শাহাব উদ্দিন,লামা :: লামা পৌর শহরের সড়ক গুলোতে সন্ধ্যা নামলেই চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কারণ অটোরিক্সা,ইজিবাইক (টমটম), মাহিন্দ্রা, মটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার।
এদিকে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগ উঠছে ফায়ার সার্ভিস ও বনবিভাগের মত সরকারি প্রতিষ্টানের গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে, কিছু সরকারী গাড়ির চালকেরা রাতের বেলায় যানবাহন চলাচলের সময় তাদের লাইটের আলো মৃদু না করে, বিপরীতে থাকা যানবাহনের চালকের চোখে লাইটের আলো দিয়ে দূর্ঘটনার ঝুকি বাড়ায়
এ লাইটের আলো এতটাই তীব্র যে বিপরীত দিক থেকে কিছুই দেখা যায়না। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। আর এই লাইট ব্যবহার বন্ধ করতে লামা ট্রাফিক বিভাগ থেকে একাধিকবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ধারাবাহিক অভিযান না হওয়ায় এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
চিকিৎসকদের মতে, এই আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমনকি ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রকট।
লামা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মোটরসাইকেলে চলাচল করেন তিনি। চালানোর এত বছরের অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও তিনি এখন মোটরসাইকেল চালাতে ভয় পান।
তিনি বলেন একটা সময়ে মোটরসাইকেলসহ প্রতিটি গাড়ির হেডলাইটের উপরের অংশে ছিল কালো রং করা। যাতে করে কারও চোখে আলোকরশ্মি না পড়ে এবং যারা গাড়ি চালায় তাদের গাড়ি চালাতে কষ্ট না হয়। এতে করে দুর্ঘটনাও কম হত।
বর্তমান যুগে এসে নানা প্রকার লাইটের আলো চোখে এমনভাবে এসে পড়ে যে সামনে কি আসছে কিছুই বুঝা যায় না। এজন্য ভয়ে রাতে এখন আর গাড়ি নিয়ে বের হন না।
সেই সাথে বেড়ে চলছে এলইডি লাইটের ব্যবহার। যানবাহনের সাথে লাগানো এলইডি লাইটের আলো চলাচলের সময় তীব্র আলো চোখে পড়ায় সাধারণ মানুষের পথ চলতে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
প্রতিনিয়ত মানুষ সড়ক দূর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। দিনদিন যেন এই আলোর কারণে জনজীবনে দুর্ভোগের শেষ নেই।
রাতে পৌর শহরের ব্যস্ততম সড়ক সহ প্রায় বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে সরোজমিন দেখা যায়, প্রতিটি অটোভ্যান, অটোরিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি, মাহিন্দ্রা, ব্যাক্তিগত জীপ, মাইক্রো, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য অনেক যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার।
এ ব্যাপারে লামা ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মোঃফয়সাল বলেন,ক্ষতিকর এলইডি লাইট সহ,রাতের বেলায় চলাচলের সময়ে চোখের সমস্যা সৃষ্টি করে এ ধরনের লাইটের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এলইডি লাইট দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে অনেক সময় অভিযান কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হলেও অভিযান নিয়মিত চলবে। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
Posted ১০:২২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta