মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
265 ভিউ
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

কক্সবাংলা ডটকম(১৯ ফেব্রুয়ারী) :: বাংলাদেশে আশ্রয় রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় রাজনৈতিক ও মানবিক সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন ডিসিতে শনিবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে প্রেসিডেন্টের উপ-সহকারী এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ঊর্ধ্বতন পরিচালক লিজা কার্টিসের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বৈঠকে কার্টিস জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন।

বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। কার্টিস মার্কিন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির কিছু বিষয় বৈঠকে তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক পরে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর মুখ্য উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে ওয়েলস বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এ বিষয়টির সঙ্গে একমত এবং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়াকে একটি সাহসী মনোভাবের পরিচয় বলে উল্লেখ করেছেন।

বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী দিনগুলোয় এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব হক পরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, উদ্বাস্তু এবং মাইগ্রেশন বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী মার্ক স্টোরেলার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ায় স্টোরেলা বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রেহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

রোহিঙ্গাদের জমিতে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে মিয়ানমার

মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যের বুথিডাউং শহরে রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা ভূমি দখলে নিয়েছে সে দেশের সরকার। সেখানে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে দেশটির পুলিশ বাহিনী। জমিগুলো বৈধভাবে অধিগ্রহণ করাৱ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু না বললেও ঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে পুলিশ বিভাগ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে সামরিক সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট সোফরেপ এ খবর জানিয়েছে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুগত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।  হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জমি অধিগ্রহণ করেছে মিয়ানমারের সরকার। দখলকৃত জমির মধ্যে রোহিঙ্গাদের গ্রামের পাশাপাশি তাদের বেশকিছু পতিত জমিও রয়েছে। দখল করার পর পুলিশ সেখানে পতাকা টানিয়ে দিয়েছে। এসব স্থানে গবাদিপশু নিয়ে যেতেও গ্রামবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে পুলিশ।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি আর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিজস্ব অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে তুলে এনেছে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ভয়াবহ বাস্তবতা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে। রাখাইনের সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা জঙ্গি সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা) দমনে অভিযান চালিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের অন্যান্য গ্রামের মতো বুথিডাউং শহরের মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সরাসরি কোনও সহিংসতা দেখা যায়নি। তারপরও সেখান থেকে অনেক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। রাজ্যজুড়ে সেনাবাহিনীর নির্যাতন শুরুর পর পরিবারকে সহিংসতার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকে আগেই পালিয়ে গেছেন।  এটা দেশজুড়ে চালানো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি সাধারণ কৌশল। সোফরেপ-এর প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমার সরকার এখন কারেন জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে যু্দ্ধবিরতে রয়েছে।

মিয়ানমারে কারেন উপজাতির প্রায় ৬০ লাখ বাসিন্দা রয়েছে। তাদের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারপরও তারা বিরোধপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান শক্তিশালী করছে। ‍যদি বা কখনও আবার লড়াই শুরু হলে বাড়তি সুবিধার জন্য তারা এটা করছে। সরকারের আধিপত্য থাকায় কারেন উপজাতিরা রোহিঙ্গাদের মতোই তেমন কোনও প্রতিবাদ করতে পারছে না। কারেন রাজ্য থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র সোফরেপকে জানিয়েছে, সরকার কারেন রাজ্যেও পরিকল্পিতভাবে সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। সেখানে কারেনদের কোনও স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেখানে জঙ্গলের বাইরেও স্থাপনা নির্মাণ করেছে মিয়ানমার। যাতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হলে তাৎক্ষণিকভাবে ভারী কামান দিয়ে কারেনদের ওপর হামলা চালানো যায়।

মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যেও একই ধরনের স্থাপনা নির্মাণের অংশ হিসেবেই এই সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে। এসব ঘাঁটি থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বা পুলিশ ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের যেকোনও প্রতিরোধ মোকাবিলা করতে পারবে। আর রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধ না থাকলেও ভবিষ্যতে এখান থেকে সহজেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো সম্ভব হবে।

265 ভিউ

Posted ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com