কক্সবাংলা ডটকম :: ফের লাদাখে চীনা লালফৌজের রক্তচক্ষু। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন লাদাখ সীমান্তে নতুন চক্রব্যুহ তৈরি করছে বেজিং। সীমান্ত এলাকা গুলিতে প্রহরায় নতুন ছক সাজাচ্ছে তারা। সেনা বাহিনীর সঙ্গে বায়ুসেনাকেও সীমান্ত প্রহরার কাজে পূর্ণরূপে ব্যবহার করছে বেজিং। সেই মত সীমান্ত এলাকাগুলির আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করেছে চিনা সেনা।
গত ২ বছর ধরে সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাত চলছে। লাদাখ সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখা মানতে নারাজ বেজিং। এই নিয়ে লাদাখে দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘাতও হয়েছে। তাতে দুই দেশের একাধিক সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। প্যাংগং সো হ্রদের পার দখলে মরিয়া বেজিং। কোনও ভাবে ফিঙ্গার পয়েন্ট থেকে ক্যাম্প সরাতে চাইছে না তারা।
এই নিয়ে চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে কিন্তু সমস্যা মেটেনি। সাত দফার আলোচনা বিফলে গিয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে কিছু জায়গায় সেনা সরানো হলেও এখনও বেশিরভাগ জায়গায় সেনা মোতায়েন করে রেখেছে বেজিং।
শীতকাল পড়ার আগে থেকেই সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে তৎপর হয়েছিল বেজিং। সীমান্তে মোতায়েন সেনাদের চাঙ্গা রাখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চরম ঠান্ডার মধ্যেও যাতে সেখানে প্রহরারত ভারতীয় জওয়ানরা চাঙ্গা থাকেন তার জন্য বিশেষ ধরনের গরম পোশাক। তাঁদের অক্সিজেন থেরাপির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তারসঙ্গে অস্ত্রের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
অর্থাৎ হঠাৎ করে প্রয়োজন হলে তারা যাতে মোকাবিলা করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত অস্ত্র এবং গোলাগুলি মজুত রাখা হয়েছে সীমান্তের সেনা ছাউনিগুলিতে। তার উপরে আবার সীমান্ত সুরক্ষায় বায়ুসেনাকেও কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। কাজেই স্থল এবাং আকাশ পথ উভয়ের মাধ্যমেই তারা নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় সড়ক ব্যবস্থাওভাল করা হয়েছে।
সীমান্ত সুরক্ষায় অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বেজিং। সীমান্ত প্রহরায় বেজিং ব্যবহার করতে শুরু করেছে ত্রিস্তরীয় আর্কিটেকটার সার্ভিলেন্স সিস্টেম। তাতে থাকছে ৪টি ব়্যাডার, ইনফ্রা ইলেকট্রো অপটিকাল সিস্টেম, প্যান টিলট ক্যামেরা জুম।
েযটা ৫০০ মিটার পর্যন্ত লক্ষ ভেগে সক্ষম। একই সঙ্গে সীমান্তে পাহারার জন্য পর্যাপ্ত বাঙ্কারও তৈরি করেছে বেজিং। তাতে অত্যাধুনিক ক্যামেরা এবং বন্দুক মোতায়েন করা হয়েছে। কাজেই বাঙ্কারের ভেতরে বসেই অত্যাধুনিক ক্যামেরার সাহায্যে অনেক দূর পর্যন্ত নজরদারি চালানো যাবে এমন ব্যবস্থা করেছে বেজিং।
ফের সীমান্তে উত্তাপ বাড়ছে। লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশেও সীমান্ত নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের সীমানার মধ্যে চিন গ্রাম তৈরি করেছে বলে রিপোর্ট দিয়েছিল পেন্টাগন। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ভারতের সীমান্তে কোনও গ্রাম তৈরি হয়নি। এই নিয়ে ভারতে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছিল।
অন্যদিকে আবার ডোকালার কাছে ভুটান সীমান্তেও একাধিক বাড়ি তৈরি করে গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে বেজিং।
Posted ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta