কক্সবাংলা রিপোর্ট(১১ মে) :: বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ মিয়ানমারের নাগরিকদের এখনো ফিরিয়ে নেওয়া শুরু না হলেও ১১ মে সোমবার তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার।
এমওইউ এর মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়াতে একমত হয়ে ত্রিপক্ষ একটি ঐক্যমত্য পত্রে স্বাক্ষর করেছে।
সোমবার ইউএনএইচসিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারক ২০১৮ সালের ৬ স্বাক্ষরিত হয়। পরে ২০১৮ সালের মে মাসে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
ইউএনএইচসিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এবং পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের তিনটি উত্তরাঞ্চলের জনপদে বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীল উন্নয়নে সহায়তা করা।
এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ এখনও শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পক্ষে উপযুক্ত নয়। এ অবস্থায় এই এমওইউ, ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপিকে মংডু এবং বুথিডাং শহরতলি পর্যন্ত ১২০টিরও বেশি গ্রামে কার্যকম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে।
ফলে ওই এলাকার মানুষের অগ্রাধিকারগুলি নিয়ে ২ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির সাথে পরামর্শ করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতির উন্নয়নে কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০১৮ সালে প্রাথমিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে, জলীয় উন্নতি, স্কুল ও রাস্তা পুনর্বাসন, দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং আয়-উৎপাদনকারী প্রকল্পসমূহ, পাশাপাশি লক্ষ্যবস্তু প্রকল্পগুলির মতো সম্প্রদায়গত অবকাঠামো সহ মোট ৭৫টি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প (কিউআইপি) অনুমোদিত হয়েছে। এখন কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৬ জুন ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মরকটি স্বাক্ষরিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য,২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর বর্বরতায় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়। অতীতেও বিভিন্ন সময় মিলিয়ে বর্তমানে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করছে।
Posted ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta