কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৬ ফেব্রুয়ারী) :: মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ৫ হাজার একর বনভূমিতে বসতি স্থাপনের ছয়মাস অতিক্রম করেছে।
সরকার বিপুল সংখ্যক এ রোহিঙ্গা জনগোষ্টিকে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নিলেও এ প্রত্যাবাসনকে বানচাল করতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে একটি মেরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। অতীতে রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল।
রোহিঙ্গারা চায় না এতো সুখ, শান্তি ছেড়ে তাদের ভূখন্ডে ফিরে যেতে।আর বারবার নিরাপত্তা ও নাগরিকত্বের কথা বলে প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জোরদার হচ্ছে। এ সুযোগে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে পুঁজি করে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের চাকুরী দেওয়া, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে অনিয়ম,কিছু এনজিও’র সঙ্গে উগ্রপন্থি গোস্টির সম্পৃক্ততা সহ প্রত্যাবাসন বিরোধী অপতৎপরতা লিপ্ত হয়েছে।
তারা ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের উস্কে দিয়ে রোহিঙ্গা কিশোরদের মাধ্যমে বিক্ষোভ সমাবেশের মত ঘটনা সৃষ্টি করে ক্যাম্প এলাকা উত্তপ্ত করছে।তাদের এসব ষড়যন্ত্রের কারনে রোহিঙ্গা এলাকা স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা রীতিমত হাফিয়ে উঠেছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার জেলায় ১৩টি ক্যাম্প করে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য দিচ্ছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এনজিও সংস্থা। ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সেবায় ১৯২টি কর্মসূচিতে কাজ করছে ১০৫টি এনজিও। আর অসহায় রোহিঙ্গাদের ঠকিয়ে রমরমা বাণিজ্যের পাশাপশি এনজিওগুলোর সঙ্গে উগ্রপন্থি গোস্টির সম্পৃক্ততা, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দ্বিতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া, রোহিঙ্গা শিশুদের বাংলা ভাষায় পাঠদানসহ নানা বির্তকিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়া সহ ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করে যাচ্ছে।
এরই ফলশ্রুতিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক গত ৪ জানুয়ারি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওগুলোর এখতিয়ার বহির্ভূত কার্যক্রমও পরিচালনা সহ ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম নিয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর এক প্রতিবেদন পাঠান।তাতে বেশ কয়েকটি এনজিওর নাম উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এনজিওগুলো কেবল আর্থিকভাবেই অনিয়ম করছে না, তারা এখতিয়ার বহির্ভূত কার্যক্রমও পরিচালনা করছে। দোষী এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছেও প্রতিবেদনটি পাঠান ডিসি।
সূত্রে জানা যায়,প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে উখিয়া-টেকনাফে ১৩টি ক্যাম্পে অবস্থানকারী বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে যে হারে অস্ত্রের আনা-গোনা বৃদ্ধি পেয়েছে,যেকোনো মুহূর্তে অনাকাংক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত করতে পারে।এছাড়া বিতর্কিত কিছু এনজিও,উগ্রপন্থি গ্রুপ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কারনে সীমান্তে অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়েই চলেছে।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫টি বিদেশী পিস্তল সহ ৩০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এবং সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা র্যাবের হাতে আটক হয়।এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে প্রতিদিন অস্ত্র আটক হচ্ছে অহরহ। তাই এ নিয়ে জনমনে আশংকা তৈরি হয়েছে যে, এভাবে অস্ত্রের মজুদ বেড়ে গেলে কি হবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি।আর রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র আসায় স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, রোহিঙ্গারা নিজেরাই অস্ত্র তৈরিতে জড়িত হয়ে পড়েছে। তাদের অস্ত্র তৈরির অভিজ্ঞতাও পূর্ব থেকে রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধার করা হচ্ছে ভারী অস্ত্র। আটককৃতরা রোহিঙ্গা নাগরিক। রোহিঙ্গারা নিজেরাই একে অপরকে তাদের ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র দিয়ে খুনোখুনির ঘটনায় লিপ্ত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উখিয়া-টেকনাফের ৫ লাখ মানুষ।আর এ বিশাল ক্যাম্পে নিয়মিত অভিযান চালানো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে কঠিন হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের দেখভাল ও নিয়ন্ত্রণ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিশাল বনভূমির জায়গাজুড়ে উঁচু-নিচু পাহাড় থেকে পাহাড়ে কাজ করা রীতিমতো কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যেতে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়। বর্তমানে শত শত রোহিঙ্গা যুবকদের হাতে অবৈধ বিদেশী অস্ত্র মিলছে। কে, কাকে, কখন গুলি করে হত্যা করে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। নিজেদের মধ্যে রাত-দিন মারামারি, খুনোখুনি লেগেই রয়েছে।
সূত্র জানায়,ক্যাম্পে দেশী-বিদেশি এনজিও অার উগ্রপন্থিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় রোহিঙ্গারা দিন দিন হিংস্র হয়ে উঠছে। তাদের হাতে অস্ত্র আসার পেছনে তথাকথিত এসব এনজিওগুলোর আর্থিক সহায়তা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যথায় এক কাপড়ে চলে আসা আশ্রিত রোহিঙ্গারা এসব অস্ত্র কেনার টাকা পায় কোথায়?
