মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

লকডাউনে কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা

সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
236 ভিউ
লকডাউনে কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা

কক্সবাংলা ডটকম :: কোরবানির ঈদ ঘিরে শিথিল করা করোনাভাইরাস মহামারীর কঠোর লকডাউন একদিন পরই আবার আরোপের ঘোষণা থাকায় পশুর চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন আড়তদাররা।

তখন কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা গেলেও আড়ত বন্ধ রাখলে কাঁচা চামড়া যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

বাংলাদেশে সারা বছরের চামড়া চাহিদার অনেকটাই মেটে কোরবানির পশু থেকে। ঈদের ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর্যন্ত চামড়া বেচাকেনা হয়ে থাকে।

কিন্তু মহামারীর মধ্যে শিথিল হলেও ঈদের দুদিন পর থেকেই কঠোর লকডাউন ফেরানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের, যখন সব কিছুই বন্ধ রাখার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আড়ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিনের।

তিনি বলেন, “লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আড়ত খোলা রাখার অনুমতি পেলে চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা থাকবে না।”

অন্য বছর চট্টগ্রাম থেকে প্রায় পাঁচ লাখ কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও মহামারীর কারণে এবার সাড়ে তিন লাখ ধরা বলে জানান আড়তদাররা।

মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ‘বুঝে শুনে’ চামড়া সংগ্রহ না করলে ২০১৯ সালের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে সতর্ক করেন আড়তদাররা। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা প্রতি বর্গফুট চামড়া ১৫ থেকে ১৮ টাকার বেশি দিয়ে যেন না কেনে সে পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

২০১৯ সালে চামড়ার দাম না পাওয়ায় একপ্রকার অদৃশ্য হয়ে পড়েছিলেন কোরবানিকেন্দ্রিক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়া এসব চামড়া রাস্তায় পচে যায়। দেশের চামড়া শিল্প বড় রকমের সঙ্কটে পড়ে। পুঁজি হারায় অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী।

যারা কোরবানি দেন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করেন আড়তদারদের কাছে। তারা সে চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করেন ট্যানারিগুলোতে। ট্যানারিগুলো কী দামে চামড়া সংগ্রহ করবে, তা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গত ১৫ জুলাই ট্যানারি মালিকরা কত দামে আড়তদারদের কাছ থেকে কোরবানি পশুর চামড়া সংগ্রহ করবে সে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ট্যানারি মালিকরা এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়া কিনবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়; গত বছর এই দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দাম হবে ৩৩ টাকা থেকে ৩৭ টাকা, গত বছর যা ২৮ থেকে ৩২ টাকা ছিল।

এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত বছর খাসির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকায় বেঁধে দিয়েছিল সরকার।

গত বছর ঈদের পরদিন রোবাবার পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায় লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণে ব্যস্ত আড়তের শ্রমিকরা। ফাইল ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

গত বছর ঈদের পরদিন রোবাবার পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায় লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণে ব্যস্ত আড়তের শ্রমিকরা। ফাইল ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

চট্টগ্রামের আড়তদারদের নেতা সভাপতি মুসলিম বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সেটা চামড়া সংরক্ষণের পরের দাম। কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পর তা সংরক্ষণের জন্য লবন লাগানো, শ্রমিকদের মজুরিসহ আরও কিছু টাকা খরচ হয় আড়তদারদের। তার পরে সেগুলো বিক্রি করা হয় ট্যানারিগুলোর কাছে। সেসব বিষয় বিবেচনায় রেখে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের পশুর চামড়া সংগ্রহ করতে হবে।

“অতিরিক্ত গরমে দ্রুত সময়ে চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। অনেকেই চামড়া আমাদের কাছে আনার আগেই নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে সেগুলো তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় না। তাই তাদের বলব চামড়াগুলোতে যেন লবণ দিয়ে রাখা হয়।”

আড়তদাররা জানান, চট্টগ্রামে এক সময় ২০টির বেশি ট্যানারি ছিল, এখন শুধু কার্যক্রম চালু আছে রীফ লেদার নামে একটি ট্যানারির।

এই ট্যানারির কাছে চট্টগ্রামের আড়তদাররা ৮০ হাজার থেকে এক লাখ চামড়া বিক্রি করে। বাকি চামড়া বিক্রির জন্য ঢাকার ট্যানারির উপর নির্ভর করতে হয় বলে জানান তারা।

মুসলিম উদ্দিন জানান, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে এখনও অনেক টাকা পাওনা আছে চট্টগ্রামের আড়তদারদের।

গত দুই বছরের টাকা তারা পরিশোধ করলেও এখনও ২০১৫-২০১৮ সাল পর্যন্ত অনেক টাকা ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা আছে বলে দাবি করেন তিনি।

236 ভিউ

Posted ৪:২২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com