এ চাঁদার ভাগাভাগি নিয়েও দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগেই থাকে। মাঝে মধ্যে এ দ্বন্দ্ব বাঙালি বনাম রোহিঙ্গাতে রূপ নেয়। এর সঙ্গে যুক্ত আছে সীমান্ত বাণিজ্য। মিয়ানমার থেকে যেসব শরণার্থী এসেছে তাদের মধ্যে অনেকেই আগে থেকেই নানান ধরনের অবৈধ সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

বাংলাদেশে আসার পরও তারা সে নেটওয়ার্ক বজায় রেখেছে। ফলে, ইয়াবা পাচার, আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার, অস্ত্র পাচার এবং নারী-শিশু পাচার প্রভৃতির সঙ্গেও কিছু কিছু রোহিঙ্গা সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এসব কারণে মাঝে মধ্যে দেনা-পাওয়ার ভাগ-বাটোয়ারার বনিবনা নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগে থাকে। এরকম অসংখ্য ছোট ছোট ‘ডিটেইলস’ আছে, যেগুলো রোহিঙ্গা সমস্যা বোঝাবুঝির ‘ম্যাটা-ন্যারেটিভের’ উপস্থাপনায় চাপা পড়ে যায়। এর সঙ্গে যুক্ত আছে নতুন এবং পুরনো রোহিঙ্গাদের মধ্যে কর্তৃত্বের বিরোধ। পুরনোরা দাবি করে, তারাই বাংলাদেশে আগে এসেছে (১৯৯১-৯২ সালে যারা আসে) এবং এখানে বসতি স্থাপন করেছে। ক্যাম্পের আদিবাসিন্দা তারা। সুতরাং ক্যাম্পে তাদের কর্তৃত্ব চলবে। আবার যারা নতুন এসেছে, তাদের দাবি হচ্ছে তারা সংখ্যায় বেশি। যেমন নতুনরা হচ্ছে প্রায় সাড়ে সাত লাখ। আবার পুরনো হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন বা চার লাখ। সুতরাং মেজরিটির কর্তৃত্ব চলবে। যেহেতু কর্তৃত্ব আর আধিপত্যের সঙ্গে বড় অঙ্কের টাকার/চাঁদার ব্যাপার আছে, সেহেতু সেখানে দ্বন্দ্ব-সংঘাত অনিবার্য। কেননা, অর্থই সব অনর্থের মূল।

পরিশেষে বলবো, রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষ সবসময় মানবিক ও সংবেদনশীল। কীভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার একটি সুষ্ঠু সমাধান করা যায়, তা নিয়ে বাংলাদেশ আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি আদায় করে সম্মানের সঙ্গে কীভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায় তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ বারবার আবেদন করছে, অনুরোধ করছে এবং সহযোগিতা কামনা করছে। এমতাবস্থায় রোহিঙ্গারা নিজেরা খুনাখুনিতে লিপ্ত হওয়া একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কুতুপালং ক্যাম্পে চারজন রোহিঙ্গা খুন হওয়ার পর সেখানে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বলেছেন,  ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কারও আধিপত্য থাকার প্রশ্নই ওঠে না। ক্যাম্পে আধিপত্য থাকবে শুধুই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর’। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এটা কেবলই একটি ঘটনার কারণে বা পরিস্থিতির প্রয়োজনে বলা কোনও তাৎক্ষণিক কথা নয়, বরং সরকারের পলিসির অংশ। সত্যিকার অর্থেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আধিপত্য জোরদার করার মধ্য দিয়েই রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের অন্যান্য সকল আধিপত্য এবং আধিপত্য-প্রতিষ্ঠার দ্বন্দ্ব বন্ধ করা সম্ভব। যার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা কর্তৃক রোহিঙ্গা হত্যাও চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব। আমরা চাই, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্মম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে জান নিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যেন নিজেদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করুক। এবং সেটাই বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা উভয়ের জন্য মঙ্গল।

লেখক: নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।  

584 ভিউ

Posted ১০:০০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com