বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

লকডাউনে ব্যাংক বন্ধে উল্টো পথে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১
261 ভিউ
লকডাউনে ব্যাংক বন্ধে উল্টো পথে বাংলাদেশ

কক্সবাংলা ডটকম :: গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে প্রায় ১১ হাজার। রাজ্যটিতে প্রতিদিনই গড় মৃত্যুর সংখ্যা ১০০-এর বেশি। মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে ভারতের রাজ্যটিতে এ পর্যন্ত কয়েক দফায় কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে। চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধও ছিল। এর পরও রাজ্যটিতে ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়নি।

শুধু দিল্লিই নয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা ভারতে ১ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি মানুষের নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন ও জরুরি অবস্থার মতো কঠোর বিধিনিষেধও দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু কোথাও এ পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধের খবর পাওয়া যায়নি। ব্যাংক বন্ধের কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া থেকেও।

মহামারীর ছোবলে গত বছরের মার্চ-এপ্রিলে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছিল ইউরোপের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি, ফান্স, ইতালি ও স্পেন। একই পরিস্থিতি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও। ব্রাজিল-মেক্সিকোর মতো আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। পৃথিবীর শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোয় এখনো প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে হাজারের বেশি মানুষের। প্রতিদিন নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে লাখে লাখে। মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে পৃথিবীর দেশে দেশে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দেশেই বন্ধ হয়নি ব্যাংকিং কার্যক্রম। দু-তিনটি ব্যতিক্রম ছাড়া বন্ধ হয়নি কোনো দেশের শেয়ারবাজারও। অথচ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ও নজিরবিহীন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ।

সরকারি ঘোষণা আমলে নিয়ে আগামীকাল থেকে টানা সাতদিন ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুুযায়ী, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধ থাকলে বন্ধ হয়ে যায় পুঁজিবাজারও। সে হিসাবে গত বছর টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো বন্ধের ফাঁদে আটকা পড়ছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

একই সঙ্গে দেশের মুদ্রা ও পুঁজিবাজার বন্ধের সিদ্ধান্তকে অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, মহামারীর বিস্তৃতি ঠেকাতে বিশ্বের দেশে দেশে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি কঠোর লকডাউন কার্যকর হয়েছে। কিন্তু কোথাও ব্যাংক বন্ধের কথা শোনা যায়নি। বন্ধ হয়নি কোনো দেশের পুঁজিবাজারও। এক্ষেত্রে বাংলাদেশই কেবল ব্যতিক্রম উদাহরণ সৃষ্টি করল। ব্যাংক হলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের হূিপণ্ড। এটি বন্ধ হলে অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।

করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশে ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এমন সংবাদ শোনেননি বলে জানালেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনে শিল্প-কারখানা, জরুরি সেবা, কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন সেবা চালু থাকার বিষয়ে বলা হয়েছে। যদিও ব্যাংক বন্ধ থাকলে শিল্প-কারখানা কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকলে আমদানি-রফতানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়। সীমিত পরিসরে হলেও ব্যাংকিং লেনদেন সচল রাখার প্রয়োজন ছিল।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৩ দফা নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তত্সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

শিল্প-কারখানা সচল রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিল্প-কারখানাগুলো চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি পরিসেবা, কাঁচাবাজার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির বেচাকেনা সচল রাখার বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয় প্রজ্ঞাপনে।

সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা পেয়ে বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আপত্তি তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করা হয়। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতার সুযোগ রেখে সন্ধ্যায় প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালে সাধারণভাবে সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এ সময়ে ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। তবে সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা এবং বুথগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নিজ নিজ ব্যাংক প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সীমিতসংখ্যক জনবল দ্বারা খোলা রাখতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

ব্যাংকগুলোকে এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যে ভাষায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে সেটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য বিব্রতকর। প্রজ্ঞাপনের ভাষ্য আমলে নিলে, ব্যাংকের সব কার্যক্রম টানা সাতদিন বন্ধ রাখতে হয়। যেটি কোনো অবস্থায়ই বাস্তবসম্মত নয়। এজন্য বিধিনিষেধের মধ্যে থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সীমিত ব্যাংকিংয়ের সুযোগ রেখে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে।

লকডাউনে বিশ্বের কোনো দেশে ব্যাংক বন্ধ হয়েছে কিনা, সেটি জানেন না মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানও। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক এ সভাপতি বলেন, সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে সারা দেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আছে, যারা প্রতিদিন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে শ্রমিকদের মজুরি দেয়। এটির জন্য যে পরিমাণ নগদ টাকার প্রয়োজন হয়, তা কারো পক্ষে ঘরে রাখা সম্ভব নয়। এখন ব্যাংক বন্ধ থাকলে সে টাকা কীভাবে দেয়া হবে, সেটি বুঝে আসছে না। দেশের ভোক্তাবাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। দিন শেষে লেনদেনের অর্থ ব্যাংকে জমা দিতে না পারলে ব্যবসায়ীরা সে টাকা কোথায় রাখবেন? টানা সাতদিন ব্যাংক বন্ধ থাকলে আমদানি দায় পরিশোধ নিয়েও ব্যাংকগুলোকে বিপদে পড়তে হবে বলে মনে করেন এ শীর্ষ নির্বাহী।

শিল্প অঞ্চল ও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাংক শাখাগুলো অন্তত দুই ঘণ্টা হলেও খোলা রাখা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। এক্সিম ব্যাংকের এ চেয়ারম্যান বণিক বার্তাকে বলেন, চলাচলে বিধিনিষেধের মধ্যেও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। দেশে বিভিন্ন খাতের শত শত শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রতিদিনই নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিদিনই ঋণপত্র খুলতে হয়। এখন ব্যাংক বন্ধ থাকলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখাই দুষ্কর হয়ে যাবে।

গত বছরের মার্চে দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সে সময় বন্ধ হয়ে যায় পুঁজিবাজার। ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন দেশের পুঁজিবাজার বন্ধ ছিল। যদিও সে সময় করোনার ভয়াবহ আক্রমণে পর্যুদস্ত ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার চালু ছিল। বাংলাদেশের মতো করোনার কারণে পুঁজিবাজার বন্ধ ছিল শুধু ফিলিপাইন, জর্ডান ও শ্রীলংকায়। তবে কোথাও এখানকার মতো এত দীর্ঘ সময় ধরে পুঁজিবাজার বন্ধ ছিল না।

কয়েকদিন ধরে বিধিনিষেধের মধ্যেও পুঁজিবাজার চালু রাখার কথা জানিয়ে আসছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যদিও ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা আসায় পুঁজিবাজার সচল রাখার সুযোগ নেই বলে মনে করছেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বন্ধ হয়ে যাক, এটি আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। বাধ্য হয়েই পুঁজিবাজার বন্ধ রাখতে হবে। মঙ্গলবার বৈঠক করে আমরা পুঁজিবাজার খোলা রাখার কোনো সুযোগ তৈরি করা যায় কিনা, সেটি দেখব।

বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে অন্যতম লিকুইড অ্যাসেট হিসেবে গণ্য করা হয়। এ কারণে পুঁজিবাজার কখনো বন্ধ হয় না। বাজার বন্ধ থাকলে বিনিয়োগকারীরা তাদের সম্পদ বিক্রি করে নগদ অর্থে রূপান্তর করতে পারেন না, যা পুঁজিবাজারের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বেমানান। পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছেও পুঁজিবাজার বন্ধের বার্তাটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

261 ভিউ

Posted ৪:২৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com