এদিকে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ স্বীকার করছেন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত এনজিও বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোপনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। সম্প্রতি স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে ব্যানার টাঙিয়ে লস্করে-ই-তৈয়বা নামের পাকিস্তান ভিত্তিক একটি উগ্রপন্থি সংগঠন রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। এ ঘটনা নিয়ে প্রশাসন তৎপর হলে ওই এনজিওটি আত্মগোপন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত পাকিস্তানভিত্তিক এনজিও ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন (এফআইএফ) নামের এ সংগঠনটির কারণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিদ্যমান সুসম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি চেষ্টা করছে বলে রোহিঙ্গা নেতারা দাবী করে জানান, ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ১২টি এনজি সংস্থার গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত থেকে রোহিঙ্গা বিভিন্ন আর্থিক অনুদান ও বিতরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের করাচিতে এফআইএফের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। এ সংস্থাটি উখিয়া ও টেকনাফের কয়েকজন জামায়াতপন্থী প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় উখিয়ার কুতুপালং, টেকনাফের হোয়্যাইকং ও শামলাপুরে এ তিনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এসব কার্যক্রম চালানোর জন্য তিন ক্যাম্পে তাদের তিনজন জনপ্রতিনিধি সংস্থাটি নিয়োগ করলেও তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
কুতুপালং বস্তি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সেক্রেটারি মোহাম্মদ নুর জানান, জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে লস্করে-ই-তৈয়বার নামে পাকিস্তানভিত্তিক এনজিও ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন (এফআইএফ) একটি সংগঠন রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। তাদের সমস্ত দায়দায়িত্বে ছিল স্থানীয় একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। তবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সংস্থার ভয়ে ওই এনজিওটি এখন উধাও। তবে তাদের কিছু কর্মী গোপনে ক্যাম্পে কাজ করলেও তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এখনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কোনো ক্যাম্প নেই। ফলে ১০ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপত্তা ও তাদের কার্যক্রম, গতিবিধি, চলাচল, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তা সহজে জানার উপায় নেই। এ কারণে দ্রুত সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্পের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া দেশি-বিদেশি এনজিও’র প্রায় ১২শ’ বিদেশি নাগরিক এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। তাদের কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) রয়েছে কিনা, তা জানা নেই সংশ্লিষ্টদের। যার ফলশ্রুতিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী অনুমতিবিহীন কাজ করার অভিযোগে ১১ বিদেশী নাগরিককে আটক হয়। পরে মুছলেকা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে উখিয়ার বালুখালী, কুতুপালং, আঞ্জুমানপাড়া ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গাসহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে থাকা সন্দেহভাজন বিদেশী নাগরিক ও এনজিওর গোপন তৎপরতা লক্ষ্য করে গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৭দফা সুপারিশ করেন। তৎমধ্যে কোডেক, এমডিএস, মোয়াসসহ ৪টি এনজিওর বিদেশি কর্মকর্তারা এদেশে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করে রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় অনুভূতি ও মানবিক বিষয়কে পুঁজি করে বায়োমেট্টিক পদ্ধতি গ্রহণে অনিচ্ছুক, ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া রোহিঙ্গা নিরুৎসাহিত করাসহ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিঘ্ন সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এমনকি তারা রোহিঙ্গাদের এসব কাজের জন্য নগদ টাকাও গোপনে বিতরণ করছে। যে কারণে গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়। যার ফলে সরকার ওই ৪টি এনজিওসহ আরো ১২টি এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও তারা গোপনে অপতৎরপতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকেই স্বীকার করলেও তাদের নাম প্রকাশ করতে অনিহা প্রকাশ করেন।
অভিযোগ রয়েছে কিছু এনজিও সেবার নামে ক্যাম্প এলাকায় কর্মরত কতিপয় এনজিও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সাথে কোন যোগাযোগ ছাড়াই যেমন খুশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রশাসনের আদেশ-নির্দেশের তোয়াক্কা করছেনা। আরও অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গা ভিত্তিক মাসিক উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায়ও এনজিওগুলো যায়না। তারা ইচ্ছামতো ক্যাম্পে কাজ করার সুবাদে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আইন শৃংখলার চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের সদস্যসচিব এম গফুর উদ্দিন বলেন, সর্বসাধারনের জ্ঞাতার্থে কোন প্রকার পূর্ব ঘোষনা ছাড়া ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে চাকুরী দেওয়া হয়েছে। অথচ চাকুরীর নামে স্থানীয়দের গুটি কয়েক ছেলে-মেয়েকে সাময়িক চুত্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে সমগ্র উখিয়াবাসির সাথে প্রতারণা করেছে।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, এলাকার মানুষ এখন আতংকে রাত কাটাচ্ছে। কতিপয় এনজিওর ইন্ধনে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা নাগরিক ক্যাম্পে আইনশৃংখলা পরিপন্থি অপতৎপরতা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ক্যাম্পে রোহিঙ্গার ছুরিকাঘাত ও পিস্তলের গুলিতে ৪জন রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া গত রবিবার দুপুরে রোহিঙ্গা কিশোরদের প্রত্যাবাসন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসব এনজিওদের ছত্রছায়ায় রোহিঙ্গারা ক্যাম্প এলাকায় বাজার বসিয়ে রীতিমতো ফায়দা লুটছে। যে কারনে রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসন বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার(এসপি) ড. এ কে এম ইকবাল হোসাইন বলেন, কিছু এনজিও বির্তকিত কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এদের তদারকি দরকার।আর রোহিঙ্গারা প্রতিদিন ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনা ঘটাচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের আটক করে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ধরনের নাশকতা এবং ক্যাম্পে অস্ত্রের আনাগোনা বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫টি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওগুলোর কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে এনজিও ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে কিছু এনজিও’র কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন বা এনজিওকে কাজ করতে দেয়া হবে না। অনুমতিবিহীন কিছু সন্দেহভাজন এনজিওর একটি তালিকা করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। যেসব এনজিও বির্তকিত কাজে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta